আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে



বিতর্কের ডাল-পালা ছড়িয়েছে এই ম্যাচও। বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় লেগের সেমিফাইনালটি ১-১ গোলে ড্র হলেও দ্বিতীয়ার্ধের প্রথমদিকে গঞ্জালো হিগুইয়েনের একটি গোল বাতিল হয়ে যাওয়াই আবার উসকে দিয়েছে বিতর্ক। রিয়ালের সহকারী কোচ আইতর কারানকা বলেছেন, ‘হিগুয়েইনের গোলটি বাতিল করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে মরিনহোর মন্তব্যই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। রেফারিরা সব সময় বার্সেলোনারই পক্ষাবলম্বন করে থাকেন। ’কারানকা যা খুশি তাই বলতে পারেন।

কিন্তু প্রথম লেগে বার্নাব্যুতে ২-০ গোলে পরাজয়ের পর ন্যু ক্যাম্পে এসে রিয়ালের যে ধরনের আক্রমণাত্মক খেলার প্রয়োজন ছিল-তা কিন্তু খেলতে পারেনি তারা। উল্টো খেলার ৫৪ মিনিটের সময় ইনিয়েস্তার সহযোগিতায় দারুণ এক গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন পেদ্রো। তবে গোল হজমের দশ মিনিটের মাথায় (৬৪ মিনিটে) মার্সেলো গোল করে রিয়ালকে ম্যাচে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে কিন্তু হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে মিলিয়ে রিয়াল পিছিয়ে গেছে ৩-১ ব্যবধানে। ফাইনালে যেতে হলে এমন একটি জায়গা থিকে ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভবই মনে হচ্ছিল তখন।

রিয়ালের খেলাতেও তেমন ব্যাপারই ফুটে উঠেছে বারবার। প্রথম লেগে লাল কার্ড পাওয়ায় কোচ হোসে মরিনহোকে কাল ডাগ আউটে পায়নি রিয়াল খেলোয়াড়েরা। মরিনহো দলের সঙ্গে মাঠেও আসেননি। তিনি হোটেলে বলে চ্যাম্পিয়নস লিগে থেকে দলের বিদায় বিষাদ নিয়েই অবলোকন করেছেন। তাঁর মনের কথাগুলোই যেন তিনি বলিয়েছেন কারানকাকে দিয়ে।

কারানকা কাল মরিনহোর বদলি হিসেবে হেড কোচ হিসেবে রিয়ালের ডাগ আউটে দায়িত্ব পালন করেন। ‘গত এক সপ্তাহে রিয়ালের বিপক্ষে কী কী ঘটেছে, তা সবাই দেখেছে। এগুলো সংবাদ সম্মেলনে নতুন করে বলার কোনো অবকাশ নেই। আজ হিগুয়েইনের গোলটি বাতিল করে দিয়ে রেফারি ও কর্মকর্তারা আবার প্রমাণ করেছেন তারা সব সময় বার্সেলোনার পক্ষেই কাজ করে থাকেন। এ ব্যাপারে নতুন করে আমাদের কিছু বলার নেই।

আমাদের কথার পক্ষের সাক্ষী বিশ্বব্যাপী লাখো-কোটি ফুটবল ভক্ত। ’ ক্ষুব্ধ কারানকার প্রতিক্রিয়া। এদিকে কাল ইনিয়েস্তা ও পুয়োলকে মাঠে পেয়ে দারুণ উজ্জীবিত ছিল বার্সেলোনা। মধ্যমাঠে ইনিয়েস্তা ও জাভি হার্নান্দেজকে ঠেকাতে বারবারই হিমশিম খেতে হয়েছে রিয়ালের খেলোয়াড়দের। সেই সঙ্গে লিওনেল মেসি কালও বারবার ভীতি ছড়িয়েছেন রিয়াল শিবিরে।

পেদ্রোও কাল অনন্য ফুটবল খেলেছেন। মোটকথা বার্সেলোনার মাঝমাঠকে ঠেকাতে বারবারই অসহায় ছিল রিয়ালের সেনারা। এ কারণে বারবার ফাউলের আশ্রয়ও নিয়েছেন তারা। তবে বার্সেলোনার কয়েকটি আক্রমণে রিয়ালকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। রয়টার্স।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.