আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোশাকে অপসংস্কৃতি



View this link আমরা দেশীয় পোশাক পরব না; পরলে আমাদের মধ্যে শতভাগ বাঙালিয়ানা ফুটে উঠবে। আমরা প্রবেশ করছি পাশ্চাত্যের ফ্যাশনে। কিন্তু আসলে কী। মানুষ যখন তার শেকড়কে ভুলে যায় তখন কি টিকে থাকা সম্ভব? না, কারণ শিকড় মাটি থেকে রস আস্বাদন করে বিশাল বটবৃক্ষকে বাঁচিয়ে রাখে। সংস্কৃতি হলো আমাদের শিকড়।

তাই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ইদানীং বিদেশি পোশাক পরার হিড়িকে দেশীয় পোশাক ও ঐতিহ্য বিলীন প্রায়। এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। অপসংস্কৃতির বেড়াজালে দেশীয় পোশাক আজ বন্দি। আর এসব নিয়েই আমাদের এ আয়োজন।

লিখেছেন —আফরিন জাহান গেল ঈদের কথা। আশামনি মা-বাবার কাছে বায়না ধরেছিল এবার সে জিপসি কিনবে। সরকারি চাকুরে বাবা তো আকাশ থেকে পড়লেন, জিপসি আবার কী! ৮ বছরের আশা বুঝিয়ে দিল বাবাকে স্টার প্লাসে একটা সিরিয়াল হয়, সেখানে সে দেখেছে এবং এর নাম জেনেছে। তাই তো জিপসি না হলে এবার সে জামাই কিনবে না, ঈদও করবে না। অগত্যা মেয়েপাগল মা-বাবা আশামনির কাছে হার মানলেন।

অনেক ঘুরে কিনে দিলেন জিপসি। যদিও তাদের সায় ছিল না এ বয়সেই মেয়ে বিদেশি সংস্কৃতিকে অনুকরণ করুক কিন্তু একমাত্র মেয়ে বলে কথা। পাঠক, আমাদের ক্ষুদে এই আশা তো একটা চরিত্র; কিন্তু পোশাক অনুকরণের এমন হাজারটা চরিত্র আছে আশপাশে। প্রায় ১০ বছর আগে আমার এক বন্ধু বলেছিল, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা পোশাকে যতটা আধুনিক হয়েছে, মনের দিক থেকে ঠিক ততটা নয়। সেটা তো অনেক আগের কথা।

মেয়েরা পরে স্লিভলেস, ছেলেরা ফুলহাতা। মেয়েরা টি-শার্ট, জিন্স আর ছেলেরা পাঞ্জাবি-ওড়না। বিদেশি পোশাক ও সংস্কৃতি অনুকরণ করেই এ যুগের ছেলেমেয়েরা গর্ববোধ করে নিজেদের আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক মনে করে, আনন্দ পায়। দিনটি ছিল ১৪ এপ্রিল ২০১১, পুরো বাংলাদেশ একদিনের জন্য হলেও ১০০ ভাগ বাঙালি সাজে সেজেছে এদিনটিতে। বাঙালিদের পোশাক-আশাক এখন বিশেষ কোনো দিনকে ঘিরে বন্দি।

এখন বাঙালি ঝুঁকছে পশ্চিমা পোশাকের দিকে। এখন আপনি শপিংয়ে গেলেই পাবেন ফানা ‘স্কার্ট’ (ভারতীয় ছবি ফানাতে নায়িকা কাজল যে পোশাক পরেছিলেন)। বাজার সয়লাব এখন ফানা স্কার্টে। কিংবা দেবদাস চুড়ি, যোদা আকবর, নাকি কৃষ্ণের ধুতি, কোনটা চাই। সবই পাওয়া যাবে হাতের নাগালে।

নাম আপনার বলতে হবে না। তারাই বলে দেবে। পছন্দ করবেন শুধু আপনি। হিন্দি সিনেমা, সিরিয়াল কিংবা আইটেম, গানের পোশাক, সব কিছুরই ছড়াছড়ি বাংলাদেশে। বলা হয় মানুষের আচরণ প্রভাবিত হয় পোশাকের দ্বারা।

এটা যদি সত্যি হয় তবে অবশ্যই পোশাকের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। পোশাকে অপসংস্কৃতি কী ও কেন? অনেকের মতে, পোশাক মানুষের ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে, তাছাড়া দেশীয় সংস্কৃতির অন্যতম বাহকও বটে। সে ক্ষেত্রে বিদেশি পোশাক যে পড়বে না তা নয়, তবে যখনই বিদেশি পোশাকের প্রভাবে দেশীয় পোশাক বিলীন হতে শুরু করে, তখন সেটা বিদেশিদের অপসংস্কৃতিই বলা যেতে পারে। তার চেয়েও বড় কথা নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা। আর অনেক সময় এই পোশাকের কারণেও মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়।

পাশ্চাত্যের পোশাক মানেই অশালীন নয়, তবে একে অশালীন করে পরিধান করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে দেখলে মনে হয়, এরা পশ্চিমাদের চেয়েও এগিয়ে গেছে এ পোশাকের ব্যাপারে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় একেকটি সমাজ ও সংস্কৃতি পৃথক পৃথক পরিচয় বহন করে। অর্থাত্ বিশ্বব্যাপী দেখা যায় সব সমাজেরই পোশাক, আচার-আচরণ এক নয়। যেমন আমাদের দেশের উপজাতীয়দের কথাই ধরা যাক।

ওদের পোশাক দেখলেই বোঝা যায়, ওরা বিশেষ কোনো গোষ্ঠী। ঠিক তেমন আমরা বাঙালি ও বাংলাদেশী। আমাদেরও রয়েছে নিজস্ব কিছু পোশাক। যা বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে। কিন্তু গত প্রায় ১ দশক ধরে দেশীয় পোশাকগুলো হুমকির মুখে।

পাশ্চাত্যের পোশাক গ্রাস করে নিচ্ছে আমাদের। এতে মারাত্মক সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে। এখন দেশীয় পোশাক মানেই বিশেষ কোনো দিন। পোশাকের পরম্পরা প্রথা প্রায় উঠেই গেছে। ফলে তরুণদের দেখে শিশুরা উদ্ধুদ্ধ হচ্ছে এসব পোশাক পরিধানে।

এ ক্ষেত্রে ওই শিশুটি অনুকরণপ্রিয় হয়ে উঠছে। মা-বাবার পছন্দ অপছন্দকে পাত্তা দিচ্ছে না। আর এটা আমাদের সমাজের জন্য বড় ধরনের একটা হুমকি। হুমকিতে দেশীয় ঐতিহ্য পাশ্চাত্যের পোশাক যে পরিধান করা অপরাধ তা নয়। তবে এর প্রভাবে যখন দেশীয় ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসে তখন অবশ্যই এটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে।

এখনকার তরুণ প্রজন্মের অনেকেই দেশীয় পোশাক চিনতে পারে না। লুঙ্গি, গামছা তাদের কাছে অপরিচিত শব্দ। বাবা-চাচা-দাদাদের ব্যবহার করা জিনিসগুলো নিতান্তই অবহেলিত। এর কারণ কী? বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমে পড়া তরুণ-তরুণীরা এ জন্য দায়ী। ভীনদেশি ভাষায় লেখাপড়া করা মানেই সে দেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করা, তা নয়।

জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘চাক দে ইন্ডিয়াতে’ হকি দলের খেলোয়াড়েরা যখন সংবাদ সম্মেলনে যান তখন দেশীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য সবাই শাড়ি পরেন। এটা শুধু সিনেমা বলে নয়। কারণ ভারতীয় পরিচালকরা জানেন যে বিশ্বে বড় একটি বাজার ধরে আছে হিন্দি ছবি, সে ক্ষেত্রে ফিল্মে খেলোয়াড়দের শাড়ি পরিয়ে তারা দেশীয় ঐতিহ্যকে প্রমোট করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে কি তাই হচ্ছে? আমাদের দেশের ফিল্মে বড়লোক বাবার মেয়ে মানেই টাইট প্যান্ট, টি-শার্ট পরবে, শাড়ি? সেটা তার কাছে থাকবে ভীতিকর একটি বস্তু। আর এ কারণগুলোর জন্যই নষ্ট হচ্ছে আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

দায়ী কে? এই যে দেশীয় পোশাকে অবহেলা এর জন্য দায়ী আকাশ সংস্কৃতি। বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে যখন যে ধরনের পোশাক দেখানো হয় আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা তা কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। তবে পরিবার, বাবা-মাও অনেক অংশে দায়ী। কারণ তারা যদি সন্তানদের এ ধরনের পোশাকের দিকে না ঝুঁকিয়ে দেশি পোশাককে গুরুত্ব দিত কিংবা দেশি পোশাকের কদর বুঝাত, তবে আজ সমাজের এ অবস্থা হতো না। আর স্কুল, খেলার সঙ্গীও অনেক সময় দায়ী।

আমাদের দেশের মিডিয়া যদি দেশীয় সংস্কৃতিতে যোগ্য করে তুলে ধরে তাহলেও এর থেকে উত্তরণ সম্ভব। পোশাক মনের ওপর প্রভাব ফেলে কী? পোশাক মনের ওপর প্রভাব ফেলে কিনা কিংবা আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা পাশ্চাত্যের পোশাক পড়তে তা তাদের আচরণে প্রভাব পড়ে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম খ্যাতিমান মনোবিজ্ঞানী ডা. মোহিত কামালের কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি যখন এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে যাই তখন দেখি রোডের পূর্বে এক ধরনের সংস্কৃতি, পশ্চিমে অন্যধরনের সংস্কৃতি। এক পাড়ের লোকজনের সঙ্গে অন্য পাড়ের লোকজনের সংস্কৃতিতে মিল নেই। আমাকে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একদিন বললেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু মেয়ে এমন আপত্তিকর পোশাকে ক্লাসে আসে যে তাদের দিকে অনেক সময় চোখ চলে যায়, ছাত্রী মনে হয় না বরং আরও বিশেষ কিছু মনে হয়।

পরবর্তী সময়ে নিজেকে সামলে নেই, যে না ওরা আমার ছাত্রী। কিন্তু কী করব শরীর এমনভাবে প্রদর্শন করে যে ছাত্রী ভাবার সুযোগ পাই না। ’ ওই শিক্ষক হয়তো কথাটা খুব বেঠিক বলেননি। এটা এড়ানো সম্ভব যদি আমরা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলি। আমাদের অবশ্যই ধর্ম, আইন ও সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলা উচিত।

আর অতি আধুনিকতায় যারা গা ভাসায় তারা নেকাব পরাদের... মনে করে, আনস্মার্ট। আসলে তারা না বুঝেই এটা বলে। তবে পাশ্চাত্যের পোশাক ও সংস্কৃতি আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক নয়। এতে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ ব্যাহত হয়। আর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে পরিবারের ভূমিকা সর্বাধিক।

বুটিক হাউস কর্তৃপক্ষ বলেন ‘দেশের বৃহত্ ও আন্তর্জাতিক মানের ফ্যাশন হাউস আড়ং। দেশীয় পোশাক তৈরি ও বিপণনে তাদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বিদেশি পোশাকের ভিড়ে দেশীয় পোশাক কী হারিয়ে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আড়ংয়ের হেড অব মার্কেটিং ফারজানা হালিম হাই বলেন, ‘আমরা আসলে এটাকে অপসংস্কৃতি বলতে চাই না কারণ আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যেমন পাশ্চাত্যের পোশাক পরছে তেমনি আমাদেরও অনেক বিদেশি ক্রেতা আছে, যারা সাগ্রহে আমাদের পোশাক কিনে নিয়ে যায়। ’ জনপ্রিয় বুটিক হাউস ড্রেসিডেলের কর্ণধার মায়া রহমান বলেন, ‘আসলে পাশ্চাত্যের পোশাকের ভালো-মন্দ দু’দিকই আছে। তাহলে আমরা কোনটা গ্রহণ করব।

জিন্স-ফতুয়া খারাপ না, যদি শালীন হয়। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা দেশীয় পোশাকের মধ্যে পাশ্চাত্যের ধাঁচ নিয়ে আসেন সেটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, আধুনিক হতে হলে তাকে পোশাকে শালীন হতে হবে। তাতে ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। আর দেশে বিদেশি সংস্কৃতির জন্য দায়ী আকাশ সংস্কৃতি।

কারণ বাঙালিরা স্বভাবতই অনুকরণপ্রিয়। সেক্ষেত্রে ভালো-মন্দ না বুঝেই তারা অনুকরণ করে। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে পরিবার। একটি পরিবার তার পরের প্রজন্মকে দেশীয় পোশাক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। আমরা চাই আমাদের সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক অঞ্চলে পরিচিত করতে।

সে ক্ষেত্রে আমাদের কাপড়ের গুণগত মানের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের অন্যতম বুটিক হাউস কে-ক্রাফটের উদ্যোক্তা খালিদ মাহমুদ খান বলেন, ‘দেশীয় পোশাক অকেশনাল হয়ে গেছে সেটার সঙ্গে একমত নয়। আগে বিদেশি পোশাকের ব্যবহার বেশি ছিল। গত ১০-১২ বছর ধরে এর প্রভাব কমছে। আমাদের মানসিকতা হলো এমন যে বিদেশি পোশাকের প্রতি আগ্রহ।

গর্জিয়াস হয় বিদেশি পোশাক। যদিও এটা ব্যক্তিত্বকে তারায়। আমাদের দেশে দেশীয় শিল্পে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে। শিল্প সংস্কৃতির দিকে তা ধাবিত করতে হবে। আমাদের দেশের কোনো সরকারই লোকাল শিল্পকে প্রমোট করার জন্য কিছু করছে না।

সরকারকে কিছু নীতি প্রমোট করতে হবে। বড় বড় আউটলেটগুলোয় বিদেশি পণ্যও পাওয়া যায়। বৈধভাবে কাপড় বাজারজাত করলে বিদেশি পোশাকের প্রভাব কমবে। দেশীয় শিল্পকে সহজশর্তে কিছু সহায়তা করলে নিজস্ব পোশাক ও সংস্কৃতিকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। দেশীয় পোশাককে প্রমোট করতে মিডিয়াসহ সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের এগিয়ে আসতে হবে।

দেশীয় বুটিক হাউস অঞ্জনসের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহমেদ বলেন, ‘দেশীয় পোশাক হারিয়ে যাচ্ছে, তা নয়। বিদেশি পোশাক আমাদের সঙ্গে যোগ হচ্ছে। পাঞ্জাবি-পাজামা সাত-আট বছর খুব জনপ্রিয় ছিল। ফতুয়া কিছুদিন সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় ছিল, এখনও আছে। একটা শ্রেণী এখনও ফতোয়া পরে।

আর অফিসিয়ালি আরামদায়ক নয় বলে অফিসে পড়া হয় না। এটা আসলে অনুকরণের প্রভাব। ওয়েস্টার্ন পোশাকের প্রতি মানুষের আগ্রহ স্বাধীনতার আগে থেকে। আমার মনে হয়, এখন এই প্রভাব আগের চেয়ে কমেছে। আমরা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে পোশাকের ডিজাইন করি।

আর বিদেশি পোশাক তো তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে পোশাক। এটা অনেক বেশি ছিল, কিন্তু বুটিক হাউসের প্রভাবে এটা অনেক কমেছে। ফ্যাশন হাউস অন্যমেলায় প্রধান স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘পাশ্চাত্যের পোশাকের এই আগ্রাসনের প্রধান কারণ হলো, বিদেশি পোশাক আটকানোর উপায় নেই মুক্তবাজারে। আমাদের দেশি পোশাকের চাহিদা এখন বাড়ছে। এটা আরও বাড়াতে হলে সুতার দাম কমাতে হবে।

সরকার কিছুটা ভর্তুকি দিলেও যদি সুতার দাম কমে, তাহলে পোশাকের দামও কমবে এবং জনপ্রিয় হবে। বিদেশি পোশাকের ভিড়ে আমরা টিকে থাকব আমাদের কোয়ালিটি দিয়ে। ‘বাংলার রূপ, রাঙালির মেলা’ স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা কাপড় তৈরি করি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের পোশাককে বিদেশে প্রমোট করা ও বিশ্ববাজারের মানে উন্নীত করা। কারণ আমরা শিকড়ে বিশ্বাস করি, বাঙালিয়ানায় বিশ্বাস করি।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘পোশাক হলো ব্যক্তিগত রুচির পরিচয়। আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় এমন পোশাকই সবার পরা উচিত। মেয়েদের জন্য সালোয়ার-কামিজই আদর্শ। আর ছেলেদেরও এমন পোশাক পরা উচিত নয়, যা তার সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। নাটক, চলচ্চিত্রেও দেশীয় পোশাক পরা উচিত।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।