আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীর সম-অধিকার, ফতোয়া এবং আমিনী ও মুনতাসির মামুন



নারীর সম-অধিকার নিয়ে যেভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা আমিনী বা তার সমর্থকরা করছে, এটা যে ইসলামের প্রদর্শিত উপায় নয় সেটা অন্তত আমিনী সাহেবের আছে বলে আমার ধারণা ছিল। আমিনী দেশের আইন আদালত কোন কিছুই মানেন না। তার মানসিক চিন্তা চেতনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার যথেষ্ট অবকাশ থাকে। আমিনী যে পন্থা অবলম্বন করছে তা কি আমরাও করবো? বিশৃঙ্খলা অবশ্যই দৃঢ়ভাবে দমন করতে হবে। আমিনী সাহেবকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই উন্মুক্ত বিতর্কে আসুন।

আপনি আপনার অবস্থানের যথার্থতা ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনভাবেই প্রমাণ করতে পারবেন না। [আমিনীদের নিয়ে লেখা একটি আর্টিকেল লিঙ্ক দিচ্ছি; পড়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন: ফতোয়া ও সংবিধান: দেশ থেকে কি ইসলাম মুছে যাচ্ছে ? http://bit.ly/fatWa জনমত সৃষ্টি: বাস্তব প্রেক্ষাপটে পৃথিবীতে সকল ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যারা ধর্মের (ন্যূনতম হলেও) চর্চা করে তাদের সিংহভাগ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। একই সাথে তারা ধর্মভীরুও যার বাধ্যবাধকতা অন্য কোন ধর্মে নেই। তাই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ আমিনী টাইপের সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মূল হাতিয়ার হল ইসলাম। এর মাধ্যমে তারা সুফলও ভোগ করেছে।

"ব্রিটিশ শাসন বিশ্বব্যাপী যখন ছড়িয়ে পড়ছিল ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে ইংরেজরা বিপুল সংখ্যক মুসলিমদের ভৃত্য হিসাবে আফ্রিকা নেয় এবং ইসলাম চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। এক পর্যায়ে তাদের নামকরণ পর্যন্ত ইসলাম-ভাবাপন্ন রাখার উপায় ছিলনা। জন, জেমস ইত্যাদি নামে শিশুদের নামকরণ হতো। তিনশ বছর নিষিদ্ধ ধর্মচর্চার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা যখন মুক্ত হল দেখা গেলো তারা নামায পড়ে, পড়তে জানে"। [Islam in Africa: Ahmed Deedat] ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে ফরিদপুরে কুকুরকে দাঁড়ি টুপি পরিয়ে জামায়াতের লোকেরা এটা আওয়ামী লীগের কাজ বলে অপপ্রচার চালিয়েছে।

আমরা সবাই জানি অপপ্রচারে বিএনপি-জামায়াত যে কোন দলের চেয়ে অনেক বেশী দক্ষ। আফ্রিকার উদাহরণ দেয়ার কারণ শ্রদ্ধেয় মুনতাসির মামুন স্যারের একটি লেখা। তিনি ভাল শিক্ষক, লেখক, ইতিহাসবিদ। রাজনীতি সংশ্লিষ্ট তার লেখা কলামে ক্ষুরধার লেখনীর প্রকাশ ঘটে। তার লেখা “আমিনীদের প্রতিরোধ করা ফরয” লেখাটি পড়ে আমি আশাহত হয়েছি।

প্রথমত তথ্য বিভ্রান্তি, দ্বিতীয়ত এভাবে জবাব দিলে তাদের জেহাদি মনোভাব আরও চাঙ্গা হবে বলে আমার ধারণা। মুনতাসির মামুন ও ইসলাম প্রসঙ্গ: ইসলাম ধর্ম অন্যান্য ধর্ম থেকে পৃথক হবার অন্যতম কারণ এর প্রায়োগিক দিক। যেমন চুরি করা পাপ- সকল ধর্মই বলে, কিন্তু চুরি করলে সাজার নির্দেশনা ইসলাম দিয়েছে। মূল ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন একমাত্র গ্রন্থ যা কোন ধারাবাহিক বর্ণনার মতো না হয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বর্ণিত হয়েছে। একটি আয়াতের ব্যাখ্যা হয়তো অন্য একটি সুরার আয়াতে প্রদত্ত।

তাই সমগ্র বিষয়ে মোটামুটি জানা না থাকলে এর বিধান বিষয়ক মন্তব্য না করা উচিত। হতে পারে আমিনী একজন হাফেজ, মুফতি বা ভাল ওয়াজকারী, কিন্তু প্রকৃত-ভাবে তিনিও এই সমস্যায় ভুগছে। মুনতাসির স্যার শিরোনাম দিয়েছেন “প্রতিরোধ ফরয”। জামায়াতও ২০০১এ বলেছিল চার-দলকে ভোট দেয়া ফরয। কিন্তু ফরয নির্ধারণের অধিকার আল্লাহ বা রাসুল (স ছাড়া কারও নেই।

তিনি লিখেছেন, "মসজিদে একেকজন একেকভাবে নামায পড়ছে"। ভিন্ন ভিন্ন মসজিদে নামায আদায় পদ্ধতিতে পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু একই মসজিদে ইমামকে অনুসরণ করে একভাবেই নামায পড়া হয়। মহিলা ও পুরুষদের একসাথে নামায পড়ার কথা লিখেছেন। মহিলাদের মসজিদে নামায পড়ার অধিকার আছে তবে তাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে এটাই ইসলামের নিয়ম। তিনি লিখেছেন “আমিনীদের বক্তব্য হল, কোরআনে আছে একজন পুরুষের অংশ দু'জন নারীর সমান।

[সূরা নিসা ১১ ও ১৭৬] এটি না মানলে কোরান সুন্নাহর বিরোধিতা করা হয়। “ এখানে তারা দুজনই একটি বিষয় বিবেচনায় আনেন নি যে, ইসলামী আইন অনুসারে একজন নারীকে বিয়ে করার সময় নির্ধারিত মোহরানা দিয়ে দিতে হয়: যা আমাদের দেশে খুব কমই মানা হয়। নারী শুধু পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, স্ত্রী হিসাবে স্বামীর সম্পত্তির অংশ ও মা হিসাবে সন্তানের কাছ থেকে ভরণপোষণসহ ক্ষেত্র বিশেষে ভাই এর সম্পত্তি থেকেও অংশ পায়। তার কেউ না থাকলে তার দায়-দায়িত্ব নিবে রাষ্ট্র:- এটাই ইসলামী আইন। এটা ইসলামী রাষ্ট্র নয় এবং অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে, সুতরাং Surah Baqarah: 228 বিবেচ্য হতে পারে: “And Women shall have rights, similar to the rights against them” § Surah Hijr, Verse No.29 ‘When I have fashioned you in due proportion and have breathed into you something of my spirit, fall ye down in obeisance’ সাক্ষী প্রসঙ্গে সমালোচনা হয় নারীদের অবজ্ঞা করা হয় যে ২ জন নারী সাক্ষী একজন পুরুষের সমান।

এটা ক্ষেত্র-বিশেষে, আর্থিক লেনদেন ও হত্যার ক্ষেত্রে এ ধরনের নির্দেশ থাকে দেখা যায়। Surah Nur, Verse No. 6, ‘If any of you put a charge against your spouse, and if they have no evidence, if they have no evidence, their solitary evidence is sufficient’. এখানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে পারস্পরিক আলোচনায় তালাক বা সমাধান হবে। কাউকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়নি। § Surah Imran, Verse No.195 ‘I will never suffer the loss of any of you, be it male or female, you are companions unto each other’. নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই, বলা হচ্ছে সমান..সাম্যের কথা। অতঃপর: তিনি ইসলামের কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় দেখাতে চেয়েছেন।

[কোরআনের মনোপুত বাংলা অনুবাদের অভাব আছে, এ কারণে অনেক বিষয়ে বোঝার কিছুটা তারতম্য হয়। ] ১। উটের মূত্র পান করা [পবিত্র] [সহি বোখারী, ৮ম খ-, হাদিস ৭৯৭] এ উক্তিটি অবান্তর। উল্লেখিত হাদিসের প্রেক্ষাপট হল মরুভূমিতে পানি সংকট সর্বজনবিদিত। মদিনার “উকি” গোত্র থেকে কিছু লোক আসে যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।

লেখা আছে, “drink the camels' urine and milk (as medicine).” ২। শনিবারে সীমা লঙ্ঘন করো না [নাহল ১২৪, আল আরাফ ১৬৩, নিসা ১৫৪] কোরআনে গসপেল বা ইঞ্জিল ও তাওরাতের বর্ণনা রয়েছে। ইহুদি ধর্মে সাবাথ নামে একটি দিন ছিল। ধর্মযাজকরা বলতেন সাবাথ (শনিবার) ঈশ্বর বিশ্রাম নেন, সুতরাং তারাও সেদিন ছুটি উপভোগ করতো। এখানে উক্তিটি বিচ্ছিন্নভাবে দেয়া হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এটা ইসলামের বিধান।

আয়াতের আগে পরে পড়লে তিনি বুঝতে পারতেন। সাবাথ (শনিবার) এর ব্যাপারে মুসা (আ এর কথা বর্ণিত হচ্ছিল। আরও স্পষ্টভাবে বলা আছে: And, {Or curse them as We (আমি: সম্মানার্থে) cursed the Sabbath¬ breakers}. (An-Nisa', 47) ৩। দাসপ্রথা চালু করা ও বহু দাসীর সাথে শোয়া [মুমিনূন ৫, ৬; আহযাব ৫০] কোথায় দাসপ্রথা চালু পেলেন জানিনা, ইসলাম দাসপ্রথা বিলুপ্তিকে উৎসাহিত করে। Did we not show him the two paths? He should choose the difficult path. Which one is the difficult path? The freeing of slaves. Feeding, during the time of hardship... [Al-Balad:10-14] The charities are to go to the poor, and the needy, and those who work to collect them, and those whose hearts have been united, and to free the slaves…….(Surah Tauba:60) সুরা আহযাব এর ৫০ নং আয়াতে নবী(স যাদের বিবাহ করতে পারবেন সেটার ক্যাটাগরি দেয়া আছে।

৫। যুদ্ধবন্দীদের ধর্ষণ করা (বোখারী ৩ খ- হাদিস ৭১৮, ৫ খ-, হাদিস ৬৩৭] মুনতাসির মামুন সাহেব নিজেই লিখেছেন অনেক সিদ্ধান্ত সময়ের প্রেক্ষিতে পরিবর্তন হয়েছে। দাসপ্রথা কি এখনও ঘুচেছে - যার উচ্ছেদের ঘোষণা ১৪০০ বছর আগে দেয়া হয়েছিল। এক সময় মোতআ বিবাহ অর্থাৎ যুদ্ধের সময় তৎকালীন সময়ে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ধর্ষণ না করতে সাময়িক বিবাহের অনুমতি দেয়া হয়েছিল এবং ইসলাম প্রচারের সাথে সাথে এটি কেয়ামত পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়। নীচের আয়াত আশাকরি আরও স্পষ্ট ধারণা দিবে।

And whoever of you cannot afford to marry the independent believing women, then from those committed to you by oath of the believing maidens. God is more aware of your faith, you are to each other (i.e. equal). You shall marry them with the permission of their guardians and give them their dowries in kindness; to be protected, not for illicit sex or taking lovers. If they become protected, then any of them who comes with lewdness shall have half the punishment of what is for the independent women. This is for those who fear hardship from among you. But if you are patient it is better for you, and God is Forgiver, Merciful. [An-Nisa:25] সুরা নিসা'য় উল্লেখ আছে দুই স্ত্রীর সাথে বৈষম্যহীন আচরণ কঠিন; বৈষম্যহীন আচরণ একাধিক বিবাহের পূর্বশর্ত। নারীদের সম্মতির ব্যাপারে নির্দেশ আছে: § Surah Nisa, Verse No.19 ‘You are prohibited to inherit women against their will’ নারীদের সম্মানার্থে অনুমতির শর্ত দেয়া হয়েছে। বেশী অধিকার মনে হচ্ছে না কম? ৪। কাউকে ইসলামের 'শত্রু' মনে হলে তাকে খুন করা ও খুন করার জন্য মিথ্যা বলা [বোখারী, ৫ম খ-, হাদিস ৩৬৯] কাউকে ইসলামের শত্রু এ জাতীয় কোন বাক্য নেই হাদিসটিতে। এটি একটি বড় হাদিস কা’ব আল আশরাফ নামের একজন আল্লাহ’র বিরুদ্ধাচরণ করে এবং রাসুল( কে আঘাত করে এ পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়।

মিথ্যা শব্দটি অনেক অনুবাদে কৌশল হিসাবে লেখা হয়েছে। উল্লেখ্য মুহাম্মদ (স নবী-রাসুলের পাশাপাশি রাষ্ট্রপ্রধানও ছিলেন; নবীদের মধ্যে মুসা (আ এবং মুহাম্মদ (স কে শাসকরূপে দেখতে পাই। ৬। প্রমাণ ছাড়াই স্ত্রীর ওপরে চরিত্রহীনতার অভিযোগ এনে তাৎৰণিক তালাক দেয়া [নূর, ৬, ৭] সাত নং আয়াতটি উল্লেখ করা হলে বিভ্রান্তি দূর হয়ে যেত। তালাক সম্পর্কে পাকিস্তানী ফতোয়ার অনুসৃত নিয়মের সাথে কোরআন-সন্নাহ’র সাথে পার্থক্য আছে।

কারও চরিত্র সম্পর্কে অপবাদ দিতে সাক্ষী প্রয়োজন। একজন স্বামী যদি স্ত্রীর চরিত্রহীনতার অভিযোগ করে কিন্তু সাক্ষী না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে কি হবার কথা? ৬ নং আয়াতে এক্ষেত্রে পুরুষকে আল্লাহর নামে চারবার নিশ্চয়তা দিতে হবে যে সে সত্য বলছে। ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, সে যদি মিথ্যা বলে আল্লাহর অভিশাপ তার উপর বর্ষিত হবে। মুনতাসির সাহেব জিজিয়া কর সম্পর্কে লিখেছেন, “জামায়াতে ইসলামের অপ্রকাশ্য নেতা শাহ আবদুল হান্নান লিখেছেন জিজিয়ার কথা উল্লেখ করে, ইহা কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতেই প্রযোজ্য। “ প্রকৃতপক্ষে তাদের দুজনেরই এ সম্পর্কে ধারণা নেই।

রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রথম ট্যাক্স বা কর প্রথা চালু করে ইসলাম। ইসলামী রাষ্ট্রে মুসলমানদের কোন কর দিতে হয় না কারণ তারা জাকাতের প্রদত্ত টাকা সরকারের বায়তুল মাল’এ দেয়। সেই রাষ্ট্রে অমুসলিমরা যদি মুসলিম না হয়, ইসলাম যেহেতু ধর্মে জোর-খাটানো অনুমোদন করেনা, তাই অমুসলিমদের সর্বপ্রকার নিরাপত্তার নিশ্চিত থাকবে এই মর্মে একটি নির্দিষ্ট হারে (২-৩)% কর দিতে হতো। এটাই জিজিয়া কর। এ জিজিয়া কর দাসপ্রথা থেকেও খারাপ- এ প্রশ্ন আসে কিভাবে আমি বুঝি না! আমরা কি সরকারকে ট্যাক্স দেইনা? এছাড়া অনেক পরিবর্তন আসার কথা বলেছেন।

এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। ধর্ম, রাষ্ট্র এবং ভবিষ্যৎ এসব কিছুর চুড়ান্ত রূপটিই বিবেচ্য হবে। আল-কোরআনে প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা আছেbr /> "Invite (all) to the Way of the Lord with wisdom and beautiful preaching; and argue with them in ways that are best and most gracious" : [Surah Nahl: 125] নারীর সম-অধিকার আইন লাইম-লাইটে আসার কৌশল: আমিনী ইসলাম নিয়ে চিন্তিত হলে নবী (স এর আদর্শ অনুসরণ করতো, দেশবাসীর কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারতো। তিনিতো নিজের দলের ভাঙ্গনই ঠেকাতে পারেন নি। কিন্তু এই সুযোগ ব্যবহার করবে অন্যপক্ষ।

নারীর সম-অধিকার আইন এর সাথে মুসলিম পার্সোনাল ল' এ নারী উত্তরাধিকার আইন অন্তর্ভুক্ত করে একই সাথে কার্যকর ও ঐচ্ছিক করা হবে সরকারের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং গ্রহণযোগ্য অবস্থান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অনুরূপভাবে ফতোয়াও মুসলিম পার্সোনাল ল' এর অধীনে ঐচ্ছিক করা উচিত এবং এই ফতোয়া দেয়ার সুযোগ যেন নুরজাহানের ফতোয়া প্রদানকারী ফতোয়াবাজদের মতো না হয়। বিবাহ যেমন কাজী অফিস বা কোর্ট যেকোনো স্থানে সম্পাদন করা যায়, এক্ষেত্রে একই পন্থা অবলম্বনই শ্রেয়। ইসলামের প্রতি অতি দরদীদের মুখোশ স্বাভাবিকভাবেই উন্মোচিত হবে।

মনে রাখতে হবে আমাদের প্রায় ৭০% এর বেশী জনগোষ্ঠী সচেতন নয় এবং গুজব নির্ভর সংবাদ তাদের জনমতকে প্রভাবিত করে। এখনও আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ পুত্রসন্তান জন্ম নিলে মাদ্রাসায় পড়াবে এ ধরণের মানত করে। প্রগতিশীলতা ও জনমত উভয়ের সমন্বয় করে নীতি নির্ধারণ ও কার্যকর করতে হবে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।