আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একেবারে শুরু থেকে



আজকে কথা বলব একেবারে ছোটদের বিষয় নিয়ে............ আজকে আমি হর,লব,ভগ্নাংশ নিয়ে কথা বলব। অধিকাংশ মানুষের হর ও লব সম্পর্কে সঠিক basic জানা নাই। হর ও লব সম্পর্কে আমাদের ধারণা কেবল উপর নীচের ব্যাপারে, এর সম্পর্কে সঠিকভাবে জানলে ভগ্নাংশ বুঝা সহজ হবে। প্রথমেই একগাদা নীরস(!)সংজ্গা................ হর(Denominator):কোন বস্তুকে যতগুলো অংশে বিভক্ত করা হয়,সেই বিভক্তকারী অংশগুলির সমষ্টিকে ঐ বস্তুর হর বলে। লব(Numerator):হর হতে সংগৃহীত অংশকে লব বলে।

ভগ্নাংশ(Fraction): হর ও লবের দ্বারা সৃষ্ট সংখ্যাকে সরল আকারে প্রকাশ করলে যদি দশমিক পাওয়া যায় তবে হর ও লব দ্বারা সৃষ্ট সংখ্যাকে ভগ্নাংশ বলে। ভগ্নাংশ দুই প্রকার। যথা- ক)প্রকৃত ভগ্নাংশ খ)অপ্রকৃত ভগ্নাংশ ক)প্রকৃত ভগ্নাংশ(Proper Fraction): যে ভগ্নাংশের হর বড় এবং লব ছোট তাকে প্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। খ)অপ্রকৃত ভগ্নাংশ(Improper Fraction): যে ভগ্নাংশের হর ছোট এবং লব বড় তাকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। বাবারে অনেক হয়েছে এখন ব্যাপারটা একটু বোধগম্য করার চেষ্টা করি......... আমি যদি কোন রুটিকে ৮টি অংশে বিভক্ত করি তাহলে এই বস্তুর হর হবে ৮ এরপর এ থেকে যদি আমি ৩টি রুটির টুকরো নেই তাহলে এই বস্তুর লব হবে ৩ একে প্রকাশ করা হয় ৩/৮ বুঝা গেল ব্যাপারটা আচ্ছা ৮টি থেকে ৯টি নেয়া কি সম্ভব?অবশ্যই না।

এজন্য হর ছোট এবং লব বড় হলে তাকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। অন্যথায় প্রকৃত ভগ্নাংশ.............. আশা করি এখন থেকে আর প্রকৃত ভগ্নাংশ এবং অপ্রকৃত ভগ্নাংশ নিয়ে confused হবা না। ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে হর ও লবের দ্বারা সৃষ্ট সংখ্যাকে সরল আকারে প্রকাশ করলে যদি দশমিক পাওয়া না যায়, সেক্ষেত্রে তাকে ভগ্নাংশ বলা যাবে না। যেমন- ৮/২,২০/৪, ৭/৭ ইত্যাদি এখন প্রশ্ন হলো দশমিক কি? থাক সে প্রশ্নের উত্তর অন্য একদিন দিব।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.