আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাবারে চুল

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ

স্কুলে এক ম্যাডামের কাছে প্রাইভেট পড়তাম। একদিন উনি কথায় কথায় বললেন, খাবারে চুল পরলে উনি আর সেটা খেতে পারেন না। আমি একটু অবাক হয়ে তাকাতে বললেন, যেমন কারো বাসায় গিয়েছি, চা দিল। চা য়ে চুল। আমি আর ঐ চা খেতে পারবো না।

তখন ম্যাডামের কথা শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম। আমাদের বাসায় হরহামেশা খাবারে চুল পাওয়া যেত। কারন আমার মাথা থেকে প্রচুর চুল পরতো। কেন যেন সেটা আব্বার পাতেই চলে যেত। তারপর তো বুঝতেই পারছেন, আব্বা প্রায়ই চেচামেচি করতেন।

আমি বুঝতাম না চুল কি দোষ করলো। ফেলে দিলেই হলো। চাকরী জীবনে আমরা কয়েকজন মিলে এক সাথে চা খেতে যেতাম। একদিন কে একজন বলছিল তার চা ঠান্ডা হয়ে গেছে পাল্টানো দরকার। কিন্তু চা তো আর ফ্রি পাল্টাবে না।

শুনে আমার এক কলিগ মাথা থেকে চুল ছিড়ে আমাকে দেখিয়ে বলল, এবার পাল্টাবে। এরপর সেটা চায়ে দিয়ে বয়কে দেকে বলল, চা পাল্টে দাও। চায়ে চুল। আমি আগেই বলেছি, আমার মাথা থেকে আগে অনেক চুল পড়তো। বিয়ের পর সামহোয়্যার আউটকে দেখলাম, খাবারে চুল পেলে চুপচাপ ফেলে দেয়।

কিছু বলে না। বেশ খুশি হলাম। আমার খাবার নিয়ে আর সমস্যায় পড়তে হবে না। ওর শান্ত থাকার কারন ওদের বাড়িতেও আমি খাবারে অনেক চুল পেয়েছি। ওর অভ্যাস আছে।

গতকাল ফাস্টফুডের রেস্তোরায় নিয়েছি ব্ল্যাক ক্র‌্যাসার। খেতে খারাপ না। কোলা এর সাথে লেবু, পুদিনা পাতা ইত্যাদি দেয়া। খাওয়া যখন প্রায় শেষ তখন দেখলাম গ্লাসে চুল। এক বয়কে ডেকে দেখালাম।

ও নিয়ে গিয়ে আবার পাল্টে দিল। এখন আমি এতো খাই কিভাবে? ছেলে (২ বছর) আমার বিপদ দেখে এগিয়ে এলো। ঠান্ডাটাই অনেক খানি ধীরে ধীরে খেয়ে নিল। ফলাফল হলো এখন একটু একটু কাশছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।