আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাট্যোৎসব

https://www.facebook.com/touhidalam69

ছবি ও লেখা : প্রথম আলো ছবি ও লেখা : প্রথম আলো নবীন বৈশাখে রাজধানীর নাট্যামোদীরা আবারও মেতে উঠেছে নাট্যোৎসবে। শিল্পকলা একাডেমীতে চলছে দুটি নাট্যোৎসব। ঢাকার বাইরের বেশ কিছু নাট্যদলও উৎসবে অংশ নিয়েছে। সন্ধ্যায় তাদের পরিবেশনা উপভোগ করতে বিভিন্ন মঞ্চে ভিড় করছে নাট্যামোদীরা। জাতীয় নাট্যশালায় চলছে ফরাসি নাট্যোৎসব।

ফরাসির কালজয়ী নাট্যকারদের নাটক নিয়ে এই উৎসবের তৃতীয় দিন গতকাল সোমবার মঞ্চস্থ হয়েছে জ্যাঁ পল সার্ত্রের লা মা সাল-এর বাংলা অনুবাদ রাজনৈতিক হত্যা। এটি উদীচীর কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের সপ্তদশ প্রযোজনা। নাটকটি অনুবাদ করেছেন অর্পিতা ঘোষ, নির্দেশনা দিয়েছেন রতন দেব। মধ্য ইউরোপের একটি কাল্পনিক দেশ নাটকটির পটভূমি। দেশের নাম ইলিথিয়া।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের কাহিনি। ইলিথিয়ার সরকার জার্মানির সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ। একসময় দেখা যায়, সোভিয়েত সেনাবাহিনী দেশটি দখল করতে আসছে। এ রকম এক অবস্থায় কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে বিদেশি সেনাবাহিনী কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া সরকার, নাকি পরে জনগণের নির্বাচিত সরকার—এই নিয়ে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব।

পার্টির নেতা হোয়েডারার যখন দ্বিতীয় সমাধানটিই সঠিক বলে সবাইকে প্রায় সম্মত করে ফেলেছে, তখন পার্টির অপর অংশ তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউগো নামের এক তরুণকে কাজটি সম্পন্ন করার ভার দেওয়া হয়। সেও সাগ্রহে কাজটি করবে বলে হোয়েডারারের সেক্রেটারি হিসেবে চাকরি নিয়ে তার কাছে যায়। হোয়েডারারের সান্নিধ্যে ইউগোর মনে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব উপস্থিত হয়। শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে হোয়েডারারের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জন্ম নেয়।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউগো তাকে হত্যা করে। পাল্টে যায় দৃশ্যপট। দুই বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে ইউগো দেখে, পার্টি এখন হোয়েডারারের নীতিই গ্রহণ করেছে এবং সে এখন পার্টির কাছে এক অবাঞ্ছিত গুপ্তঘাতক। এবার চক্রান্ত হচ্ছে তাকেই গুপ্ত হত্যার। অবশেষে তাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়, পুরো বিষয়টি ভুলে যেতে হবে।

কিন্তু হোয়েডারারের মৃত্যুকে রাজনৈতিক মহিমাদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউগো খুন হওয়াকেই শ্রেয় মনে করে। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া সেনগুপ্তা, আসলাম অরণ্য, মনোহর চন্দ্র দাস, জিয়াউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, মৌমিতা জান্নাত, কামরুল হাসান, রিফাত হোসেন, বিজন রায় ও মাসুমুর রহমান। পরে একই মঞ্চে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চস্থ করে স্যামুয়েল বেকেটের ওয়েটিং ফর গোডো। দুই ভবঘুরের কহিনি। এস্ট্রাগন ও ভ্লাদিমির।

যারা মেঠোপথে এক গাছের নিচে গোডোর জন্য প্রতীক্ষা করে। এই অপেক্ষার মাঝে তাদের দেখা হয় আরও নতুন দুই চরিত্রের সঙ্গে। তাদের একজন নিষ্ঠুর প্রভু পোজা। অন্যজন নিপীড়িত দাস লাকি। তাদের নিয়েই এগিয়ে যায় ঘটনা।

আতাউর রহমান নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন। নবীন বৈশাখে রাজধানীর নাট্যামোদীরা আবারও মেতে উঠেছে নাট্যোৎসবে। শিল্পকলা একাডেমীতে চলছে দুটি নাট্যোৎসব। ঢাকার বাইরের বেশ কিছু নাট্যদলও উৎসবে অংশ নিয়েছে। সন্ধ্যায় তাদের পরিবেশনা উপভোগ করতে বিভিন্ন মঞ্চে ভিড় করছে নাট্যামোদীরা।

জাতীয় নাট্যশালায় চলছে ফরাসি নাট্যোৎসব। ফরাসির কালজয়ী নাট্যকারদের নাটক নিয়ে এই উৎসবের তৃতীয় দিন গতকাল সোমবার মঞ্চস্থ হয়েছে জ্যাঁ পল সার্ত্রের লা মা সাল-এর বাংলা অনুবাদ রাজনৈতিক হত্যা। এটি উদীচীর কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের সপ্তদশ প্রযোজনা। নাটকটি অনুবাদ করেছেন অর্পিতা ঘোষ, নির্দেশনা দিয়েছেন রতন দেব। মধ্য ইউরোপের একটি কাল্পনিক দেশ নাটকটির পটভূমি।

দেশের নাম ইলিথিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের কাহিনি। ইলিথিয়ার সরকার জার্মানির সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ। একসময় দেখা যায়, সোভিয়েত সেনাবাহিনী দেশটি দখল করতে আসছে। এ রকম এক অবস্থায় কমিউনিস্ট পার্টি দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে বিদেশি সেনাবাহিনী কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া সরকার, নাকি পরে জনগণের নির্বাচিত সরকার—এই নিয়ে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। পার্টির নেতা হোয়েডারার যখন দ্বিতীয় সমাধানটিই সঠিক বলে সবাইকে প্রায় সম্মত করে ফেলেছে, তখন পার্টির অপর অংশ তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউগো নামের এক তরুণকে কাজটি সম্পন্ন করার ভার দেওয়া হয়। সেও সাগ্রহে কাজটি করবে বলে হোয়েডারারের সেক্রেটারি হিসেবে চাকরি নিয়ে তার কাছে যায়। হোয়েডারারের সান্নিধ্যে ইউগোর মনে নানা দ্বিধাদ্বন্দ্ব উপস্থিত হয়।

শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে হোয়েডারারের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জন্ম নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউগো তাকে হত্যা করে। পাল্টে যায় দৃশ্যপট। দুই বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে ইউগো দেখে, পার্টি এখন হোয়েডারারের নীতিই গ্রহণ করেছে এবং সে এখন পার্টির কাছে এক অবাঞ্ছিত গুপ্তঘাতক। এবার চক্রান্ত হচ্ছে তাকেই গুপ্ত হত্যার।

অবশেষে তাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়, পুরো বিষয়টি ভুলে যেতে হবে। কিন্তু হোয়েডারারের মৃত্যুকে রাজনৈতিক মহিমাদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউগো খুন হওয়াকেই শ্রেয় মনে করে। নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া সেনগুপ্তা, আসলাম অরণ্য, মনোহর চন্দ্র দাস, জিয়াউর রহমান, আমিনুল ইসলাম, মৌমিতা জান্নাত, কামরুল হাসান, রিফাত হোসেন, বিজন রায় ও মাসুমুর রহমান। পরে একই মঞ্চে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চস্থ করে স্যামুয়েল বেকেটের ওয়েটিং ফর গোডো। দুই ভবঘুরের কহিনি।

এস্ট্রাগন ও ভ্লাদিমির। যারা মেঠোপথে এক গাছের নিচে গোডোর জন্য প্রতীক্ষা করে। এই অপেক্ষার মাঝে তাদের দেখা হয় আরও নতুন দুই চরিত্রের সঙ্গে। তাদের একজন নিষ্ঠুর প্রভু পোজা। অন্যজন নিপীড়িত দাস লাকি।

তাদের নিয়েই এগিয়ে যায় ঘটনা। আতাউর রহমান নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।