আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহাবাগের ব্লগার ও আন্দোলনরত ভাই বোনেরা এবং দিশাহারা জাতীয়তাবাদি সামুর বন্ধুরা।

। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। বর্তমান সময়টা দেশের জন্য , স্বাধীনতার পক্ষের প্রতিটি নাগরিক এবং আন্দোলনরত একটিভিস্ট-বৃন্দের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। আপনারা নিশ্চই দেখতে পাচ্ছেন ৭১-এর ঘাতকদের সহচররা কতটা উন্মাদ আচরন করছে। এটুকু বলতে পারি আজকের তান্ডব, ৭১ সালের এক হাজার ভাগের ১ভাগ মাত্র।

এই অরাজকতা ও সহিংসতার মাধ্যমে কিছুটা হোলেও উপলব্দী করতে পারছেন নিশ্চই!আমরা যারা মুক্তিযদ্ধকে বুকে ধারন করি, তাদের নিশ্চই বুঝতে অসুবিধা হোচ্ছেনা ৭১-এর ভয়াবহতা। এখন তারা পুনরায় ৭১-এর প্রতিটি অস্রই ব্যাবহার করার চেস্টা করছে ২০১৩ সালে। বর্তমান আধুনিক ইন্টার-নেটের যুগে। যেখানে প্রতিটি মানুষই জলজ্যান্ত একেকজন সংবাদকর্মি। মুহুর্তের মাধ্যমেই যে কোন সংবাদ/ঘটনা পৌছে যাচ্ছে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

আমাদের শত্রু খুবই ধূর্ত এবং কুচক্রী ,এরা ভালো করেই জানে কোন অস্র কখন কিভাবে ব্যাবহার করতে হবে। আমরা সবাই দেখছি নিরিহ ধর্মভীরু মানুষকে নিয়ে কি নোংরা খেলা খেলছে। নিশ্চই সবাই দেখছেন ঘটনা প্রবাহকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রুপদানের জন্য জিবন মরণ চেস্টা করছে। কাজেই ১টা /২টা রায়ের পর আমাদের উল্লসিত হওয়ার কোন কারন নেই। চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত।

৭১-এর ,আমাদের পুর্ব প্রজন্ম স্বাধীনতা অরক্ষিত রেখেই বিজয় উল্লাসে মেতে উঠেছিলো। তাদের ধারনা ছিলো স্বাধীনতা অর্জনেই সবকিছু অর্জিত হোয়ে গেছে। কিন্তু না! স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে রক্ষা করা আরো অনেক বেশি কঠিন। যা তারা বুঝতে পেরেছিলো ৭৫-এর মর্মান্তিক ,ইতিহাসের বৃহৎ ট্রাজিডির পর। আমাদের স্বাধীনতা ছিনতাই হোয়ে গিয়েছিলো ৭১-এর পরাজিত অপশক্তির হাতে।

যার খেসারত দিয়ে চলেছি আমরা আজো। আমাদের অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে তারা সংখ্যায় অল্প হোলেও সুসংহত করেছে নিজেদের শক্তিকে। মধ্যপ্রচ্যের পেট্রো ডলার আর আমেরিকার মডারেট ইসলামি দলের সার্টিফিকেটে বটবৃক্ষের মত ডালপালা ছড়িয়েছে চারিদিকে। কাজেই তাদের বিরুদ্ধে লড়তে হোলে সংযম, ধৈর্য ও বিচক্ষণতা অপরিহার্য। কোন রকম উস্কানিতেই তাদের ফাদে পা দেওয়া যাবেনা।

যুদ্ধাপরাধের বিষয়টা আরো কঠিন করে দিয়েছে রাজনিতীর নোংরা খেলা। যে বিচারটা খুব সহজেই শেষ করা যেতো সেটা বিরোধী দলের হঠকারিতায় হোয়ে গেছে কঠিন থেকে কঠিনতর। কিন্তু বিশ্বাস এবং দৃঢ় মনোবল দিয়ে আমরাই জয়ী হবো ইনশা-আল্লাহ। কারন আমার বিশ্বাস আমরা যারা মনে প্রাণে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার চাই। কোন কিছু পাওয়ার আশায় নিশ্চই এই সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছিনা।

আমাদের মনে রাখতে হবে। এক প্রজন্মের ত্যাগের ফসল পাবে আরেক প্রজন্ম। আমরা স্বধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করছি আজ। এটা ছিল আমাদের পুর্ব প্রজন্মের চুড়ান্ত ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল। বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জিবন বাজী করে যুদ্ধ করেছিলো ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সোনার বাংলার জন্য।

কোন নগদ প্রাপ্তির আশায় তারা যুদ্ধ করে নাই। তাই আমাদেরও মনে রাখতে হবে আমরা যেনো নিজে কি পেলাম না-পেলাম সে হিসাব মেলাতে না বসি। আমরা যারা সামুর ব্লগার। এর জন্য ইতিহাস আমাদের একদিন অবশ্যই স্বরণ করবে। এখন যতই কোনঠাসা হোয়ে থাকিনা কেনো।

কারন ভার্চুয়ালী জগতে সামুই প্রথম যুদ্ধাপরাধিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। যা আজো অব্যাহত আছে। আমরা সামুর ব্লগাররা স্বিকৃতি চাইনা। আমরা চাই প্রকৃত অর্থেই যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের সঠিক পরিসমাপ্তী। অনেকের হয়তো বিশ্বাস হবেনা।

সামুতে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আলাদা বিভাগ দেখলাম। তখন থেকেই সংকল্পবদ্দ হই সামুর এই অবস্থান যতদিন থাকবে আমিও সামুর সাথেই থাকবো। সামু যদি এই অবস্থান থেকে সরে দাড়ায় তখনই ইতি টানবো সামুর সাথে সমস্ত সম্পর্কের। সামুর এই যায়গাটা আমার চাওয়ার সাথে একাকার হোয়ে গেছে। আমি জানি আমি খুব ভালো ব্লগ লিখতে পারিনা।

ভাষার ব্যবহারে ,বানানে অনেক বিচ্যুতি থেকে যায়। কিন্তু যতটুকু লিখি অন্তরের অন্তস্থল থেকেই লিখি। আমার ৯০% লেখা দেশ,রাজনিতী এবং যুদ্ধাপরাধ নিয়ে। কারন যখনই আমি এর বাইরে কিছু লিখতে যাই তখনই মনে হয় যুদ্ধটা এখনও শেষ হয় নাই। কাজেই নিজে না লিখতে পারলেও যারা লিখে তাদের লেখায় কমেন্ট করে উৎসাহিত করি।

অনেক পোস্ট লিখেও মুছে ফেলি মনে হয় সঠিক কাজ করছিনা। কায়মনোবাক্যে প্রর্থণা করি এবার যেনো বিচারটা হয়। আপনাদের কাছে হয়তো আমার আবেদন পৌছুবেনা। কিন্তু তবুও বিনীত ভাবে নিবেদন থাকলো কোন রকম উস্কানিতে অধৈর্য হবেন না। যে কোন প্রশ্নের উত্তর সংযতভাবে দিন।

বিতর্কিত বিষয় এড়িয়ে চলুন। যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু কথা বলুন। যা বলবেন তা যেনো শতভাগ সত্য হয়। মনে রাখবেন আজকে আপনারা যে যুদ্ধটা করছেন তা অস্রের মাধ্যমে নয়। এটা শুধুই মস্তিস্কের যুদ্ধ,স্নায়ুর যুদ্ধ এবং সত্য ন্যায়ের যুদ্ধ।

৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ১টি অধ্যায়ের সফল পরিসমাপ্তীর যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয় ছাড়া কোন বিকল্প নেই,আমাদের জন্য। আগুন জ্বালো আগুন জ্বালো,ব্যার্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো। জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সচেতন ব্লগারবৃন্দ। আপনারা দলীয় প্রেমে কিংবা নেত্রী প্রেমে অন্ধ না থেকে বর্তমান প্রজন্মের ডাকে সাড়া দিয়ে: স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাস্তী নিশ্চিত করার যে আন্দোলন চলছে, তাতে অংশগ্রহণ করে ইতিহাসে স্বরণীয় হোয়ে থাকুন।

আমরা দেখেছি এই ব্লগে আমাদের সাথে একই সুরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছেন। তাহোলে আজ নিশ্চুপ কেনো!আপনারা আপনাদের দল এবং নেত্রীর অবস্থান দেখে হতাশ হোয়েছেন। তাই দুঃখে লজ্জায় নির্লিপ্ত থাকছেন হয়তো। হারিয়ে ফেলেছেন প্রতিবাদের ভাষা। আপনারা যারা আমাদের মত মুক্তিযুদ্ধকে বুকে ধারন করেন তাদের কথা শুনেনি আপনাদের নেতৃবৃন্দ।

তাই বলে এখানেই সবকিছু শেষ নয়। আজকের প্রজন্ম যে যুদ্ধের ডাক দিয়েছে তা শেষ করে নাহয়, আবার যুদ্ধে নামবেন আপনাদের দলকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনতে। আমরা জানি অনেকেই রাগে, ক্ষোভে,দুঃখে সবকিছু ত্যাগ করতে চাইছেন। কিন্তু ভেবে দেখুন এতে কিন্তু যুদ্ধাপরাধীরাই সফল হোচ্ছে। তারা সচেতন একটি জনগোস্ঠিকে নিস্ক্রিয় করে ফেলছে।

আজকের যুদ্ধে আপনারা আমাদের সহযোদ্ধা হোন। আমরা কথা দিচ্ছি আপনাদের যে কোন ন্যায় যুদ্ধের সহযোদ্ধা হবো। মনে রাখবেন আজকের সাফল্যের উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের আগামি দিনের রাজনিতী। আপনারা যদি জামাত/শিবিরকে নিয়ে এই দেশে রাজনিতী অব্যাহত রাখতে চান। তাহোলে কোন কথা নাই।

মনে প্রাণে প্রস্তুতি নিতে পারেন আপনাদেরকে ব্যাবহার করে তালেবানি শাসন কায়েম করবে ঐ কুলাঙ্গাররা। আজকের জামাতের এই অবস্থানে পৌছে যাওয়ার মূল কারন। মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো ডলার এবং আমেরিকার মডারেট ইসলামি দলের সার্টিফিকেট। আর বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই তাদের কখনও না কখনও সাহায্য করেছে। বিশেষ করে সামরিক শাসকরা।

এই দেশে যতটুকু কল্যান হোয়েছে । তা হোয়েছে সাধারন মানুষের চাপে এবং তাদের সুসংহত সংগ্রামের মাধ্যমে। জনগন ৭১-সালে যাদের পরাজিত করেছে পরিত্যাক্ত করেছে। শাসক শ্রেনী ক্ষমতার লোভে অন্ধ হোয়ে পরিত্যাক্ত শক্তিকে পুনর্বাসিত করেছে। ৯০-এর স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছিলো এই দেশের আপামর জনসাধারণ।

তাকে পুনপ্রতিস্ঠা দিয়েছে এই দেশের নোংরা রাজনিতী ও শাসক শ্রেনী। কাজেই আমরা আর কারো খেলার পুতুল হোয়ে থাকতে পারিনা। আঃ লীগকে বার বার বাংলার জনগণ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ফিরিয়ে এনেছে সর্বনাশের পথ থেকে। বিএনপিকেও হয়তো ফিরিয়ে আনা যাবে। কিন্তু তার পুর্বে আমাদেরকে আমাদের স্বাধীনতা সুসংহত করতে হবে।

দেশ থেকে চিরতরে নির্মুল করতে হবে ৭১-এর হায়েনাদেরকে। যারা আমার দেশের পতাকা ছিড়ে ফেলে,আমার দেশের শহীদ মিনার ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার চেস্টা করে। আমাদের জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাতে চায়। নবী এবং ইসলামকে হাতিয়ার করে ,তারা কোনদিন আমাদের দেশে রাজনিতী,ব্যাবসা বানিজ্য কোন কিছু করার অধিকার রাখেনা।

একটা বিষয় আমরা সবাই জানি সাধারন মানুষ কখনও ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনা। কোন কোন সময় তাদের মতামতকে পাল্টে দেওয়া হয়। তাই আজকে আমাদের সবাইকে জেগে উঠতে হবে। জাগো বাহে কোনঠে সবাই। জয় বাংলা।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.