আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহাবাগের উপলব্ধি

সিমপ্লেসট ইন টেস্ট বাট স্যাটিসফাইড অনলি উইথ দা বেস্ট সকালে একটা পরীক্ষা দিলাম। ১১ টায় শেষ হবার পর পরই যাবার ইচ্ছা ছিল শাহাবাগ। আন্দোলনে শরিক হবার বিষয়ের বাইরেও উদ্দেশ্য ছিল জনসমুদ্রের মনোভাব, তাদের আসল আবেগ নিজের চোখে দেখা। খবরের কাগজে সঠিক চিত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় না। সশরীরে উপস্থিতি অনেক অজানা খবরের খোজ দেয়।

আমার যাত্রার সঙ্গীরা অন্য ডিপার্টমেন্ট এর। তাদের ক্লাস শেষ হতে দুপুর ২ টা। যাত্রা পথের বর্ণনা এক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হল। যথেষ্ট ঝামেলার পরে বিকাল ৪ টায় যখন শাহাবাগ প্রজন্ম চত্বর পৌঁছলাম, এলাকা লোকে লোকারণ্য। যে বিষয়টি বিস্মিত করল তা হল মেয়েদের সংখ্যা প্রচুর।

আমি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে গিয়েছিলাম দেখব যে অনেকেই শুধু মজা করতে গেছে। অনেকেই ছেলে বন্ধু বা মেয়ে বন্ধুর সাথে পিকনিক পিকনিক মেজাজে থাকবে এই ধরনের কিছু দেখার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল আমার। নেতিবাচক কিছুর ভয় মানুষ মনস্তাত্ত্বিক কারনেই পায়। আমি সত্যিই বিস্মিত হলাম এটি দেখে যে, সেখানে আমি যতক্ষণ ছিলাম একজন মানুষকে দেখেও আমার অনে হয় নি তারা মজা করতে এসেছেন। এই ধরনের গ্যাদারিং এ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাসির ফোয়ারা দেখা যায়।

হুল্লোড়, হাসাহাসি ছবি তোলা পরিচিত দৃশ্যই। এক্ষেত্রে দেখলাম একদমই তা নেই। প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের ভাষা বলে দিচ্ছে তারা কতটা ক্ষিপ্ত। প্রত্তেকে শ্লোগান দিচ্ছেন যতটা তাদের সামর্থ্যে কুলায়। আরেকটি বিষয় ভাল লেগেছে অবস্থানকারীদের জন্য সামান্য খাবারের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল।

তার বিতরণও ছিল অত্যন্ত সুশৃঙ্খল । আমি যতক্ষণ ছিলাম একটি মেয়ের স্লোগানে চত্বর প্রকম্পিত হচ্ছিল। লাখ লখানেক মানুষকে একটি মেয়ের পক্ষে একলা নিয়ন্ত্রন করতে দেখা বিস্ময়কর। মেয়েটির আশ্চর্য ক্ষমতার সাথে সাথে অবশ্যই স্বীকার করতেই হবে সেখানে উপস্থিত ওই লাখ খানেক মানুষের অবদানকেও যারা সুশৃঙ্খল ভাবে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.