আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে রোমান্সের তিনটি স্তর।

বেহুলার প্রতি অর্ফিয়ুস : স্থুল সফলতার গৌরব শিল্প নয় ।

মাইকেল গুরিয়ান দু-দশক ধরে সম্পর্কিত নারী-পুরুষের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ কিভাবে তাদের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। তিনি রোমান্সের অনুভূতিগুলোকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছেন। রোমান্সের প্রথম পর্যায়টি শুরু হয়, যখন দু-জন নারী-পুরুষ পরস্পরের কাছাকাছি আসে। তখন তাদের মস্তিষ্কের ভেতর এক ধরনের সংকেত অনুভূত হয়, যা অত্যন্ত শক্তিশালী।

তারা যখন পরস্পরের সান্নিধ্যে আসে, তখন তাদের মধ্যে এক ধরনের অদ্ভুত আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এই আলোড়নের ফলে তারা ভাবতে থাকে যে, তাদের অস্তিত্ব সম্পূর্ণ এক হয়ে গেছে; কোনো প্রলয়কারী ভূমিকম্পও এই অস্তিত্বকে ছিন্ন করতে পারবে না। অক্সিটোসিন নামের একটি হরমোন, যেটিকে বলা হয় সম্পর্কের হরমোন (বন্ডিং হরমোন), সেটির উপস্থিতি তখন প্রিয়জনের মধ্যে যে বিরক্তিকর বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলোকে তাদের দৃষ্টির ও অনুভূতির বাইরে সরিয়ে রাখে। আর সে জন্যই, দু-জনকে দুজনের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় মনে হয়। তখন তারা পরস্পরের সামান্য ছোঁয়াকেও স্বর্গীয় সুখ মনে করে।

তবে এই স্বর্গীয় সুখ বেশিদিন চিরস্থায়ী হয় না। সর্বোচ্চ বছর খানেক পর মস্তিষ্কের ক্রিয়া বা সংকেত পরিবর্তিত হতে থাকে, এবং মস্তিষ্কের বিষেশ একটি অংশ থেকে এমন একটি বার্তা আসে, তা হচ্ছে "আমার প্রিয়ার মধ্যে অনেক অসামজ্ঞস্য রয়েছে"। এর ফলে তারা রোমান্সের প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে প্রবেশ করে। ফলে তাদের পরস্পরের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হতে থাকে। এই ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে; ফলে একজনের আচরণ অপরজনের কাছে ক্রমশ বিরক্তিকর ও সন্দেহজনক মনে হতে থাকে।

বিরক্তি ও সন্দেহ ক্রমশ বাড়তে বাড়তে এমন এক অস্বস্তিকর অবস্থায় পৌছায় তখন একজন আরেকজনের ওপর মানসিক অথবা শারীরিক অথবা মানসিক-শারীরিক জোর খাটাতে থাকে। আর তখনই তারা রোমান্সের দ্বিতীয় স্তর থেকে তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করে। তার তখনই শুরু হয় সহ্যহীন ও বিরামহীন ভুমিকম্প। সূত্র : মন ও মানসিকতা --- মেহতাব খানম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।