আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেরণার গল্প............কাজের জন্য ছাত্র/ছাত্রী দেরই বেশি উৎসাহিত করি



প্রথম দিকে প্রতিষ্ঠানটির নাম কুপারস ছিল না। ১৯৮৪ সালে কলাবাগানে ছোট্ট পরিসরে যাত্রা শুরু করে সোরেন্টু নামে। বাংলাদেশে সে সময় বেকারি বা পেস্ট্রি আইটেমের এমন একটি দোকান করা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আইডিয়াটা প্রথম মাথায় আসে ডিজে কুপারসের। ইংল্যান্ডের নাগরিক হলেও তিনি বাংলাদেশেই থাকতেন।

এরপর ১৯৮৬ সালের দিকে সোরেন্টু নাম পাল্টে রাখা হয় কুপারস। ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে বেকারি শপটি। বাড়তে থাকে শাখা। ১৯৯৮ সালে ডিজে কুপারস মারা যাওয়ার পর দায়িত্ব নেন সুফিয়া কুপারস। আর ২০০০ সালে পরিচালনার দায়িত্ব আসে বড় ছেলে জন কুপারের কাঁধে।

তত দিনে মোটামুটি ভালো একটি পর্যায়ে চলে আসে বেকারি শপটি। খাবারের মান, পরিবেশন_সব মিলিয়ে ক্রেতার আস্থা কুড়াতে সক্ষম হয়। আর বর্তমানে এর দায়িত্বে আছেন ছোট ছেলে সায়মন কুপার। আমাদের কেক আইটেম খুবই কম। আমার মনে হয়, এ জন্যই এর সুনাম এত বেশি।

আমরা কম আইটেম রেখে তার মান ও স্বাদ শতভাগ ঠিক রাখতে চাই। উৎপাদন থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌছে দেওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানদন্ড প্রতিষ্ঠান হ্যাজারড অ্যানালাইসিস ক্রিটিকাল কন্ট্রোল পয়েন্ট (এইচএসিসিপি)-এর বেঁধে দেওয়া নিয়ম মানা হয়। কুপারসের সফলতার জন্য আমি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে সমান কৃতিত্ব দিতে চাই। আমরা একটি টিম হিসেবে কাজ করতে চাই। ২০০৪ সাল পর্যন্ত আমাদের শাখা ছিল ৬টি আর বর্তমানে এর শাখা ১০টি।

আমাদের খাবারগুলো দিনে দুইবার ফ্যাক্টরি থেকে সরবরাহ করা হয়। ব্রেড আইটেমগুলো এক দিনের বেশি রাখা হয় না। আর কেক আইটেমগুলো তিন দিন পর্যন্ত রাখা হয়। ২০০৯ সালে আশুলিয়ায় ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গায় ফ্যাক্টরি করা হয়। সেখান থেকেই খাবার সরবরাহ করা হয়।

বর্তমানে আমরা শাখা বাড়ানো ছাড়াও বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) ব্যবসা শুরু করেছি। বিভিন্ন করপোরেট পার্টি, ফাস্টফুডের দোকান এবং এয়ারলাইসে আমাদের খাবার সরবরাহ করি। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের জিইসিতে একটি শাখা খোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে শাখা সম্প্রসারণ শুরু করেছি। তাই কাজেরও একটি নতুন জায়গা তৈরি হচ্ছে।

আমরা কাজের জন্য ছাত্রছাত্রীদেরই বেশি উৎসাহিত করি। তবে আমার মতে, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীদের খণ্ডকালীন কাজের মতো দৃঢ় মানসিকতা এখনো তৈরি হয়নি। তারা কাজটাকে শখ হিসেবে নিতে চায়। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার আগে ভাবতে হবে, সে পড়াশোনা বা খণ্ডকালীন কাজ_যা-ই করুক তাতে পেশাদার হতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীরা হুট করে পরীক্ষার এক দিন আগে বা সকালে বলে ওঠে, তার পরীক্ষার জন্য ছুটি লাগবে।

কিন্তু সে তো এই পরীক্ষার তারিখটা আরো কিছুদিন আগেও জানাতে পারত। এতে তার পেশাদারি মনোভাব ও কাজের প্রতি একাগ্রতা প্রকাশ পায়। বর্তমানে আমাদের বিভিন্ন আউটলেটে ২৫০ জন কর্মী আছে। কিছুদিনের মধ্যেই নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীদের কাজের জায়গা হিসেবে কুপারস খুবই ভালো।

আর পর্যটনের বিভিন্ন কোর্স করার পরও এখানে কাজের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বেকারি অ্যান্ড পেস্ট্রি শপ বিষয়ে গত তিন বছর বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন থেকে পাস করা ব্যক্তিদের সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই সাধারণ পড়াশোনার বাইরে পর্যটনের কোর্সগুলোর চাহিদার কথাও বিবেচনা করতে হবে। সুত্র : কা.ক.


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.