আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেহেরি তে ভোগান্তিঃ

i want to live simple and die simple

সেহেরি তে ভোগান্তিঃ উঠছি হোটেলে । সেহেরি খাইতে হইবো বাইরে খাবার হোটে্লে । কি হয় না হয় ! তাই একটু আগে ভাগেই বেরোলাম । আমার আশঙ্কা সত্যি । সব ভালো খাবার হোটেল বন্ধ বেশ কিছুক্ষণ এধার ওধার করে চলনসই একটা হোটেল ( আগে এখানে খাইনি ) ঢুকলাম ।

মরগী বুললাম । তরকারির চেহারা দেখে সিদ্ধান্ত পালটে দুধ-কলা বললাম (যেহেতু এটা তে রান্নার ব্যাপার নাই ) । দিয়ে যাওয়া ভাতের থালার দিকে এবার চেয়ে দেখি -থালা চারপাশে এটো শুকিয়ে আছে । ডেকে দেখালাম এবং ক্ষিধা নিয়া বের হয়ে আসলাম । আরেকটু খুজে আরেকটু নিম্নমানের হোটেল পেলাম ।

তরকারির ঝুকি না নিয়ে সরাসরি দুধ-কলা বললাম । কলা দিয়ে ভাত মাখছি এমন সময় দুধ দিল । কিন্তু আশাহত হলাম- দুধ ঠান্ডা । কি আর করা । পাতে নিয়ে মেখে এক নলা মুখে নিয়ে দেখি – টক ! দুধ মাঠা হয়ে গেছে ।

দোকানিকে বললাম ( দাড়ি টুপি ওয়ালা বুড়ো ) – দ্যাখেন ভাই , আমদের ভাল-মন্দ খাইয়া অভ্যাস । দুই টাকা বেশি নেন কিন্তু হাবিজাবি খাওয়াইয়েন না । দোকানি মানতে নারাজ । বলে – দুধ নস্ট হইলে তো জইমা যাইত । যুক্তির গুস্ঠি কিলাই ( পেটে আগুন) ।

এসব সিচুয়েশন কিভাবে ট্যাকল করতে হয় ভালই জানি । সঙ্গে সঙ্গে সামনে খেতে থাকা লোককে দুধের গ্লাসটা ঠেলে দিয়ে বললাম –ভাই ,একটু খেয়ে বলেন তো এটাকে দুধ বলা যায় কিনা ! উনি বিশেষগ্য মতামত দিলেন – ‘না’ সূচক মাথা নেড়ে । আমিও এক স্কেল গলা উচিয়ে বললাম- দোকানদারদের এই এক সমস্যা নিজের জিনিষকে কখনো তারা খারাপ বলবেনা । একশ জনকে এই দুধ খাওয়াব । যদি কেউ বলে এটা দুধ তাহলে এখনি এই খানে বসে আপনার সব দুধ কিনে নেবো ।

নতুন প্লেটে নতুন ভাত এলো । এবার মেন্যু ইলিশ মাছ । না , দুরভাগ্য পিছু ছাড়েনি – আছে শুধু মাথা আর লেজ ; যেটা আমি সহজে খেতে পারি না । কিন্তু আর ঘোরাঘুরি ভালো লাগবেনা তাই আস্তে খেয়ে নিলাম । স্বা্ন্তনাঃ ঝারির কারনেই হোক অথবা মনে মনে নিজের দুধকে নস্ট বলে স্বী্কার করে নেয়ার কারনেই হোক , দোকানী শুধু ইলিশের দাম ই রেখেছে ; দুধ-কলার দাম রখে নাই ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।