আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাত্র চাই!!! বিশ্বের সবচেয়ে কাংখিত অবিবাহিত রাজকুমারী। টেরাই কইরা দেখতে পারেন।

আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি
প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ের বাদ্য বেজে উঠেছে। এই মাসের শেষেই তার শুভবিবাহের আয়োজন সম্পন্ন হবে। দীর্ঘ সাত বছর ডেটিং করার পর প্রেমিকা কেট মিডলসনকে তিনি বিয়ে করছেন। তাকে বিয়ে করার পর সাধারন পরিবারের মেয়ে কেট হয়ে যাবেন একজন প্রিন্সেস। মর্ডান যুগের রুপকথা।

তবে ব্লগের অবিবাহিত ভাইদের প্রিন্স হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য নিয়ে এসেছি এইযুগের দশজন রাজকন্যার বায়োডাটা। কুষ্টি আর রাশি মিলিয়ে লেগে যেতে পারেন কাজে। যদি লাইগ্যা যায়!!! ১। প্রিন্সেস অব সুইডেন: এই রাজকইন্যার নাম মেডেলিন থেরেসা জোসেপি। তার বয়স ২৮।

সুইডিস রয়্যাল পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যা মেডেলিন এবং সিংহাসনের ৩য় উত্তরসূরী। ফ্যাশেনেবল নীল নয়না এই সুন্দরী ২০০৯ সালে ফোর্বেস ম্যাগাজিনের সেরা ২০ হটেস্ট ইয়ং রয়্যালস তালিকায় ছিলেন। ২। প্রিন্সেস অব হ্যানোভার: প্রিন্সেস অব হ্যানোভার ক্যারোলিনের সন্তান আর হলিউড লিজেন্ড গ্রেস ক্যালির নাতনী মোনাকোর প্রিন্সেস চার্লট মেরী পোমেলাইন ক্যাসিরাগি। তিনি সিংহাসনের ৪র্থ উত্তরসূরী।

মেরী একজন লেখিকা। অনেক নামকরা পাবলিকেন্স-এ তার লেখা রয়েছে। ৩। প্রিন্সেস অব ভুটান: এই প্রিন্সেসের নাম সোনম ডেচেন ওয়াংচুক। তিনি আগের রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের কন্যা এবং বর্তমান রাজার সৎবোন।

স্মার্ট এই তরুনী হার্ভাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ৪। প্রিন্সেস ব্যাটরিস অব ইয়র্ক: ডাচেস অব ইয়র্ক প্রিন্স এ্যান্ড্রু ও প্রিন্সেস সারাহ'র জোষ্ঠা কন্যা এই ২২ বছর বয়স্কা ব্যাটরিস এলিজাবেথ মেরী উইন্ডসর। আকর্ষনীয় সুন্দরী স্লীম এই কইন্যার একজন বয়ফেন্ড আছে। তবে ভাইলোগ নো চিন্তা হাতে কোনো আংটি নাই বলে ধরনা করা হয় তিনি এখনো বিবাহের জন্য উম্মুক্ত।

৫। প্রিন্সেস ইগুউন অব ইয়র্ক: ডাচেস অব ইয়র্ক প্রিন্স এ্যান্ড্রু ও প্রিন্সেস সারাহ'র কনিষ্ঠা কন্যা এবং প্রিন্সেস ব্যাটরিসের ছোট বোন ইগুউন ভিক্টোরিয়া উইন্ডসর। তার বয়স ২০ বছর। এই কইন্যা নাকি অনেক বুদ্ধিমতী এবং তার রেজাল্ট খুব ভালো। সে নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে।

৬। প্রিন্সেস অব সোয়াজিল্যান্ড: শক্ত সমর্থ ও আত্মবিশ্বাসী পুরুষরা এইখানে আবেদনে অগ্রাধিকার পাবে। কারণ এই কইন্যা একটি জলন্ত উনুন। উৎশৃংখল ও নিয়ম ভাংগায় পারদর্শী এই কইন্যার মুখের ভাষা খুব খারাপ। তবে সে একজন উদীয়মান অভিনেত্রী ও র‌্যাপ সিংগার।

৭। প্রিন্সেস অব তাকামাডো: তাকামাডো জাপানের একটি প্রদেশের নাম। এই প্রিন্সেসের নাম সুজুকো। তিনি জাপানের বর্তমান সম্রাট আকিহিতোর জেঠতুটো বোন ও প্রয়াত সম্রাট তাকামাডোর জোষ্ঠা কন্যা। মিডিয়ায় রাজপরিবারের সংবাদ পরিবেশনের কড়াকড়ির জন্য তার সম্পর্কে খুব বেশী জানা যায় না।

তবে এটুকু নিশচিত বলা যায় তিনি উচ্চশিক্ষিতা, সুন্দরী, উচ্চবিত্ত ও রুচিশীল। ৮। প্রিন্সেস অব থাইল্যান্ড: প্রিন্সেস সিরিভান্নাভারি, ক্রাউন প্রিন্স মাহা ভাজিরালংকমের কন্যা। তার পিতা-মাতার ডির্ভোসের পর তিনি ইংল্যান্ড চলে যান কিন্তু থাইল্যান্ড গিয়েছেন তার পিতামহ থেকে প্রিন্সেসের ক্রাউন নেয়ার জন্য। রাজপরিবারের সদস্য হওয়া স্বত্ত্বেও তিনি একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার।

প্যারিস এবং ব্যাংককে তার অনেক শো হয়েছে। ৯। প্রিন্সেস অব গ্রীস এন্ড ডেনমার্ক: গ্রীসের রাজা ২য় কনসটাইন এবং ডেনমার্কের রাজকুমারীর কনিষ্ঠা কন্যা প্রিন্সেস থিয়োডোরা। কিন্তু এই রাজকন্যা কোনোদিন রাণী হতে পারবেননা। কারণ তার জন্মের ৯ বছর আগে রাজতন্ত্র বিলোপ হয়।

তারপরও তার শরীরে বইছে রাজকীয় রক্ত এবং তদের পরিবার এখনও যথেষ্ট ধনী। ১০। প্রিন্সেস অব জর্ডান: প্রিন্সেস ইমাম বিনতে আল-হুসেইন পরয়াত রাজা হুসাইনের কন্যা। তার সৌন্দর্য আর সাহসের জন্য তিনি বিখ্যাত। তিনি জর্ডানিয়ান আর্মির সাথে জড়িত।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।