আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাত্র কই? পাত্র কখন আসবে?

আমার এক মামা থাকে তাঁর এক বন্ধুর বাসায়। সেই বন্ধুর এক ভাতিজি আছে বিবাহযোগ্য। মামার ঢাকায় কোনও থাকার জায়গা না থাকায় সেই বন্ধুর বাসায় থাকতেন। বন্ধুর ভাতিজির সাথে আমার বিয়ে করিয়ে দেবেন এই আশা দেখিয়ে মামা দিব্যি সেই বাসায় অন্নধংস করছিলেন। আমি ছুটিতে আসলেই বিয়ের কথা হবে এইবলে বেশ কিছুদিন পার করে দিলেন।

(আমি চাকরী করি ঢাকার বাইরে) কিন্তু মামার সেই বন্ধু এবার নাছরবান্দা। তিনি মামাকে আল্টিমেটাম দিলেন এক মাসের মধ্যে পাত্র দেখার বেবস্থা করতে হবে। মামা পরলেন বিপদে,আর সেই সাথে আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, ভাইগ্না আমাকে বাচাও। আমি বললাম, মামা আম্মা শুনলে মেরেই ফেলবে। মামা বলল, কেউ জানবে না।

তুই শুধুমাত্র একবার দেখা করে যা। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, “মামা যদি আমাকে পাত্রীপক্ষ পছন্দ করে ফেলে? মামা বলল,” আরে তখন তুই কিছু একটা বলে দিস। বলবি যে, তুই পড়ে সিদধান্ত জানাবি। এযাত্রা আমাকে উধধার কর। ” শেষপর্যন্ত মামার প্রস্তাবে রাজি হলাম।

আমি ছুটিও পেয়ে গেলাম, ছুটিতে ঢাকায় এলাম। জোনাকি সিনেমার সামনে একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দেখা করার কথা হল। পাত্রিপক্ষ হতে পাত্রি, পাত্রীর চাচা- চাচী,ভাই এলো আর এদিকে আমি আর আমার মামা। আমরা আগেই গিয়ে বসে ছিলাম। কিছুখন পর উনারা সবাই এলেন।

টেবিলে বসে আমি খুবি অসস্তি বোধ করছি। তা আরও বেরে গেলো চাচীর কথা শুনে। চাচী বল্লেন," আর কতক্ষণ বসে থাকব? পাত্র কই? পাত্র কখন আসবে?” এই কথা শুনে আমি আর মামা দুজনেই কেশে উঠলাম। আমি লজ্জায় মারা যাচ্ছি, মামাও তাই। মামাকে গুঁতো দিলাম।

মামা আমাকে দেখিয়ে বল্লেন, “ আপা, এইজে আমার ভাগ্নে । “ চাচী হতভম্ব হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। আমি মাথা তুলে দেখলাম কয়েক জোড়া চোখ আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কি করব বুঝতে না পেরে বলে উঠলাম “ আসসালামু আলাইকুম। ” পাত্রীর বড় ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করলেন “ ভাইয়া তোমার বয়স কত?” আমি কাপা কণ্ঠে বললাম ‘ জি।

২৫ বছর। ‘ প্রতিউত্তরে তিনি শুধু বল্লেন” তুমি মেয়ে দেখতে এসেছ, তাকি তোমার বাসায় জানে?” ওদিকে মামার বন্ধু মামাকে বলল,” দোস্ত, তুই একটা বাচ্চা ছেলে নিয়ে এলি বিয়ে দেয়ার জন্য?” এখানেই শেষ। আমি আর মামা কোনমতে সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। মামা রিক্সাতে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,” ভাইগ্না কি মাইন্ড খাইস? তুমারে বাচ্চা বলল?” আমি রাগে গরগর করতে করতে বললাম, “ ইসসস,মামা মেয়েটার সাথে একবার কথাও বলতে পারলাম না । “ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।