আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যখন পৃথিবী মানুষের বসবাসের অনুপোযোগী উত্তাপে পৌছাবে

আমার সম্পর্কে কিছু বলার স্পর্ধা এখনও আমার হয়নি….
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা যায় পৃথিবীর কয়েকটি স্থান আগামী কয়েক শতাব্দির মধ্যে এতটাই উত্তপ্ত স্থানে পরিনত হবে যে সেখানে আর বসবাস করা যাবে না। ত্রয়োবিংশ শতাব্দির শেষের দিকে তেল-আবিভ বা সাংহাই এর মত ব্যস্ত শহর গুলো জনশূন্য হয়ে পড়বে। কিংবা আফ্রিকা চায়না ব্রাজিল ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার অনেক অংশে মানুষের জাতায়াত বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারন এই সব অঞ্চল এতটাই উষ্ণ ও আদ্র হবে যে কেউই এয়ার কন্ডিশন আশ্রয় ছাড়া বাচতে পারবে না। এই রকমই একটা চিত্র ফুটে উঠেছে এই বছরের শুরুর দিকে একটা গবেষনা থেকে।

সব কিছু যেমন চলছে তেমনই যদি চলতে থাকে তাহলে আগামী এক শতাব্দির মধ্যে পৃথিবীর কিছু কিছু যায়গা এতোটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে যে সেখানে এয়ার কনিডশন ছাড়া বাঁচা সম্ভব হবে না্। আর আজ থেকে তিনশ বছর পরে পৃথিবীর অর্ধেক জনবহুল স্থানে এই অবস্থা সৃষ্টি হবে। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যায়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী স্টিভেন শেরউড বলেন, “একেবারে মৌলিক পদার্থবিজ্ঞানে ধারনা থেকে আমরা বলতে পারি এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি হবে যখন তাপ এবং আদ্রতা অসহনীয় হয়ে পড়বে এবং মনে হচ্ছে না কেউ এটাকে এখনো জলবায়ুর পরিবর্তনের দৃষ্টিকোন থেকে দেখছে”। তিনি আরও বলেন, “যখন আমরা সকল তথ্য উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করি তাহলে দেখা যাবে যতটা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এই অবস্থা আসতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে তার বহু আগেই তা আসবে”। বিষ্ময়কর ব্যাপার হলো বিজ্ঞানীরা আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক কুফল সম্পর্কে সচেতন করেছেন এতাদিন।

কিন্তু সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা, খরা, বৈরী আবহাওয়া কিংবা ভুমি ধশ এর মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলো সম্পর্কে আমরা জানলেও এটা আমরা হয়ত কেউই জানতাম না পৃথিবীর এতো বড় একটা অংশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। আসলেই কি আমরা এমন একটি অবস্থার দিকে যাচ্ছি? মানুষের তাপ সহ্য করার ক্ষমতা কতটুকু? বা বৈশ্বিক উষ্ণতা আসলেই কি কিছু কিছু অঞ্চলকে এই সহ্য ক্ষমতার বেশী উষ্ণ করে তুলবে? আমরা জানি এখনই প্রতি বছর পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে মারা যায়। শুধু ফ্রান্সেই ২০০৩ সালে ১৪৮০০ মানুষ হিট-স্ট্রোকে মারা যায়। গোটা বছরে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রে যতজন মানুষ হারিকেন, টর্নেডো এবং বন্যায় মারা যায় তার থেকেও বেশী মানুষ তীব্র তাপপ্রবাহে মারা যায়। বয়ষ্ক এবং শিশুরাই তাপপ্রবাহের সবচেয়ে ভয়াবহ শিকার।

এই তাপপ্রবাহের তীব্রতা দিন দিন যত বৃদ্ধি পাবে মানুষের মৃত্যু সংখ্যাও তত বাড়বে। এমকি স্বাস্থ্যবান পূর্ণবয়ষ্ক মানুষেও এই তীব্র উষ্ণতার সাথে খাপ খাবার ক্ষমতাও হ্রাস পাবে যখন দীর্ঘদিন ধরে তীব্র উষ্ণতা এবং কীব্র আদ্রতা বজায় থাকে। আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানোর জন্য আমাদের শরীরে উষ্ণতা ৩৭ ডিগ্রি সেরসিয়াস থাকতে হয়। এটি যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌছে তাহলে আমরা মারা যাব। আসলে উষ্ণতার ফলে মানুষের মৃত্যু কেন হয় তার কারন এখনো সঠিক ভাবে জানা যায়নি।

আমাদের শরীরের উত্তাপ বেড়ে গেলে তা কমানোর জন্যে রক্ত ত্বকের নীচে দিয়ে বেশী করে প্রবাহিত হয়। ফলে পেটের অন্ত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ কমে যায়। অন্ত্রের ক্ষতিগ্রস্থ অংশ থেকে ব্যাকটেরিয়াজনীত বিসাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়ে রক্ত প্রবাহের সাথে মিশে যায়। এবং এটাই পরবর্তীতে অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি সাধন করে। শুষ্ক আবহাওয়াতে আমাদের ত্বক ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশী তাপ সহ্য করতে পারে।

কিন্তু যদি জলবায়ুতে আদ্রতা থাকে তাহলে এই সহ্য ক্ষমতা কমে যায়। তখন আমাদের ত্বক ৩৫ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশী তাপ সহ্য করতে পারবে না। অতএব এটা পরিষ্কার যে আমাদের অবশ্যই এই ক্রমবর্ধমান উষ্ণতাকে রোধ করতে হবে। তাই শুধু তাপমাত্রা দিয়ে তাই মানুষের টিকে থাকার সীমা নির্ধারন করা ঠিক নয়। তাপমাত্রার সাথে সাথে আদ্রতাকেও আমলে নিতে হবে।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার এর “ হিউমেন থার্মোগুলেশন ” বিশেষজ্ঞ ক্রিস বার্নি বলেন “ আদ্র জলবায়ুতে মানুষ ৩৫ ডিগ্রি বা তার বেশী তাপমাত্রায় না টিকতে থাকার পেছনে যথেষ্ট কারন রয়েছে। কেননা স্বাভাবিক সময়ে আমরা আমাদের শরীর থেকে তাপ পরিবেশে ছেড়ে দেই। কিস্তু এই অবস্থায় পরিবেশ থেকে তাপ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এবং এই ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই যদি এই হারে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে আমরা আমাদের জনগোষ্ঠি একটা বড় অংশকে ভয়াবহ বিপদের সম্মুখিন করতে যাচ্ছি”। বিগত কয়েক দশক ধরে পৃথিবীতে এমন স্থান খুজে পাবার চেষ্টা চলছে যেখানে জলবায়ুতে আদ্রতার উপস্থিতিতে তাপমাত্রা মানুষের সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ্ ভ্যালী এর মত কিছু কিছু যায়গা পাওয়া গেছে যেখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশী । তবে এই তাপমাত্রায় আদ্রতা অনেক কম ছিলো। মরুভুমিতে উষ্ণতা যতই বাড়ুকনা কেন আদ্রতা অনেক কম থাকে। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোথাও অনেক আদ্র জলবায়ুতে উষ্ণতা ৩১ ডিগ্রি সেরসিয়াসের বেশী বাড়েনি। তাই বেশী আদ্রতায় তাপমাত্রা বাড়লে অবস্থা কতটা ভয়াবহ হবে তা আমরা অনুভব করতে পারি না।

আদ্রতায় উষ্ণতা বেশী অনুভুত হবার একটা প্রাকৃতিক কারন রয়েছে। সেটা হলো আদ্র উত্তপ্ত বাতাসের ঘনত্ব একই তাপমাত্রার শুষ্ক বাতাসের চেয়ে কম থাকে। কারন আদ্র বাতাসের জলকণার চেয়ে শুষ্ক বাতাসের অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের ওজন বেশী থাকে। ফলে আদ্র বাতাস উপরে উঠে যেতে শুরু করে এবং সেখানে শুষ্ক বাতাস এসে জায়গা করে নেয়। এই সময়ে জলকণা সুপ্ত তাপ বাতাসে ছেড়ে দেয়্ এতে করে একই তাপমাত্রা শুষ্ক বাতাসের চেয়ে আদ্র বাতাসে উষ্ণতা বেশী অুনুভুত হয়।

তবে আবহাওয়ার জন্যে এই রকম আদ্রতায় উচ্চ তাপমাত্রা একটি ভারসাম্যহীন অবস্থার সৃষ্টি করে। তাই প্রায়ই এই রকম বেশী আদ্রতায় উষ্ণতা বেড়ে গেলে ঝড়বৃষ্টি সৃষ্টি হয় এবং আবহাওয়া ঠান্ডা হয়। আমাদের দেশে আমরা এই কারনেই কালবৈশাখী দেখে থাকি। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হলো এই রকম অবস্থা তখনই সৃষ্টি হবে যদি আশেপাশে কম ঘত্বের বাতাস থাকে। কিন্তু যখন পুরো গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলই একই সাথে উচ্চ আদ্রতায় প্রচুর উত্তপ্ত হয়ে যায় তখন এই প্রাকৃতিক শীতলীকরন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে।

আর সেখানেই আমাদের সবচেয়ে বড় ভয়। তাপমাত্রা কতটুকু বাড়লে সেটা আদ্রবাতাসের তাপমাত্রায় কি প্রভাব ফেলে তা দেখার জন্যে একটি কম্পিউটার মডেল তৈরী করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যায় যদি পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস বাড়ে তাহলে আদ্রতা সহ উষ্ণতা বৃদ্ধি স্কেলে সেটার মান হবে .৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যুক্তরজ্যের এক্সেটার অঞ্চলের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পিটার স্কট ও এই আশঙ্কার সাথে একমত পোষন করেন। তিনি বলেন, “আমরাও আমাদের সহকর্মীদের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা করেছি এবং একমত হয়েছি যে তাপমাত্রার সাথে আদ্রতা বৃদ্ধির এবং দুটো একসাথে থাকলে ব্যাপারটার যে ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং এই ব্যাপারে চিন্তিত হবার মত যথেষ্ট তথ্য প্রমান রয়েছে”।

আমরা উচ্চ আদ্রতায় তাপমাত্রা বেশী হবার যে ভয়াবহ দৃশ্য কল্পা করছি তা ক্তিু খুব একটা দুরের ঘটনা নয়। পৃথিবীর বর্তমান তাপমাত্রা আর মাত্র ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলেই আদ্রতা ও উষ্ঞতার স্কেলে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পরিত হবে যেটা আমাদের টিকে থাকার জন্যে যথেষ্ট বাধার সৃষ্টি করবে। শুধু তাই নয়, আজকের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে বৃদ্দি পাবার পথেই ক্রমেই তাপপ্রবাহে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যারা বাইরে কাজ করে তাদের কর্মক্ষমতা কমবে। যা অর্থনীতির উপরও বিরুপ প্রভাব ফেলবে।

এবং অধিক উষ্ণ দেশ গুলো থেকে অপেক্ষাকৃত ঠা্ন্ডা দেশগুলোতে মানুষের স্থানান্তরিত হবার হারও বৃদ্ধি পাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেছেন। এবং তাপমাত্রা যদি আর ১২ ডিগ্রী বাড়ে তাহলে পৃথিবীর অর্ধেক অংশ বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে। এই তালিকারয় আছে আমাজন উপকূল, ভারত, আফ্রিকার একাংশ, চীন, অস্ট্রেলিযা এবং যুক্তরাষ্ট্রির দক্ষি-পূর্ব অংশ। এই যায়গাগুলো ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত অঞ্চল। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এই সব অঞ্চলের মানুষেরা এয়ারকন্ডিশনে অথবা ভূগর্ভের নীচে বসবাসে অভ্যস্ত হবার চেষ্টা করবে।

এতে করে জীবযাত্রার ব্যায় যেমন বাড়বে সেই সাথে যদি কোন কারনে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক মানুষ মারা যাবে। এই ভাবে অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ অঞ্চলে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার জন্যে সেখানে সম্পদ এবং ভুমি নিয়ে বিরোধ সৃ্ষ্টি হবে। নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির মেইলম্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ এর ‘জলবায়ু ও পরিবেশ’ প্রকল্পের পরিচালক পেট্রিক কিননেই বলেন, “যে চিত্র আমাদের সামনে উঠে এসেছে তা যথেষ্ট ধংসাত্মক। মানুষ উষ্ণতাজনিত মৃত্যু যে পরিমানে হবে বলে এতোদিন হিসেব কষেছে বাস্তব অবস্থা তার চেয়ে আরও ভয়াবহ হবে”। তিনি আরও বলেন, “ উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ, পরীক্ষানিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ থেকে এই আশংকার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়।

আমরা এতোদিন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা কতটুকু অসুস্থ হবো তাই নিয়ে আলোচনা করেছ কিন্তু কেউ চিন্তাও করিনি অবস্থা এতোটাই বিপর্যস্ত হবে যে আমাদের বেচে থাকাটাই অসম্ভব হয়ে যাবে”। কিননেই পৃথিবীর অর্ধেক অঞ্চল বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাবার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, পৃথিবীর যতটুকুই বসবাসের অসুপয্গেী হয়ে যাক না কেন, তা আমাদের সকলের জ্যে যথেষ্ট বিপদ সংকেত বহন করছে। এখন যদি কেউ প্রশ্ন করেন আসলেই কি পৃথিবীর তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তার বেশী বাড়তে পারে? উত্তর হবে, হ্যা। এবং এই তাপমাত্রা বেড়ে যাবার সম্ভবনা এবং সুযোগ দুটোই খুব বেশী। আমরা জানি বিশ্বের উষ্ণতা নির্ভর করে আমরা পরিবেশে কতটুকু কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছেড়ে দিচ্ছি এবং সেটি জলবায়ুকে কতটুকু উত্তপ্ত করছে তার উপর।

আন্তঃরাষ্ট্রীয় জলবায়ু পরিবর্ত পরিষদ(আইপিসিসি)-এর তথ্য অনুযায়ী বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমান তিন থেকে চার ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যায়। এবং আমরা এখন যেই ভাবে কার্বন নিঃসরন করে যাচ্ছি সেই ভাবে করতে থাকলে যদি তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসও বাড়ে তাহলে সেই ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে পৌছুতে আমাদের মাত্র এক শতাব্দি সময় লাগবে। আমরা যদি আমাদের কার্বন নিঃসরন কমিয়ে দিই তাহলেই কেবল মাত্র এই অবস্থাকে বিলম্বিত করা সম্ভব হবে। আরও লক্ষনীয় বিষয় হলো আইপিসিসি কার্বন নিঃসরনের জন্যে জলবায়ুর সংবেদনশীলতাকে পরিমাপ করেছেন একটা কম্পিউটার মডেলিং ব্যাবহার করে। তারা অন্যান্য সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি গুলো বাদ দিয়েছেন।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে প্রকৃত জলবায়ু সংবেদনশীলতার মান কম্পিউটার মডেলিং এর ফলাফলের চেয়ে বেশী হতে পারে। অনেকের মতে তাই আগামী এক শতাব্দিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমান ৭ডিগ্রী সেলসিয়াসের চেয়ে বেশীও হতে পারে। এবং আগামী শতাব্দি গুলোতে এই বৃদ্ধির আরও ভয়াবহ অবস্থায় উপোনিত হবে। এবং সেই বৃদ্ধির পরিমান ১০, ১২ এমকি ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসও হতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। আমরা যদি সব গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসর বন্ধ করে দিয়ে শুধু কার্বন ডাই অক্সাইড বায়ুমন্ডলে এই পরিমানে ছাড়তে থাকি তাহলেও তাপমাত্রার এই উর্ধগতি অবশ্যম্ভাবী।

আমারা যে বিশাল পরিমান জীবাষ্ম জ্বালানী শুধুমাত্র অপচয় করি তার হিসাবও তৈরী করতে হবে। এতে আর কিছু হোক না হোক অন্তত অনেকেই এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা শুরু করবে। অতএব এখন আমরা যদি আমাদেরকে ধংশের হাত থেকে রক্ষা করতে চাই তাহলে অতি শীগ্রই এই কার্বন নিসঃরন কমাতে হবে। কেনা যখন উচ্চ আদ্রতায় তাপমাত্রা বেড়ে যাবে তখন আমাদের বাসযোগ্য যায়গা কমে যাবার সাথে সাথে বেচে থাকার অন্যান্য উপাদানের সাথে আমাদের টিকে থাকাটাও ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের মুখে। হয়ত আমাদের একটা বড় অংশ এই চ্যালেঞ্জে হেরে গিয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে।

তাই এখনই আমাদের উচিত আমাদের ভবিষ্যতকে বিপদমুক্ত করতে বর্তমানের সঠিক পদক্ষেপ নেয়া। [তথ্যসূত্র: http://www.newscientist.com]
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।