আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীমঙ্গলে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রায় ঘোষণা / ৪৪ বিডিআর জোয়ানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড

আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত বুধবার বিডিআর বিদ্রোহ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মামলার আসামী ৪৪ বিডিআর জোয়ানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছে বিশেষ আদালত। বিডিাআর বিদ্রোহ মামলা পরিচালনার জন্য শ্রীমঙ্গলস্থ বিজিবি’র সদর দপ্তরে স্থাপিত বিশেষ আদালত-১৪ এ বুধবার সকাল ৯ টায় কোর্টের সভাপতি বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন এবং সকাল ১০ টায় রায় ঘোষণার মাধ্যমে অত্র মামলার নিষ্পত্তি ঘোষণা করেন। বিচার কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে মামলার সভাপতি তার বক্তব্য প্রদান করেন এবং পরে আসামীদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে অভিযুক্ত ৪৪ বিডিআর জোয়ানকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাসহ প্রত্যোককে নগদ ১০০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

এর মধ্যে ৩ জনকে ৭ বছর, ১ জনকে ৬ বছর, ৭ জনকে ৫ বছর, ২ জনকে ৪ বছর, ১ জনকে ৩ বছর ৬ মাস, ৬ জনকে ৩ বছর, ২ জনকে ২ বছর ৬ মাস, ৭ জনকে ২ বছর, ৫ জনকে ১ বছর ৬ মাস, ৪ জনকে ১ বছর, ১ জনকে ৬ মাস ও ৫ জনকে ৪ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষ আদালত-১৪ এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন যোগাযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক কর্ণেল এস.এম. ফরহাদ এএফডব্লিউসি পিএসসি। এসময় বিচারিক প্যানেলের সদস্য হিসেবে কোর্টে উপস্থিত ছিলেন বীর প্রতীক লে. কর্ণেল মো. আখতারুজ্জামান ও মেজর মো. সাইফুল ওয়াদুদ। এছাড়া মামলা পরিচালনায় বিজ্ঞ এ্যাটর্নী জেনারেল প্রতিনিধি হিসেবে ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল ফরহাদ আহমদ, স্পেশাল প্রসিকিউটর আমিনুর রহমান খাঁন ও মো. হাবীবুর রহমান বিচারিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারকার্যে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. নুরুল হুদা।

মামলায় আসামীদের পে কেউই বেসামরিক আইনজীবি নিয়োগ করেননি। এছাড়া আসামীদের পে ফ্রেন্ড অব দি এ্যাকিউসড হিসেবে মেজর মির্জা জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে সার্বনিক উপস্থিত থেকে আসামীদের আইনগত সহায়তা প্রদান করেছেন। শ্রীমঙ্গলে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার শেষ দিন বুধবার বিশেষ আদালতে বিচারাধীন ৪৪ জন আসামীর সকলেই উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, গত ২৩ ফেব্র“য়ারি আসামীদের বিরুদ্ধে গঠনকুত চার্জ শুনানো হলে ৪৪ জন আসামীর মধ্যে ২৩ জন আসামী নিজেদের কৃতকর্মের জন্য দোষ স্বীকার বরেন এবং ২১ জন আসামী নিজেদের নির্দোষ দাবী করেন। বিচার কার্যক্রম শেষে ১৪-বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. নুরুল হুদা সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং-এ মিলিত হয়ে এসব তথ্য প্রদান করেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রয়ারি তারিখে পিলখানায় সংগঠিত পৈশাচিক কর্মকান্ডের সাথে হাত মিলিয়ে শ্রীমঙ্গলেও সংগঠিত হয়েছিল বিডিআর বিদ্রোহ। শ্রীমঙ্গলের কতিপয় উৎশৃঙ্খল বিডিআর সদস্য তখন তাদের সকল মানবিক অনুভূতিকে জলাঞ্জলী দিয়ে পিলখানায় সংগঠিত বর্বরতার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল। সে সময়ের ১৪-রাইফেল ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে বিদ্রোহী কর্মকান্ডে প্রত্য ও পরোভাবে জড়িত থাকার অপরাধে ৪৫ বিডিআর জোয়ানকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে কারাগারে থাকা অবন্থায় ১ জন আসামী স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করায় গত ২৪ ফেব্র“য়ারি তারিখে মামলায় ৪৪ জন আনাসীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ৩০ জুন তারিখে শ্রীমঙ্গলে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার মামলার রায় ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হলো শ্রীমঙ্গলের বিডিআর বিদ্রোহ মামলা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.