আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাড়িতে মেহমান যখন বিরক্তির কারণ এবং প্রতিকার

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.

এটা প্রায় প্রতিটা পরিবারেই একটা জাতীয় সমস্যা হিসেবে ধরে নেয়াই যায়। যদিও অনেক পরিবার আছে তারা মেহমান / আত্মীয় পছন্দ করেন। তবে এখনকার সনাজে তা নিতান্তই কম। মেহমান যদি বেশি দিনের জন্য বাসাতে থাকেন তাহলে তা খুবই বিরক্তির কারণ হয় দাঁড়ায়। কোন ভাবেই তাদের বাসা থেকে হঠানো যায় না।

তবে দেখা গিয়েছে যে পরিবারে স্বামী স্ত্রী ২ জনেই চাকরি করেন সে বাসাতে মেহমান কম আসেন। কারণ সেবা যত্ন করার মানুষের অভাব। আবার এর ব্যতিক্রম ও হতে পারে। মাসের পর মাস কোন আত্মীয় যখন বাসায় থাকেন তখন সেটা কারো কারো পক্ষে সহ্য করা সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু তাকে আবার সরাসরি বলতে ও পারেন না।

এদিকে সইতে ও পারেন না। এক মেহমান গেলে আর একজন এসে আপনার বাসায় উপস্থিত হয়। তাই আসুন জেনে নেই এর থেকে আপনি কি করে প্রতিকার পেতে পারেন। যদি খুব শান্তশিষ্ট পরিবার হয় - এই পরিবারের মানুষ জনের চরম বিরক্তি লাগলেও তারা কিছু বলতে চান না। কারণ তাদের একটা ইমেজ আছে আত্মীয়দের কাছে।

সেটা তারা খোয়াতে চান না। তা হলে সারাজীবন নানারকম বদনাম শুনে যেতে হবে। এ জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে মেহমান / আত্মীয় স্বজনদের খেদমত করতে। আর তাই বেশিভাগ সময় দেখা যায় ৩/৪ দিন থাকার পরও যখন মেহমান চলে যেতে চায় তখন পরিবেরে সদস্যরা তাদের আরো থাকতে বলেন। এটা বলার জন্য বলা আর কি! এর থেকে মুক্তি পেতে তারা যা করতে পারেন - •ইনিয়ে বিনিয়ে বলা যেতে পারে যে তাদের কারণে সমস্যা হচ্ছে, ডাইরেক্ট না বলে।

•বাসার বাহিরে কয়েকদিন থাকার কথা বলে •বাসায় কাজের মানুষ না থাকার কুফল মেহমানদের কাছে বলা হলে •টাকা পয়সা রোজগারে ইদানিং ভাটা পড়েছে জানালে •পরিবারের ভরণ পোষন যিনি করেন কিংবা অন্য কোনো সদস্য এর তার অসুস্থতার কথা বললে •তাদের বাসায় রেখে ঘরেরে বাহিরে বেড়াতে গেলে কোথাও। এটা বেশ কয়েকদিন করতে হবে। •তাদের আপ্যায়ণে কিছুটা ঢিলেমী দিলে •মেহমানদের সাথে কথাবলার সময় না দিলে •খাবার দাবার কম কম দিলে •এমন কি তাদের দিয়ে রান্না কিংবা ঘরের কাজ করালে। যদি ডোন্ট কেয়ার পরিবার হয় - এই পরিবারের মানুষ জন সাধারণত কোন কিছুর ধার ধারেন না। কে কি বললো তারা এটা নিয়ে চিন্তা করেন না।

আর তাই এটা তাদের কাছে তেমন কোন সমস্যাই না। তারপর ও তাদের বাসায় মেহমান / আত্মীয়রা আসেন। এ ক্ষেত্রে তাদের বলার স্টাইলটা হয় ভিন্ন রকম। আত্মীয়দের সাথে ডোন্ট কেয়ার ভাবেই তারা কথা বলেন। এতে মেহমান / আত্মীয়রা যা বোঝার বুঝে যান।

কয়েকটা উধাহরণ দেই - •এত ঘন ঘন এই বাসায় আসেন কেন? •কবে যাবেন? •আপনাদের কারণে কষ্ট হচ্ছে অনেক এরকম সরাসরি তারা বলতে পারেন। পরিশেষে, তবে আমরা বাঙ্গালীরা সবসনয়ই অতিথী আপ্যায়ণে সিদ্ধহস্ত। আমাদের এতে সুনাম ও আছে। শত কষ্ট হলেও আমরা পিছপা হই না তাদের সবরকম সেবা দিতে। তবে মনে রাখতে হবে যেন আত্মীয় / মেহমান এসে আপনার বাসাটাকে হোটেল না বানিয়ে দেয়।

বিঃদ্রঃ একটি এম১৫৪ পরিবেশনা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।