আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

COGNITIVE RADIO NETWORK:তারবিহীন যোগাযোগে এক নতুন দিগন্ত

http://rmpalash.blogspot.com/

যাদের জন্যে প্রযোজ্যঃতড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক্স প্রকৌশলী,টেলিকমুনিকেশন প্রকৌশলী,ছাত্র ও গবেষকদের জন্যে। এছাড়া যারা এই লাইনে পড়ালেখা করছে এবং ভবিষ্যতে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক এ কাজ করতে চায়। এছাড়া জানতে চাইলে যে কেউ ঢুকতে পারেন। Wire-less অর্থাৎ তারবিহীন যোগাযোগের ক্ষেত্রে information signal কে electro-magnetic signal এ রুপান্তর করা হয়। তার পরে নির্দিষ্ট একটা frequency তে সেটাকে transmit করা হয়।

বহুমুখি সীমাবদ্বতার কারনে এই transmission frequency একটা রেঞ্জের ভিতরে থাকতে বাধ্য হয়। যে কেউ ইচ্ছামত কোন একটা frequency নিয়ে তাতে transmission শুরু করে দিতে পারেনা। আমরা সাধারনত যে সব কথা বলি বা শুনে থাকি তা 20-20000 Hz এর মধ্যে সীমাবদ্ব থাকে। বিভিন্ন রেডিও চ্যানেল অথবা টেলিফোন কোম্পানি গুলো তাদের transmission 300-3400 KHz এর ভিতরে রাখে। Fig:electro-magnetic spectrum যেহেতু ব্যবহারযোগ্য frequency সীমাবদ্ব সে কারনে এই frequency band মোটামুটি দুস্প্রাপ্য।

কারন একই স্থানে একই frequency দুইজন একই সাথে transmission করতে পারেনা। এর ফলে সিগনাল interference ঘটে। ফলে data reception ভাল হবেনা। তাই frequency কে মুল্যবান রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। frequency ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করার জন্যে প্রত্যেক দেশেই প্রতিষ্ঠান থাকে।

বাংলাদেশে এই কাজ করে BTRC। USA তে FCC। এই প্রতিষ্ঠান গুলো যে কাজ করে তা হল ব্যবহার যোগ্য spectrum অনেক গুলো ব্লকে ভাগ করা হয়। তার পরে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে তা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্যে ভাড়া দেয়া হয়। BTRC প্রতি মেগাহার্টজ ব্যান্ডকে একবছরের জন্যে ভাড়া দেয়।

বিনিময়ে পায় ১১২ কোটি টাকা। যারা এই ব্লক গুলো ভাড়া নেয় তারা ঐ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের নিরংকুশ অধিকার পায়। তাদেরকে বলা হয় প্রাইমারি ইউজার। বাংলাদেশে গ্রামীন,বাংলালিংক এবং রবি যথাক্রমে 7MHz,5.1MHz এবং 5 MHz ব্যবহার করে থাকে। এই ছাড়া কিছু পরিমান ফ্রিকোয়েন্সি ব্যন্ড কাউকে ভাড়া দেয়া হয়না।

যে কেউ ঐ ব্যান্ড ইউজ করতে পারে। যেমন ISM ব্যান্ড। ২.৪ ghz এই ব্যান্ডটাকে আন্তর্জাতিক ভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল,সায়েন্টিফিক এবং মেডিক্যাল কাজের জন্যে সংরক্ষিত রাখা হয়। এই ব্যান্ড এ কোন ধরনের যোগাযোগের কাজ করা যায়না। এই ব্যান্ডে যে সব জিনিস কাজ করে তারা হল ব্লুটুথ,WPAN,IEEE 802.11 WLAN,CORDLESS PHONE এবং MICROWAVE OVEN. দিন দিন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারনে BW চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলছে।

বর্তমানে 3G মোবাইল টেকনোলজী ব্যবহার হচ্ছে। ডাটা ট্রান্সমিশন বেড়ে গিয়েছে অনেক গুন। ফলে BW লিমিটেশন এক বিশাল মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দেখা দিয়েছে। এজন্যে সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার কিভাবে করা যায় তা নিয়ে চলছে জোর গবেষনা। আর সেই পথ ধরেই এসেছে CRN মানে বুদ্বিমান রেডিও।

অধিকাংশ জরিপে দেখা গিয়েছে যে লাইসেন্সকৃত ব্যান্ডগুলো আসলে বেশির ভাগ সময়ই অব্যবহ্রৃত থাকে। এই হার এরকমঃ 3-300MHz------------------5.2% >3 GHz-----------------------------------15 % বাকি অংশ অব্যবহৃত থাকে মানে নষ্ট হয়। এই অব্যবহৃত অংশ যদি অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেয়া যায় তাহলেই এই সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হয়। এই অন্য কেউ হচ্ছে এমন বডি যারা ঐ ব্যান্ড ইউজের অনুমতি প্রাপ্ত নয়। তাদেরকে ঐ ব্যান্ডের সেকেন্ডারি ইউজার বলে।

CRN এমন একটা সিস্টেম যেই সিষ্টেমে প্রাইমারি ইউজার এর অনুপস্থিতিতে সেকেন্ডারি ইউজাররা যে কোন ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারে। এই বুদ্বিমান রেডিও রিসিভার হবে বুদ্বিমান। সে অবিরত ভাবে খোজ করে যাবে খালি ব্যান্ডের আসায়। যখনই কোণ খালি ব্যান্ড পাওয়া যাবে সাথে সাথে সে সেই ব্যান্ডে ট্রান্সমিশন্ শুরু করে দেবে। আবার যখন প্রাইমারি ইউজার চলে আসবে সাথে সাথে সে সেই ব্যান্ড খালি করে দেবে এবং নতুন ব্যান্ড খুজতে শুরু করবে।

এই সম্পুর্ন কাজ হবে স্বয়ংক্রিয়। ফলে কার্যত কোন ব্যান্ডই আর অব্যবহৃত থাকবে না। CRN নিয়ে বর্তমানে অনেক গবেষনা হচ্ছে। যে সব বিষয় নিয়ে একজন ছাত্র কিংবা গবেষক কাজ করতে পারেন তা হলঃ 1.CRN architecture and implementation 2.Hardware for spectrum sensing 3.Algorithm for spectrum sensing 4.Resource management 5.Fairness in resource allocation 6.Policy fixing

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.