আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যস্ত জীবন



দিল্লি কা লাড্ডু... খাইলেও পস্তায়, না খাইলেও পস্তায়। যতদিন পড়াশনা করেছি, মাঝে মাঝে মনে হত কবে যে পোড়ার লেখাপড়া শেষ হবে। অবশেষে শেষ হল সেই পড়াশোনার ঝামেলা। কিন্তু পুরোপুরি নয়। থিসিস নিয়ে এখন চিপায় আছি।

লেখার আসল বিষয় এইটা নয়। আসল বিষয় হল জীবনের ব্যস্ততা। চাকরিতে যোগদানের পর থেকে মনে হচ্ছে নিজেকে মনে হয় শিকলে বেঁধে ফেললাম। সারাদিন টেবিলে বসে কাজ। সন্ধায় বেরিয়ে হলে ফিরতে রাত নয়টা প্রায়।

তখন ভাবি... আসলে এটাই আমাদের নিয়তি। পড়েছি তো চাকরির জন্য, শুধু জ্ঞানের বুলি আওড়ানোর জন্য নয়। আসলে শুধু জ্ঞানের বুলি আওড়ানোর জন্য পড়ে এরকম মানুষ এই সময়ে পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। সত্যিকার জ্ঞানী হতে যা পড়তে হয় তার জন্য শুধু পড়লে হয় না। মানসিকতা থাকতে হয় যা আমাদের মাঝে বড়ই অনুপস্থিত।

আজকাল অবাক হয়ে দেখি... প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিতে মানুষ কি পরিমাণ মুখস্থবিদ্যা নির্ভর হয়ে গেছে। এতে করে পরীক্ষায় ভাল মার্ক পেয়ে টিকেও যাচ্ছে। কিন্তু এই মুখস্থ বিদ্যার দৌড় আসলে কতদূর? বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে এখন চেয়ার খালি পাওয়া যায় না। খেয়াল করলে দেখা যাবে, পাঁচ ভাগের চার ভাগেরও বেশি শিক্ষার্থী চাকরির জন্য বিদ্যা গিলছে। আল্লাহই জানেন আসলে আমরা কোথায় ছুটে চলেছি।

যা হোক, যা বলছিলাম তা হল আমার ব্যস্ত জীবন নিয়ে। আসলে উদ্দাম ছাত্রজীবন পেরিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশের ফলে হঠাৎ একটু কেমন কেমন লাগছে ঠিকই, কিন্তু বেকার জীবনের ভয়াবহতা থেকে বেঁচেছি বলে বড় ভাল লাগে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া জানাই। সবার প্রতি আহবান... পড়াশোনা করুন... কিন্তু শুধু মুখস্থবিদ্যা নয়। বুঝে পড়ুন।

সুফল বেশি পাবেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন...।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।