আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুবসমাজকে ধ্বংস করার নামে একটি মজাদার লোভ



আমাদের দেশে একটি বৃহত্তম ও পোক্তস্তান দখল করে আছে আমাদের যুব সমাজ। এই যুব সমাজকে বলা হল' আগামি দিনের ভবিষ্যত, বাস্তবিকই খুব ভাল কথা, কারন সৎশিক্ষিত যুবকরাই আগামি ভবিষ্যতে দেশ বা বিশ্ব কে পরিচালনার ড্রাইভিং সিটে উপবিষ্ট হবেন এবং এদের যোগ্যতার উপর সুনাম বা বদনাম নির্ভর করেছে,আমাদের দেশের একটা সুনাম আছে,আমরা নাকি খুব বিনোদনপ্রিয় একটু খানি বিনোদনের আসায় গাটের পয়সা দেদারসে ঢালতে আমাদের কোনরূপ আক্ষেপ হয় না।আর আমাদে র,আগামি দিনের ভবিষ্যতরা তো বিনোদনে নিবেদিতপ্রান বিনোদনের জন্য রাত কি রাত নষ্ট করে মদ-জুয়া আড্ডা, নাইট ফিল্ম শো, নৃত্যগীত,মঞ্চানুষ্ঠান প্রভৃতি উপভোগ করতে কোনরূপ কষ্ট হয় না,অথচ যখন মাওলানা সাহেবের কাছে বয়ান শোনতে পায় যে, যৌবন কাল থা আল্লাহ তা-আলার কাছে বড় প্রিয় এই বয়সে আল্লাহ পাক, আমল খুব পছন্দ করেন তখনই তিন পা পিছায়,সর্বনাশ এই কচি বয়সেই [আইমিন] ঝলমলে যৌবন নিয়ে মোল্লা আর মুনশি সেজে বসবো তবে তো আমার লাইফটাই বরবাদ, শোনূন আমাদের আগামি ভবিষ্যতদের মুখস্ত উক্তি , ,আজকে যুবসমাজকে ধ্বংস করার নামে একটি মজাদার ও লোভনীয় আইটাম যোগ করেছে তা হলো,''সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডেঃ,অর্থৎ বিশ্ব ভালবাসা দিবস,-যা বাস্তব কার্যকলাপে সৎও সচেতন মানুষের নিকট একটি,বিশ্ব নিরলজ্জ-বেহায়া দিবস,হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, বাংলাদেশে এটি পালিত হয়ে আসছে 1993 সাল থেকে, একটি সপ্তাহিক পত্রিকার কল্যানে এদেশের মানুষ এই দিবসটির সাথে পরিচিত হয়, মুসলিম সংখাগরিষ্ট বাংলাদেশে এটি পলিত হয় প্রেম পত্র প্রেমকার্ড, বিনিময়,ফুল ও বই বিনিময় প্রেমিক প্রেমিকার একান্ত আড্ডা,প্রেম ভালবাসা বিনিময় ও বিয়ের প্রস্তাব বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে, সেই সাথে লজ্জাহীন অবৈধ জুটিদের হৈ-হুল্লোড় ও নষ্টামির প্রদর্শনী করে,ভালবাসার নেশা ঘোর হয়ে আছে চুর,তাই সে নেশার সলতে আরো একটু উসকে দিতে বিশাল সমারহে রং চঙ্গা লোভনীয় বিনোদন ,নিয়ে প্রতি বছর 14ই february,হাজির হয়, বিশ্ব ভালবাসা দিবস, অনেকে অবশ্য ভালবাসা দিবসটিকে ভাল রাস্তায় নিয়ে যেতে প্রয়াস চালান,কিন্তু তাদের জানা দরকার,স্বামী- স্ত্রী পিতা- মাতা ও সন্তানদের এবং আত্মীয় স্বজনদের যে ভালবাসা তা বছরের একটি তারিখেই সীমাবদ্ধ থাকার কোন যুক্তি নেই, একটি তারিখে শুধু ভালবাসবে,ভালবাসার পক্ষে উন্মাদনা দেখাবে,অথচ বছরের অন্যান্য দিন ভালবাসবে না-এটা তো কাম্য হতে পারে না,পক্ষান্তরে এ ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে যে নষ্টামি ও নোংরামীর মহড়া চলে, তা আদিম যুগের অশ্লীল চিত্র কে হার মানায়, হ্যাঁ তবে বছরে একদিন ভালবাসা পালন করা যেতে পারে যাদের জীবনে কোন ভালবাসা নাই তাদের, মুসলমানের তো জন্ম হয়েছে ভালবাসা দিয়ে, মুসলমানের প্রতিটি দিন বড়দের সম্মান ও শ্রদ্ধা করার দিন এবং ছোটদের প্রতি ও প্রতিটি দিন স্নেহ মায়া- মমতা ভালবাসা করার দিন, নব্য আবিস্কৃত এই 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইসন ডে'' এর ইতিহাস অনেকরই অজানা, রোমান একজন খৃস্টান পাদ্রীর নাম,' সেন্ট ভ্যালেন্টাইসন, তার কাহিনী অনুসারে এই দিবসটি প্রচলন হয়ে আসছে, এই প্রবদ্ধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেই ঘটনার সার সংক্ষেপ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি, তখন সময় ছিল 270 খৃস্টাব্দ 'সেন্ট ভ্যালেন্টাইসন, ছিলেন একাধারে গির্জার পাদ্রী ও চিকিৎসক,খৃস্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে রোমের সম্রাট দ্বিতীয় ক্লাডিয়াসের আদেশে তাকে কারাবন্দি করা হয়,জেল হতে তিনি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদর প্রচুর ভালবাসার চিঠি পেতন এবং জেলেই তিনি করারক্ষীর এক অন্ধ মেয়ের দৃস্টিশক্তি ফিরিয়ে আনেন তার চিকিৎসার মাধ্যমে, এতে তার জনপ্রিয় তা বৃদ্ধি পেল, ঈরসানিত হয়ে রোমান সম্রাট তাকে হত্যা করলো, সেদিন ছিল ১৪ february, মৃত্যুর আগে তিনি সেই মেয়েটি কে চিটি একটি লেখেন এতে লেখা ছিল-'' ফ্রাম ইয়োর ভ্যালেন্টাইস, অনেকের মতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইস নামানুসারে পোপ প্রথম জুলিয়াস 896 খৃস্টাব্দে 14 february,কে সেন্ট ভ্যালেন্টাইস ডে'' হিসাবে ঘোসানা দেন, এছাড়া আরো কিছু ঘটনার সংক্ষেত পাওয়া যায়, তবে সব ঘটনার মুল কথা যেটা,তা হচ্ছে-এটা খৃস্টানদের সংশ্লিস্ট বিষয়,মুসলমানদের নয়, তাই এই দিবস টি পশ্চিমা দেশগুলোতে ব্যাপক ভাবে পালন করা হয়, এ দিবসের উদ্ভাবক একজন খৃষ্টান, উপরন্তু এটা ভীন দেশীয় সংস্কৃতি। এই দিবসের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশ এদেশের মুসলমানদের জাতীয়তা ও ধর্মের কোনরূপ সম্পর্ক নেই, যে দিবসের সঙ্গে আমাদের ধর্ম ও জাতীয় অনুভূতির কোনুরূপ সঙ্গতি নেই তা আমরা পালন করি কি ভাবে, কেন আমরা এরকম একটি খৃষ্টানী কালচারের পক্ষে এতো উদ্মাদনা দেখাই, আমাদের দেশের অতি উৎসাহী কিছু যুবক-যুবতীদের এদিবস নিয়ে এতোটাই উন্মাদনা প্রকাশ পায় যে, এর মুল আবিস্কার পশ্চিমারা পর্যন্ত এদের দেখলে তাদের চোখ শোধু কপালেই তুলবে না, বরং অনুকরণপ্রিয় জাতি উপাধিতে ভূষিত করে এদর বুদ্ধির দৌড় নিয়েও প্রশ্ন তুলবে,সংখ্যাগরিষ্ট বৃহত্তম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এই দিবসটিসহ আরো বেশ কিছু দিবস রয়েছে, যেগোলু ভিন দেশ হতে আমদিনীকৃত , সেসব দিবস পালন থেকে অবশ্যই আমাদের বিরত থাকতে হবে, বিজাতীয় কৃষ্টি-কালচারের গা না ভাসিয়ে নিজেদের দর্মীয় ও জাতীয় ঐতিহ্য সমূন্নত রাখতে হব

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।