আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েদের নিরাপত্তা আমরা কতটুকু দিতে পারছি???

লিখলাম কিছু কথা...

ঘটনাটা কয়েক ঘণ্টা আগে ঘটেছে; আজ বিকেলে। ৬ জন তরুণী আজ বিকেলে গিয়েছিল রাজধানীর একটি বেশ পুরনো Amusement park এ। তারা সবাই একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এর ছাত্রী। এই পার্কটি বেশ আগের এবং বর্তমানে দেশে এর চাইতেও অনেক উন্নত Amusement park আছে। বলে রাখা ভাল যে আমি মেডিকেল এর ছাত্র নই।

তাই ওদের জীবন সম্পর্কে আমি সম্যক অবগতও নই। তবে যদ্দুর জানি MBBS পড়ার ৫টি বছর তারা তাদের সকল সাধ আহ্লাদ এর সাথে যুদ্ধ করে চলে। তাই হঠাৎ একটু অপ্রত্যাশিত অবসর তাদের মনে নিয়ে আসে দুষ্প্রাপ্য আনন্দ! সবাই মিলে আজ ওরা তাই পার্কটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বলা বাহুল্য যে পার্কটি তাদের মেডিকেল কলেজ এর অদূরে। তাইতো সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।

যেই কথা সেই কাজ! টিকেট কেটে পার্কে ঢুকে পরল ৬ তরুণীর ছোট্ট দল। আগেই বলা হয়েছে, পার্কটি বেশ পুরনো এবং বর্তমানে দেশে এর চাইতেও অনেক উন্নত Amusement park আছে। তাই সেখানে লোকজনের গমনাগমন অনেক কম। প্রথম দিকে কোন সমস্যা হয়নি। খুব মজা করে ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল পার্কে, উঠছিল ride-গুলোতে।

একটি ride-এ তখন তারা চড়ে বেড়াচ্ছিল যখন তারা হয়ে উঠল অন্য আরেকটি দলের নিশানা। ওই দলটি যে নরের দল তা বুঝার জন্য নিশ্চই বিজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। তৎক্ষণাৎ ছেলেগুলোর পকেট থেকে বেড়িয়ে এলো গুটি কয়েক মোবাইল ফোন যেখানে মনের মত করে বন্দী করে নেয়া যায় যেকোনো সময় যে কারো ছবি। আহা! প্রযুক্তির কি স্বাধীন ব্যাবহার! এতটুকু পড়ে হয়তো অনেকেই ভাবছেন, এগুলোতো হরহামেশা হচ্ছে। ব্লগে লিখার কি হল? আমিও স্বীকার করি, হচ্ছে।

তবে আমরা জানি না এই ছবিগুলর ভবিষ্যৎ কি। অনেকেই হয়তো ভাবতেও চান না। অনেকে আবার এটাকে ভাববার কোন বিষয়ই মনে করেন না। সে যাই হোক, ঘটনা এখনো শেষ হয়নি। পরের অংশ লিখছি এখন।

Ride থেকে নেমে মেয়েদের দলের একজন সদস্যা সাহস করে গেলেন ছেলেদের ওই দলের কাছে। বাকিরাও তার পেছন পেছন গেলেন। মেয়েটি সরাসরি charge করে বলল কেন তাদের ছবি তোলা হয়েছে। ছেলেগুলো হেসে জবাব দিল কে বলেছে তারা ছবি তুলেছে। কোন প্রমান আছে? একজন তার মোবাইল ফোনটি মেয়েটির হাতে দিয়ে বলল খুঁজে দেখতে।

নাছোড়বান্দা মেয়েটিও তা-ই করার জন্য ফোনটি হাতে নিয়ে check করতে শুরু করল। একটু দেখেই আর রুচি হল না দেখার। ছেলেগুলোর নষ্ট মনের আর নোংরা মানসিকতার সাক্ষ্য বহন করে চলছে এক একটি mobile memory-র folder. এরপর আর কি-ই বা দেখার আছে? প্রযুক্তির কল্যাণে আজ মানুষের অকল্যাণ যে কত সহজে করা যায় তারই প্রমাণ আজকের এই ঘটনা। মেয়েগুলোর ছবি দিয়ে ছেলেগুলো কি করবে তা আমরা জানি না। হয়তো কিছুই করবে না।

হয়তবা বন্ধুমহলে দেখিয়ে বাহবা নিবে। তারপর delete করে নতুন মেয়ের ছবি সেখানে save করবে নতুন বাহবার আশায়। অথবা mobile memory-তে রাখা নোংরা ভিডিওগুলোর পাশে নোংরাভাবেই স্থান পাবে ছবিগুলোর নোংরা edited version. মাথা বসানো ছবিগুলো তারপর ছড়িয়ে দেয়া হবে এক মুঠোফোন থেকে আরেক মুঠোফোনে। এরপর কারো desktop এ উঠে আসবে data cable নামক সেতু বেয়ে। নোংরামির বিশ্বজনীনতাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে ছবিগুলো তারপর upload করে দেয়া হবে কোন একটি website এ; যে website-এর মৌলিকতা হল হরেক মানুষের নগ্নতা আর যৌনতা।

তারপর??? প্রশ্নটি নিজেকেই করুন প্রিয় পাঠক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।