আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প' - আশির্বাদ নয়, অভিশাপ

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

আজ একটি লিংক থেকে নিচের সংবাদটি পড়লাম ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ নেই’ ড. শমসের আলী ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প নিয়েও হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই৷ এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর মানুষের কোন হাত নেই৷ প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা৷ তিনি মনে করেন, বাতাস বা পানির মাধ্যমে জাপানের পারমাণবিক কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই৷ ‘‘তবে আমাদের খোঁজ খবর রাখতে হবে৷ জানতে হবে, কোন কোন দেশে তা ছড়িয়ে পড়ছে৷'' তিনি বলেন, ‘‘চেরনোবিল পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে আমরা জানি, এর তেজস্ক্রিয়তা খাদ্যদ্রব্য, বিশেষ করে দুধে ছড়িয়ে পড়ে৷ সেই বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে৷ জাপান থেকে আনা খাদ্যদ্রব্যের উপাদানের তারিখ দেখে প্রয়োজনে এখানে আবার পরীক্ষা করা যেতে পারে৷'' অধ্যাপক ড. শমসের আলী আরও বলেন, বিদ্যুত সংকট নিরসনে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের দিকে যাচ্ছে৷ এই প্রকল্প নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই৷ কারণ পারমাণবিক বিদ্যুত প্রকল্প সবচেয়ে নিরাপদ৷ এখন জাপানের দুঃখজনক অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে৷ তিনি বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানতাই পারে বিপর্যয় ঠেকাতে৷ আর আমাদের উচিত হবে সাধ্যমত জাপানের মানুষের পাশে দাঁড়ান৷ প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন Click This Link এ জাতীয় মন্তব্যের সাথে আমি মোটেও একমত নই। ‘পারমাণবিক প্রকল্প' - আশির্বাদ নয়, অভিশাপ। এই পরমাণু শক্তি প্রথম অর্জন করেছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এবং সেই শক্তিই মানব জাতির জীবনে অভিশাপ হয়ে নেমে এসেছিল, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে। বিশ্ববাসি হতবাক হয়ে দেখেছে সেই বিভীষিকা। প্রথম ‘পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প' স্হাপিত হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে।

সেই দেশেই ঘটেছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, চেরনোবিলের তান্ডব। আজও যার মাশুল দিতে হচ্ছে। ১৯৫২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০০ টি পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর কিছু তালিকা (অসম্পূর্ণ) নিচে দেয়া হলো। সর্বাধিক সংখ্যক পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৬ টি, তাছাড়া যুক্তরায্যে ২ টি, ইউক্রেনে (সোভিয়েত ইউনিয়ন) ১ টি, ভারতে ৬ টি, জার্মানিতে ৩ টি, ফ্রান্সে ১০ টি ও জাপানে ১১ টি।

এই দুর্ঘটনাগুলোর ফলে ঘটেছিল ব্যপক মানব সম্পদ ও ধন-সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি । এছাড়া যে স্হানে পারমাণবিক প্রকল্প স্হাপন করা হয় সেখানে কিছুনা কিছু পরিমানে তেজস্ক্রিয়তা থাকেই। যার কুপ্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফ্লোরা ও ফাউনা। একজন পদার্থবিজ্ঞানী হিসাবে আমি জানি, পদার্থবিজ্ঞানীরা জীববিজ্ঞানে আগ্রহী নয়। তাই তারা সুদূরপ্রসারি ফলাফলের কথা না ভেবেই নিজেদের কারিশমা দেখানোর জন্য পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে উঠে পরে লাগে।

এই পারমাণবিক প্রকল্পের ভয়াবহতা সম্পর্কে আন্দ্রেই সাখারভ অনেক আগেই মানব জাতিকে সাবধান করে দিয়েছিলেন। গভীর ভাবে চিন্তা করলে অনায়াসেই বলা যায়, ‘পারমাণবিক প্রকল্প' - আশির্বাদ নয়, অভিশাপ । (চলবে) Click This Link http://en.wikipedia.org/wiki/Nuclear_accidents

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.