আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘পৃথিবী বাঁচাতে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চাই’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি (এটিটি) এবং বিশেষ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র– সিসিডব্লিউ বিষয়ক ওয়ার অব কনভেনশনের প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন।
পরে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে মানবজাতির একমাত্র আবাসস্থল পৃথিবীকে রক্ষায় এবং আগামী প্রজন্মের জন্য পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
প্রচলিত অস্ত্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে ২০০৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তির (এটিটি) প্রস্তাব গৃহীত হয়। বাংলাদেশের আগে বিশ্বের ৮২টি দেশ অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তিতে সই করেছে।
জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি মাইগুয়েল সেরপা সোয়ের্স চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।


অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রোটোকল সাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রী পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) আয়োজিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন।
দক্ষিণ এশিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত একটি অঞ্চল হিসাবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “মানব জাতির একমাত্র বসবাসের স্থান পৃথিবীর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ গুরুত্বপূর্ণ। ”
দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে জাতিসংঘের চুক্তি ও প্রোটোকলে সই করার জন্য সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের নিকটবর্তী হওয়ায় উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ বাংলাদেশের রয়েছে।
“আমরা বিশ্বাস করি, পারমাণবিক অস্ত্র সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তির নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ”
আগামী প্রজন্মের জন্য ‘পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত’ বিশ্ব গড়ার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমরা কি ধ্বংসের আতঙ্কে তাড়িত একটি বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাব, নাকি আমাদের জ্ঞান ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানব সভ্যতাকে সমৃদ্ধ করে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নত একটি বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাব। ”
১৮৫টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের পথ বেছে নিলেও পারমাণবিক অস্ত্রধারী গুটিকয় দেশ এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠের নিরাপত্তার ব্যাপারে ‘সংবেদনশীল না হয়ে দুঃখজনকভাবে’ ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের একমাত্র স্থায়ী বহুপাক্ষিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনাকারী সংস্থা ‘কনফারেন্স অন ডিসআর্মামেন্ট (সিডি)’ কয়েক দশক ধরেই অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে।

সংস্থাটি পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহার করার হুমকি মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক আইনি কাঠামো গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে পারে।
আর অন্তবর্তী ব্যবস্থা হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করা যেতে পারে বলেও মত দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “কোন সন্দেহ নেই যে শান্তি জোরদার ও বজায় রাখার লক্ষ্যে মূল্য দিতে হবে। কিন্তু তা হবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও একটি যুদ্ধের জন্য যে মূল্য দিতে হয় তার চেয়ে কম। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.