আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজিএমইএ ভবন 'রাজউক এর অনুমোদন এখতিয়ার বহির্ভূত'

অতি সাধারণ....প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটারে সাজাইতাম

ঢাকা, মার্চ ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- রাজধানীর হাতির ঝিলে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এখতিয়ার বহির্ভূত অনুমোদন দেয় বলে আদালতে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির কৌঁসুলি। বাংলাদেশ তৈরী পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- এই মর্মে হাইকোর্টের স্ব-প্রণোদিত রুলের ওপর শুনানিতে মঙ্গলবার সমিতির কৌঁসুলি ফিদা এম কামাল এ দাবি করেন। গত বছরের ২ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ-এ প্রকাশিত বিজিএমইএ ভবন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ডিএইচএম মনিরউদ্দিন। এরপর হাইকোর্ট স্ব-প্রণোদিত হয়ে 'ওই ভবন ভাঙার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- মর্মে ৩ অক্টোবর রুল জারি করে। বর্তমানে ওই রুলের ওপর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলছে।

বুধবারও শুনানি হওয়ার কথা। শুনানিতে অংশ নিয়ে ফিদা এম কামাল বলেন, অনুমোদনের জন্য রাজউকে জমা দেওয়া ওই ভবনের নকশায় ভুল দাগ নম্বর উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপরও অনুমোদন দেওয়া হয়। সিএস খতিয়ান অনুযায়ী নকশা অনুমোদনের আবেদনে উল্লেখিত দাগের জমিতে নালা ও পুকুর ছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন জমিতে ভবন নির্মাণের অনুমতি রাজউক দিতে পারে না। বরং এক্ষেত্রে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হয়।

এ ভবনের ক্ষেত্রে সে রকম কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। পরিবেশ আইনবিদ সমিতির কৌঁসুলি বলেন, "আবেদনে উল্লেখিত দুই দাগে বিজিএমইএ'র জমির পরিমাণ দশমিক ৪১ একর হলেও তারা দশমিক ৬৬ একর জমিতে ভবন নির্মাণ করে ফেলেছে। "বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র নির্মাণ করতে জনস্বার্থে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এই জমিটি বরাদ্দ নিয়েছিল। পরে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে বিজিএমইএকে দেওয়া হয়। " সাবেক এই অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, "প্রকৃত পক্ষে বিজিএমইকে ভবন নির্মাণের জন্য তিন মৌজায় দশমিক ৬৩ একর জমি দেওয়া হয়।

আরো দশমিক শূন্য তিন একর জমি রাস্তা হিসাবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ এক মৌজায় দুই দাগে দশমিক ৬৬ একর জমিকে ক্রয়কৃত হিসাবে দেখিয়ে ভবন নির্মাণ করেছে। " ফিদা এম কামাল যুক্তি দেখান যে, জনস্বার্থের কথা বলে বরাদ্দ দেওয়া জমি পরে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া যায় না। আদালতে ফিদা এম কামলকে সহায়তা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির সভাপতি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ইকবাল কবির লিটন। বিজিএমইর আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ আদালতে উপস্থিত থাকলেও শুনানিতে অংশ নেননি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএন/এইচএ/১৮৫৫ ঘ.


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.