আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মোবাইলে ফোনে জীনের বাদশা'র কান্ড কীর্তি

সব সময় সত্য কথা বলা

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন এর নাম্বারে, গত সপ্তাহে একদিন দিবাগত রাত ২টায় অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোনে প্রশংসা করে তাকে বলেন, নির্জন এক মাজার থেকে তাকে স্মরণ করেছেন। মহান আল্লাহ পাকের তরফ থেকে সারা বিশ্বের ১ শত ফোন নম্বর তারা পেয়েছেন। তাদেরকে তারা অসংখ্য ধন সম্পদ দেয়ার কথা ভাবছেন। যা তাদের বংশধর খেয়ে শেষ করতে পারবে না।

বিনিময়ে মাজারের জন্য তাকে ১ শত মোমবাতি ও আগরবাতি কেনার জন্য উক্ত নম্বরে ২ হাজার টাকা ফ্লেক্সি করতে হবে। না করলে তার পরিবারে ক্ষতি হবে। তিনি বাড়ীর পাশের মসজিদে মোমবাতি দেয়ার কথা জানালে রেগে ফোন কেটে দেয়। এর পর তার সাথে আর যোগাযোগ করেনি ঐ জীনের বাদশা। পাশ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার নন্দীরকুটি গ্রামের তাদের পিযুস এই জীনের বাদশার খপ্পরে পরেন।

গত রবিবার দিবাগত রাত ঠিক ২ টার সময় স্বর্গের দেবতার বিশেষ দূত সেজে এক ব্যক্তি ০১৭৪৩৩৬৭১১৩ নম্বর থেকে তাকে ফোন করে। তিনি ঘুমে থাকার সময় তার স্ত্রী ছায়াদেবী ফোন রিসিভ করলে তাকে পরপারের ভয় দেখিয়ে স্বর্গের দেবতার বিশেষ দূত সেজে বলেন, আপনারা এক কথা ও কাজে বিশ্বাসী। স্বর্গের দেবতা আপনাদের প্রতি প্রসন্ন হয়ে কিছু ধন সম্পদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সাত পুরুষে খেয়ে শেষ করতে পারবেন না। প্রমাণ স্বরূপ তিনি বলেন আপনার ঘরের পিছনে একটি পাতিলে সোনার মুর্তি ও মোহর রাখা আছে।

সেটা সংগ্রহ করে আপনাদের নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, এ ঘটনা কখনও বলা যাবে না। মুর্তিটি এখনই কোন দোকানে গিয়ে ভাঙ্গানো বা বিক্রি করা যাবে না। অনেকদিন পর অন্য কোথায় গিয়ে এই মুর্তিটি দেখানো, ভাঙ্গানো বা বিক্রি করা যাবে। কথা মতো বাড়ীর কর্তা ঘরের পিছনে গিয়ে সে রকম কিছু পেয়ে অগাদ বিশ্বাসে সেটি ঘরে নিয়ে আসে।

তখন তাকে ফোন করে জানানো হয় দক্ষিণা হিসাবে উক্ত স্থানে তখনই নিজের ব্যবহৃত তিন রকমের সোনার জিনিস রেখে আসতে হবে। কথা মতো ছায়াদেবী নিজের ব্যবহৃত সোনার চুড়ি, নাকফুল ও কানের বালি সেখানে রেখে এসে কিছুক্ষণ পরে গিয়ে দেখেন সেখানে কিছুই নেই। পরের দিন মোহ কেটে গেলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তারা বিষয়টি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানালে স্বর্গের বিশেষ দূত তাদেরকে ফোন করে বলেন আপনারা আপনাদের কথা রাখেননি। ফলে সোনার মুর্তিটি আর সোনার থাকবে না। হয়ে যাবে কাসার মুর্তি।

পরে বিষয়টি ফুলবাড়ী থানায় অবহিত করলে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে কাসার লক্ষী প্রতিমা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানায় ওই দিন একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.