আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাবাশ বাংলাদেশ

ক্ষুদ্র এই জীবনে অনেক কিছুই করতে চাই, কিন্তু পারি না। আর কিছু কথা আছে, যা হয়ত বলা যায় না, লিখে প্রকাশ করাই একমাত্র পথ। তাই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

আজকে একি হল? এটা তো আমার সুদূর কল্পনাতেও ছিল না, কেমন করে জানি হয়ে গেল! বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড কাপে জিতবে, কিন্তু এত টুইস্ট, এত টেনশন! ! ! গেছিলাম TSC তে, খেলা দেখার জন্য। সাথে ছিল শিশির, জুলু, বেলু, জসীম ভাই আর স্বপন।

আজিমপুর থেকে যাবার সময় শুরু হল বাতাস, দমকা বাতাসে তো অবস্থা কাহিল আমাদের, আশ্রয় নিলাম ৫৯ নাম্বার বিল্ডিং এ, মনে হচ্ছিল যেন উড়ায়ে নিয়ে যাবে। প্রায় ১৫ মিনিট পরে যখন বাতাসের বেগ কিছুটা কম, তখন আবার রওনা দিলাম। যদিও জুলু (শালায় একটা সীধু! ) বলতেছিল যে, কারও বাসায় গিয়ে খেলা দেখার জন্য, কিন্তু আমি রাজি ছিলাম না, কারন বের হইছি খেলা দেখার জন্য, খেলা দেখব বাইরেই। পরে গেলাম জহুরুল হক হলে খেলা দেখার জন্য। আমার মাথা ভার হয়ে ছিল, কারন গত কালকে প্রচুর আঙ্গুর খাইছি, তাই ঘুম ঘুম ভাব আছে।

বেলু রে বললাম যে, চল বাপ আমরা চা খাইয়া আসি। গেলাম মহসিন হলে, চা খেয়ে পরে আমরা সবাই গেলাম tsc তে। পরে গেলাম সোহরাদির মাঠে। ওখানে খেলা দেখলাম। যদিও বৃষ্টির ছাট আসতেছিল একটু পর পর।

খেলার প্রায় শেষে (৩৭ ওভার শেষে) আমরা চলে আসার জন্য উঠলাম, আর বৃষ্টিও আসতেছিল। তাই তখন TSC তে দাড়িয়ে খেলা দেখলাম কিছুক্ষণ। কিন্তু ৪০ ওভার শেষে তো অবস্থা খারাপ দেখি। আর এর মধ্যে জুলুর সাথে আমার লাগলো। আমি বুঝি না, পোলাপাইন এখন ও কেমন জানি আবাল আছে! কিছু বুঝে না, বালের কথা কয়।

আমার কথা হল, যেহেতু আমি খেলা পারি না, বা আমার ওই যোগ্যতা নাই যে মাঠে গিয়ে খেলা খেলব, তাই আমার খুব বেশি কিছু বলার নাই। যা খেলে বাংলাদেশ টিম, ওটাই লাভ। তবে হ্যাঁ, মন খারাপ হয়, কখনও খুব খারাপ ও লাগে, কিন্তু কিছু করারও তো নাই। তবে এটা নিয়া তো আর সব সময় বলা যায় না, আর বলাটা ঠিকও না। কিন্তু শালা জুলু, হারামজাদা সমানে কানের কাছে প্যান প্যান করেই যাচ্ছে।

মেজাজটা তখন ই চটে গেল। বালের পোলাপাইন। যা হোক জসীম ভাই বলল যে, আমরা রওনা হই, রওনা দিলামও। কিন্তু একটু রাস্তা যাওয়ার পরেই শফিউল একটা চার পিটাইলো। আমি কি তখন আর যাই নাকি, আমি শিশিরকে বললাম, আমি খেলা দেখবো, তোরা যা।

আমি দিলাম দৌড়, দেখি শিশির ও ফেরত আসতেছে, মানে আমার মতই। তখন আমাদের লাগত ৫০ বলে ৪৫ রান। এই ওভার এই দেখলাম ম্যাচের ১মাত্র ৬। তখন তো TSC তে যে হুল্লোড়, ও আল্লাহ। আস্তে আস্তে ম্যাচটা আমাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসলো শফিউল আর মাহমুদুল্লাহ।

শেষ ৭ বলে দরকার ৩ রান, ফিল্ডিং পাওয়ার প্লেতে তখন। মাহমুদুল্লাহ ৪ পিটাইছে একটা। হায়রে হায়, আমরা ম্যাচে ফিরে আসলাম। তখন আনন্দে কি করলাম মনে নাই, শুধু মনে আছে, সবার সাথে কুলাকুলি করছি, আর আনন্দে লাফাইছি। কতজন রেই যে হাই৫ দিলাম, জানি না।

এটা শুধু মাত্র একটা জয় না, এটা একটা আশীর্বাদ, এটা আমাদেরকে ২য় রাউন্ড থেকে বাদ দেয় নাই। আমরা আছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।