আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েদের বিয়ের আগে এবং পড়ে ভালবাসা !



বিয়ের আগে ছেলেরা মেয়েদের ভালবাসা দিতে চায় কিন্তু বেশিরভাগ মেয়ে সেই ভালবাসা নিতে চায় না । তারা ভালবাসা ব্যতিত অন্য সব কিছু চায়। তারা চায় তার প্রেমিক দেখতে সুন্দর হবে, ভাল ফ্যামিলির ছেলে হতে হবে, ছেলের বা তার বাবার টাকা পয়সা থাকতে হবে আরও কত কি! কিন্তু সব থেকে যে ব্যাপারটা বেশি গুরুত্বপূর্ন তা হল ছেলে তাকে কতটা ভালবাসে কিংবা এই ছেলের থেকে অন্য কোন ছেলে তাকে আরও বেশি ভালবাসে কিনা এই খবর নেওয়ার কোন প্রয়োজন মেয়েরা অনুভব করে না । আর তাইতো ভালবাসার বাজারে সত্যিকারের ভালবাসা কোন যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয় না। বিবেচিত হয় ভালবাসা ব্যতিত অন্য সব কিছু।

কিন্তু ভালবাসা যে অন্ন, বস্ত্রের চেয়ে কোন অংশে কম নয় এইটা মেয়েদের থেকে আর বেশি কেউ অনুভব করে বলে মনে হয় না। দুখের বিষয় হলো মেয়েরা যখন সব কিছু বাদ দিয়ে ভালবাসা পেতে চায় তখন কেউ তাকে ভালবাসা আর দিতে চায় না। বিয়ের পরে মেয়েরা বুঝতে শুরু করে ভালবাসা কি জিনিস। জীবনে সুন্দরভাবে বাচার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা কতখানি ! তখন মেয়েটা ভাবে ইসস ভার্সিটির আক্কাস আমাকে কত ভালবাসত আমি যদি তখন ওকে বিয়ে করতাম তাহলে সারাজীবন সুখ কি জিনিস উপভোগ করতে পারতাম। এখন আসি আসল কথায়।

কোন ছেলে কাউকে আসলে কতটা ভালবাসে এইটা পরিমাপ করা যেমন কঠিন তার থেকেও বেশি কঠিন ভালোবেসে প্রতারিত হওয়া। তবে আমি এই ভেবে সুখি যে মেয়েরা তাদের লোভের শাস্তি এই দুনিয়ার হাড়ে হাড়ে উপভোগ করে। তারা ছেলে নির্বাচনের সময় যেহেতু ভালবাসার পরিমান বিবেচনা করে না । বিবেচনা করে অন্য কিছু তাই তারা সারাজীবন ভালবাসা ছাড়া সবকিছুই পায় কারন তারাতো দেখেশুনেই পা বাড়িয়েছিল। আর পোলাগুলানও বদ আছে বিয়ের পরে কেমনে কেমনে জানি পিরিতের পরিমান কমতে থাকে।

বিয়ের আগে যার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারত বিয়ের পর তার জন্য ৫ মিনিট অপেক্ষা করতেও অনেক কষ্ট হয়। বিয়ের আগে প্রেমিকার যা যা তার ভাল লাগত বিয়ের পরে তাই তার চোখের বিষ হওয়া শুরু করে। আজব বড়ই আজব এই দুনিয়া। সময় বদলায় তবে নিয়ম বদলায় না বিয়ের আগে ছেলেরা ভালবাসা দিতে চায় কিন্তু মেয়েরা নিতে চায় না আর বিয়ের পরে মেয়েরা ভালবাসা নিতে চায় কিন্তু হায় নিষ্ঠুর ছেলেরা তখন ভালবাসা আর দিতেই চায় না।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।