আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবেক মহান এই সব ক্রিকেটারদেরকে মনে হয় আমাদেরও কিছু বলার আছে

বাংলাদেশের বাকি ১৪ কোটি সাধারন মানুষ এর মত এক জন মানুষ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সাথে ম্যাচ এর পর সব সাবেক অধিনায়কদের বক্তব্য রকিবুল হাসান, সাবেক অধিনায়ক সাকিবের কথায় অবাক হয়েছি। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে ওর সবাইকে সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত। ঔদ্ধত্যপূর্ণ, একই সঙ্গে অপমানজনক এসব কথাবার্তা ওর বলা উচিত হয়নি। এসব কথা আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টেরও বরখেলাপ।

আজ ওরা বাংলাদেশের ক্রিকেটার। ১৯৭২ সালে আমরা যদি ক্রিকেট খেলে কাপড় না পোড়াতাম তবে তো ওরা আজ ক্রিকেটারই হতো না। পরের প্রজন্ম যদি আইসিসি ট্রফি জিতে বিশ্বকাপ না খেলতে পারত, তবে কি বাংলাদেশের ক্রিকেট আজকের এই চেহারা পেত। তাছাড়া ওর মনে রাখা উচিত, আজও আশরাফুলের পাশে কেন সবাই। শুধু কি তার প্রতিভার জন্য? তা কিন্তু নয়।

আশরাফুলের ব্যবহার কিন্তু সবাইকে কাছে টানে। সাকিবকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। মাঠের বাইরের কিছু নিয়ে এখন ওর চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। ও মাঠের খেলায় নজর দিক। নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাবেক অধিনায়ক কী বলব? কেউ যদি তার অতীতকে ভুলে যায়, সেটা তার মানসিকতার ব্যাপার।

যার যেমন রুচি সে তেমনই করবে। যার যেমন ব্যাকগ্রাউন্ড সে তো তেমনই করবে। যেটা সে শিখেছে সেটাই বলেছে। এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমরা কী ক্রিকেট খেলেছি সেটা এদেশের মানুষ জানে।

কারও কথায় সেটা মুছে যাবে না। এটা ঠিক, সাকিব এখন সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু সে-ও একদিন সাবেক হবে। আজ থেকে ১৫ বছর পর হয়তো তার চেয়েও ভালো ক্রিকেটার আসবে। তখন সে যদি প্রশ্ন তুলে সাবেকরা কী করেছে তা আমার জানা আছে।

তখন নিশ্চয় সাকিবের খারাপ লাগবে। কাউকে সম্মান দিলেই সে সম্মানটা ফিরে পাওয়া যায়। ভারতে এ মুহূর্তে শচীন টেন্ডুলকার কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনি সেরা ক্রিকেটার। কিন্তু খারাপ খেললে কি তাদের সমালোচনা হয় না? সুনীল গাভাস্কার কি শচীনের ভুল ধরে দেন না? আসলে ৫৮ রানে হারার পর সাবেক ক্রিকেটাররা তাদের দায়িত্ব থেকে টেকনিক্যাল ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেকেই সাহস দিয়েছেন, পাশে দাঁড়িয়েছেন এ পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য।

অতীতে নাকি এ ধরনের পরিস্থিততে আমরা বেশি পড়েছি। আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশ তার ২৬ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে এত অল্প রান এর আগে করেছে। আজ আমাদের বলে দেওয়া হচ্ছে কী করা উচিত! খালেদ মাসুদ পাইলট, সাবেক অধিনায়ক এই ব্যাপারটি নিয়ে এ মুহূর্তে আমি আমার প্রতিক্রিয়া দেব না। কারণ বিশ্বকাপ চলছে। এখনও বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে।

এ মুহূর্তে সাকিব একটি কথা বলেছে, আমিও যদি কথার উত্তর দেই তাহলে ব্যাপারটি আরও ঘোলাটে হয়ে যাবে। আমার মনে হয় ব্যাপারটি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডই কিছু বলতে পারে। কেননা সাকিবদের অভিভাবক এখন বোর্ড। সাকিবদের কী বলা উচিত, কিংবা কী লেখা উচিত এ নিয়ে বোধহয় বোর্ডের চুক্তিতে লেখা আছে। সাকিবদের স্বার্থ, সুযোগ-সুবিধা দেখার পাশাপাশি বোর্ড কিন্তু আমাদের সাবেক ক্রিকেটারদেরও সম্মানের ব্যাপারটি দেখে থাকে।

সুতরাং বোর্ডই ঠিক করবে এ ব্যাপারে তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমি শুধু সাকিবকে বলব, এ মুহূর্তে কথা না বলে মাঠের দিকে মনোযোগ দাও। ভালো খেললে মানুষ যেমন ভালোবাসে, সেটা যখন উপভোগ করতে পারো তখন খারাপ খেললে সমালোচনাও হবে। সেটাই স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে হবে। আর গুনগান করলে তো খুব ভাল লাগে সাকিব!সমালোচনা করলে এমন করো কেন? হাবিবুল বাশার সুমন, সাবেক অধিনায়ক সাকিবের সব কথা শুনেছি।

পড়েছি। সামনের ম্যাচগুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন সবারই খেলার দিকে মন দেওয়া উচিত। সে কারণে আমি সাকিবের বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। এখন মনে হয় আমাদের বলার সুযোগ হইছে!শুরু করা যাক.... খালেদ মাসুদ পাইলট, আপনারা তো সেই ক্রিকেটার যারা কানাডার কাছে হেরে সাউথ আফ্রিকাতে রাত নাইট ক্লাব এ গিয়েছিলেন ২০০৩ সালে।

সে উপলক্ষ্যে অধিনায়ক এর পদ থেকে বর্খাস্ত পর্যন্ত হইছিলেন। আপনারা তো সেই ক্রিকেটার যারা মেহরাব হোসেন অপি আর শান্ত ডালের যখন মদ বোতল হাতে নিয়ে ছবি তুলছিলেন কিছুই বলেন নাই। নিজেদের দিকে আঙ্গুল দেওয়ার সময়টাও আপনারা অনেক আগে হারায় ফেলছেন। আপনারা তো সেই ক্রিকেটার যারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর কাছেই পর পর ২ ম্যচ এ ৮৩ ও ৮৭ করেছিলেন! আপনারা ওই বাংলাদেশ দলের সাবেক যারা পাকিস্তান কে ১৯৯৯ হারানোর পর পরবর্তী ৫ বছর কোন ম্যাচই জিতেন নাই। ১৫-১৬ গড় নিয়ে একটু বেশিই লাফালাফি হয়ে যাচ্ছে।

সুনীল গাভাস্কার সেই মানের ক্রিকেটার শচীন কে বলার অধিকার রাখে। ওইরকম ক্যারিয়ার না থাকলে সুনীল গাভাস্কার ও শচীন কে কিছু বলত না। নয়ন মঙ্গিয়াকে কখনো দেখসছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে কিছু বলতে???? কারন সে জানে সে ধোনির পাশে সে কিছুই না। সাকিব তামিমের ৪০ এর মত গড় । এর আসে পাশে থাকলেও কথা ছিল, আপনারা তো তার ধারে কাছেও কোন দিন কোন কিছু করতে পারেন নাই।

যদি কেউ বলার অধিকার রাখতো,সেটা হইত মোহাম্মদ রফিক বা হাবিবুল বাশার সুমন (সাকিব এর পর সেই সবচেয়ে বেশী ম্যাচ জয়ী অধিনায়ক)। কই তাদের কাছে থেকে কিন্তু কোন আক্রমনাত্মক কথা আসে নি। কথা আসছে কথাকার কোন খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছ থেকে। যে কিনা সারা জীবন নিজেকে একজন অলরাউন্ডার বলে দাবি করে আসছে কিসের ভিত্তিতে সে নিজেই জানে না। তার ব্যটিং গড় ১২ আর বোলিং গড় ৬৪ নিয়ে যখন অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকেরা ২০০৪ সালে হাসি ঠাট্টা করত তখন মাথা নিচু করে থাকতাম আমরা! নাইমুর রহমান যার ব্যাটিং গড় ১৫ আর বোলিং গড় ৯০!!!!!হায় তার কথাও আমাদের এখন শুনতে হয়! রকিবুল হাসান এর কথাও কিছু বলি !পুরা ওয়ান ডে ক্যারিয়ার এ তার সর্বোচ্চ রান ছিল ১২ আর ব্যাটিং গড় ৮.৫০!আসলেই সেই দিন যদি তিনি জার্সি না পড়তেন তাহলে আজকে হয়তো সাকিবরা জানতোই না কীভাবে জার্সি পড়তে হয়!হয়তো উদম্ব হয়ে খেলতে নামতো! আপনাদেরকে যে এখনও মানুষ সম্মান করে এটাই কি আপনাদের সৌভাগ্য না??? এর প্রতিদানটা দয়া করে একটু মুখটা বন্ধ করে দিয়েন কমেন্ট এর শেষের অংশের অনেকটাই "সব খানে সবাই আছে " ভাই এর কাছ থেকে কপি মারা হইছে!ভাই কিছু মনে নিয়েন না আমি দুঃখিত!



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.