আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীমঙ্গলে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন / সভাপতি- লুৎফুর রহমান, সম্পাদক- কদর আলী

আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত বুধবার শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন। নির্বাচনে সভাপতি পদে শেখ লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কদর আলী জয়লাভ করেন। তাছাড়া অন্যান্য পদ সমূহে লুৎফুর-কদর প্যানেলের অধিকাংশ প্রার্থী জয়লাভ করেন। বুধবার স্থানীয় ভিক্টেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সাজ সাজ রবে ঊৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল থেকে ৫ টি বুথে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চলে। বুধবার সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটারদের ভোট প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। নির্বাচনে ১৩৯৪ টি ভোটের মধ্যে মোট ১১৬৭ টি ভোট কাষ্ট হয়েছে। রাত আড়াইটায় নির্বাচনের চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয। তন্মধ্যে সভাপতি পদে শেখ লুৎফুর রহমান ভোট পেয়েছেন ৭৮৮ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. কদর আলী ভোট পেয়েছেন ৬৮৪।

এদিকে তাদের বিপরীত প্যানেলের সভাপতি পদে হাজী মো. আরফান মিয়া ভোট পেয়েছেন ৩৫৯ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিতেশ চৌধুরী (অপু) ভোট পেয়েছেন ২৩১। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে সতন্ত্র প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ ভোট পেয়েছেন ২৩৪। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ লুৎফুর-কদর সহ প্যানেলের অধিকাংশ প্রার্থী জয়লাভ করায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্যানেলের সদস্যরা একে অন্যের সাথে কুশল বিনিময়ে ব্যস্থ হয়ে ওঠেন। নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি সুজিত কুমার বৈদ্য, মুবাশ্বির আলী মুন্না ও মো. কাদির খাঁন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রশীদ চৌধুরী (হিমেল) ও পিংকু পাল।

সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশীষ ধর পার্থ, কোষাধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক নিতাই চন্দ্র দেব, সদস্য ইমন দেব চৌধুরী, অজয় কুমার দেব, কামরুল হাসান জুয়েল, শাসসুল ইসলাম শামীম, সুজিত কুমার ভৌমিক, বদরুল হক ভূইয়া, রাজীব পাল, ছায়ফুর রহমান, মো. কালাম আহমেদ ও কবীর মিয়া। উল্লেখ্য নির্বাচনে দুইটি প্যানেলে ২১ জন করে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এছাড়া সতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে ২১ টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন মোট ৪৬ জন প্রার্থী। বিগত পরিষদের মেয়াদ প্রায় ৮ মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও নানা সমস্যার কারনে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণায় বিলম্ব হলেও শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে তেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি।

তফশীল অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন। এদিকে বিগত কার্যকরি পরিষদের মেয়াদ ২ বছর থাকলেও এবার নির্বাচনের পর থেকে প্রতিটি পরিষদের মেয়াদ ২ বছর থেকে ৩ বছরে উন্নীত করেছে নির্বাচন কমিশন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.