সকল অহংকার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।
মরমী বাউল কবি লালনশাহ। তাঁর মনীষার দীপ্তি দেশ ও কালের গন্ডী পেরিয়ে চিরন্ততায় সতত সঞ্চরণশীল। লোকায়ত বাংলার অন্যান্য অনেক প্রতিভাবানদের মতই তাঁর সঠিক পরিচয় আজও স্থিরীকৃত নয়।
আধ্যাত্মিক সাধক লালন শাহ’র কুমারখালীর ছেঁউড়িয়াতে আশ্রয় লাভ করেন এবং পরবর্তীকালে ছেঁউড়িয়াতে মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি স্থলেই এক মিলন ক্ষেত্র (আখড়া) গড়ে ওঠে।
ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অগনিত বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে উঠে। এই সময়ে... সাধারণ মানুষও লালনের আধ্যাত্মিক গান শুনার লোভে ওখানে সমবেত হয়।
লালনের আখরায় বছরে দুইটি উতসব অনুষ্ঠিত হয়। একটি দোল-পূর্নিমায় এবং অপরটি ১ কার্তিক লালনের মৃত্যুবার্ষিকীতে।
প্রতি বছর দোল-পূর্নিমায় লালনের জীবদ্দশা থেকে 'সাধুসেবা' নামে একটি উতসব পালিত হচ্ছে।
তিন দিন থেকে এখন উতসব হয় পাঁচদিন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় লালন একাডেমী এই উতসবের আয়োজন করে
দোল-পূর্নিমা উতসব ২০১১: ১৮-২২ মার্চ (৪-৮ চৈত্র ১৪১৭)
স্থান : ছেঁউড়িয়া, কুমারখালি, কুষ্টিয়া (লালন আখরা)।
বাউল দর্শন এখন কেবল দেশে নয়, বিদেশের ভাবুকদেরও কৌতুহলের উদ্রেক করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।