সুনশান সৈকত, সমতল -
এলায়ে শরীর দেখিতেছি শান্ত সমুদ্র!
একটা সোনারং-থালা সবে উঠে এলো ধীরে
গা হতে লোনাজল পড়িতেছে ঝরে।
দেখিতেছি শুয়ে-বসে, নিঃসাড় সমুদ্রতীরে!
যতই চাঁদ ছড়াতেছে আলো
স্পষ্ট হতে থাকে তার কলংক-কালো।
হা কপাল! যা মরি খুঁজে তায়
পড়ে তার ছায়া -
দূর হতে ভাবি এ যে কলংক-কায়া!
ঘোর কেটে গেল!
মাথা ঘুরায়ে দেখিতেছি যা -
এ কি বিভ্রম! এ কি স্বপ্ন! এ কোন মানব-ছায়া?
উদাম শরীরে রমণী এক হাঁটিতেছে ধীরে
এই রাতে কে একাকী সমুদ্রতীরে!
কে ঐ ভরাটকান্তি বুদবক্ষা নারী?
মদির তালে হাঁটে, সৈকত বিহারি!
বস্ত্রহীনা, লজ্জাহীনা -
কারে ডাকে দু’বাহু ছড়ায়ে?
ডাকে নারী কাকে
এই সমুদ্রতীরে লোকচক্ষুরাড়ে!
হঠাৎ বাতাস শোঁ শোঁ - লাগে কানে তালা
লাঞ্চিত মেঘরাশি ঢেকে দেয় চন্দ্রথালা।
অন্ধকারে দেখি না কাছের আপন হাত
অথচ, উপরে ঝিকিমিকি তারাভরা রাত।
আবার যেন কোন যাদুবলে -
মেঘ গেলো সরে, ফিরিল পূর্ণচাঁদ!
শান্ত-সাগরে দেখি তার ঝিলিমিল ছাঁদ।
কৈ গেল নারী! কোথায় সেই ছায়া?
চোখ ডলে দেখি শুয়ে এক কায়া - সূর্য-সবুজ পাতায়!
বিভৎস সুখে সৈকত-বালুকা দু’পায়ে হাতায়।
বোঝা দায়, এক অদৃশ্যকায় মথিতেছে তারে
সৈকত-সঙ্গমে কাঁপিতেছে তীর, সমুদ্রপারে।
অদূরে ঝোপের আড়ে দেখি এক ঘোড়া।
- অধীর অপেক্ষায়, কখন উঠিবে রাজা?
ঘোড়া ভাবে, এ কি রমণী রমণ!
না কি দিতেছে কারে সাজা!
আমি ভাবিলাম, আর পারি না দেখিতে এই ক্রীড়া!
- এখন উঠি বরং!
যেতে যেতে ভাবি, আড়ের ঘোড়াটা কোথাকার?
- কি ছিল তার রং?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।