আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সৈন্য বাড়াচ্ছে জাতিসংঘ

এদিকে দীর্ঘ দেনদরবারের পর শান্তিরক্ষীদের বেতন পৌনে ৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দুটি সিদ্ধান্তেই বাংলাদেশ সরাসরি লাভবান হয়েছে। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশই হচ্ছে শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সৈন্য সরবরাহকারী রাষ্ট্র এবং এই সংখ্যা হচ্ছে ৮ হাজার ৮২৬।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই দুটি তথ্য জানিয়েছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন ড. মোমেন, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পর তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই দায়িত্ব পালন করছেন।


ড. মোমেন বলেন, সিকিউরিটি কাউন্সিলের ২১০০ নম্বরের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী মালিতে নতুন একটি মিশন খোলা হচ্ছে। সেখানে ১১ হাজার ২০০ সৈন্য এবং ১ হাজার ৪৪০ পুলিশসহ মোট ১২ হাজার ৬৪০ জন শান্তিরক্ষী নেয়া হবে।
“ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৫০০ জনকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে নেয়া হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৬০০ সৈন্য নেয়া হবে বাংলাদেশ থেকে। ”
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের ভূমিকা প্রশংসিত।

এই কারণেই বাংলাদেশ থেকে শান্তিরক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি।
তিনি আরো জানান, শান্তিরক্ষীদের বেতন ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে। গত এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
ড. মোমেন গত তিন বছর ধরে এজন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন।
চারটি মহাদেশে ১৬ মিশনে ১১৬ দেশের মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৬৬ জন সৈন্য ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন শান্তিরক্ষীরা।

এর মধ্যে বাংলাদেশের ৮ হাজার ৮২৬ জন।
ড. মোমেন বলেন, ১৯৯১ সালের পর গত ২১ বছরে জাতিসংঘের অন্য খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বেড়েছে ৫৭ শতাংশ।
“অথচ জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য অর্জনের জন্যে জীবন বাজি রেখে যারা শান্তির জন্যে কঠোর পরিশ্রম করছেন, তাদের বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে কেউই এতদিন আন্তরিক অর্থে মনোযোগী হননি। ”
গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যে সব শান্তিরক্ষী ‘মহাবিপজ্জনক’ স্থানে দায়িত্ব পালন করবেন বা করছেন তাদেরকে আরো ১০ শতাংশ বেশি ভাতা দেয়া হবে।
২০১০ সালে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।

সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় পাকিস্তান, ভারত, নাইজেরিয়া ও উরুগুয়ে।
২০১১ সালে পাঁচটি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা জি-৭৭ এ প্রস্তাবটি তোলে এবং সমর্থন পায়। একই বছরের ৩০ জুন শান্তিরক্ষীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব গ্রহণ না করায় বাজেট পাস বন্ধ করে দেয়া হয়।
শেষ পর্যন্ত ওই বছরেই এডহক ভিত্তিতে শান্তিরক্ষীদের জন্য ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হয়। ২০১২ সালে এডহক ভিত্তিতে ৬ কোটি ডলার বরাদ্দ বাড়ানো হয়।


তখন স্থায়ীভাবে বেতন বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানানো হলে তিনি উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেন। ২০ সদস্যের এই কমিটিতে মিশনে সৈন্য সরবরাহকারী শীর্ষস্থানীয় দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নাইজেরিয়া ও উরুগুয়ে প্রতিনিধিরা সদস্য ছিলো।
কমিটি গত এক বছর বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, শান্তিরক্ষীদের জীবনযাপন ব্যয় বৃদ্ধি, ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। ১০ মে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পাস হলো সেই প্রস্তাব।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.