আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খেলোয়ার বনাম দর্শক

প্রথম লিখছি

খেলোয়ার ও দর্শক এই দুই পক্ষের অন্তর্বর্তী সম্পর্কটা খুবই জটিল। খেলাধূলার প্রধান উদ্দেশ্য বিনোদন হওয়া উচিত। বর্তমানে বিভিন্ন পক্ষ এটাকে বিভিন্নভাবে নিয়ে থাকেন। অনেক খেলোয়ার এখন খেলাটাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যখনি খেলাটাকে কোনো খেলোয়ার পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন ঠিক তখনি খেলার উদ্দেশ্যর পরিবর্তন ঘটে।

যার উদ্দেশ্য বিনোদন দেওয়া, করা না। যাই হোক খেলাকে পেশা হিসেবে নেওয়া কতটুকু যুক্তিজুক্ত সেই তর্কে আমি যাব না। আমি বলবো অন্য পক্ষ নিয়ে যারা খেলা দেখেন “দর্শক”। এই পক্ষ খেলা দেখেন বিনোদনের উদ্দেশে অথবা অন্য কিছুর জন্য। কিন্তু খেলা দেখা যে পেশা হতে পারে না সেটা নির্দিধায় বলা যায়।

আর খেলা দেখা যদি বিনোদনই হয়ে থাকে তাহলে খেলোয়াররা যতটুকু বিনোদন দিবেন তাতেই দর্শকদের সন্তুষ্ট থাকা উচিত। আর যখন খেলোয়াররা ভালো খেলে বিনোদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন তখন কেন প্রয়োজন হয় অন্য আরেক টি বিনোদন যুক্ত করে খেলার বিনোদন টা সম্পন্ন(fulfill) করার। এটা বোধগম্য নয়। যেমন: মিছিল করা এর মানে হচ্ছে তাদের বিনোদনটা যে মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে সেটা সকল কে জানিয়ে তারা করেন আরও একটা বিনোদন। কিন্তু এটা বিবেচনায় রাখা উচিত, তাদের মাত্রাতিরিক্ত বিনোদনের ঘোষণায় অন্য কারো সমস্যার কারণ কতে পারে।

আর একটি কথা যেটা না বললেই ন, অন্যের সংস্কৃতি ধার করে এনে শব্দ দূষণ করা। এর কোনো মানেই হয় না। শহরের অলিতে গলিতে হিন্দী গান(শিলা)। যার মূলে রয়েছে যৌনতা। আর এই গুলো যদি হয় খেলার বিনোদনের একটি অংশ তাহলে বাংলাদেশের করুন পরাজয়ের দিন, ঘরে বসে একটু বেশি গান শুনলেই তাদের হয়ে যেত।

অথবা মাঠে যেয়ে দুই ঘন্টা বেশি মিছিল করলে হয়ে যেত। বিনোদনের ঘাটতি যা ছিল সেটা পুষে যেত। সমস্যাটা শুধু মিছিলের ডায়লগ এর অভাব। সেটাও অন্য কোনো সংস্কৃতি থেকে ধার করে এনে নিলেই হত। জরিমানা হত না বরং বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব হত।

খেলোয়ারদের থেকে দর্শক এর কিছু চাওয়া থাকতে পারে। তারমানে এই নয় “do or die”। এটা হওয়া উচিত নয় কারণ আমরা এখন আর সেই যুগে নাই যে, রাজাকে বিনোদন দিতে না পারলে শিরোছেদ করা হবে। বিনোদনের একটু ঘাটতি হতেই পারে। খেলা খারাপ হতেই পারে তার মানে এই না যে, তাদের উপর হামলা করতে হবে।

তাদের উপর হামলা করাটা হচ্ছে কাপুরুষ/বর্বরতার পরিচয় ছাড়া কিছুই না। । যদি কোনো পক্ষ মনে করে থাকেন খেলোয়ারদের বেথর্তায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তাদের এটাও মনে রাখা উচিৎ যে বর্বরতা দেশের জন্য বেশি মানহানিকর। সব শেষে এটাই বলবো, যদি ভালো খেলা দেখে বিনোদনের পরিপূর্ণতা না হয় ও খেলার বের্থতা মেনে নিতে না পারেন, তাহলে তাদের খেলা না দেখাই ভালো.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.