আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাকী তিন ম্যাচে দু’টি জিতলেও ছিটকে পড়তে পারে বাংলাদেশ



বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড খেলতে যে জয়ের টার্গেট ছিল বাংলাদেশের সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে লজ্জায় ডুবিয়েছে টাইগাররা। হেরেছে বিশাল ব্যবধানে। খেলা শেষ হয়ে গেছে মাত্র আড়াই ঘন্টায়। রাত আসার আগেই শেষ হয়ে যায় দিবা-রাত্রির এই ম্যাচ। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে যেন ছেলে-খেলা করেছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজের বোলাররা।

টাইগাররা তাদের যে মামুলি রান ৫৮ সংগ্রহ করে তা এ যাবতকালে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম দলীয় রান। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে কম দলীয় রানের হিসেবে এটি চতুর্থ স্কোর। কম রানের রেকর্ড অবশ্য কানাডার। তারা ৩৬ রান করেছিল শ্রীলংকার বিপক্ষে ২০০৩ বিশ্বকাপে। এর আগে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম দলীয় রান ছিল ৭৮, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০৮ সালে।

মাত্র ১২ ওভার ২ বল খেলে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে। ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। বড় দলও এরচেয়ে খারাপ হার হেরেছে। কিন্তু এই পরাজয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে অনেক দূরে সরে গেল টাইগাররা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে খারাপ খেলার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অধিনায়ক সাকিব।

বলেছেন এখনো সুযোগ আছে। বাকী তিনটির মধ্যে দুটি খেলা জিতলে আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবো। কিন্তু দুটি ম্যাচ জিতেও আমরা ছিটকে পড়তে পারি, হিসেবটা যদি এমন হয়। সাউথ আফ্রিকা বাকী ৪ খেলার মধ্যে কমপক্ষে দুটি জয়লাভ করলো, পয়েন্ট হলো ৮। আর ওয়েষ্ট ইন্ডিজ বাকী তিনটার মধ্যে কমপক্ষে জিতলো ১টি, পয়েন্ট হলো ৬।

ভারত বাকী ৪ ম্যাচে কমপক্ষে ২টি জিতলে পয়েন্ট হবে হবে ৭। ইংল্যান্ড তিনটার মধ্যে দু’টি জয়লাভ করলে হবে ৭ পয়েন্ট। আর বাংলাদেশ দুটি জিতে হবে ৬। বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটের বিচারে আউট হয়ে যাবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে যাবে সাউথ আফ্রিকা, ভারত, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বাংলাদেশের বর্তমান নেট রান রেট মাইনাস ১ দশমিক ৭৬৪। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্লাস ২ দশমিক ৬৬৭। এই ম্যাচ বিশাল ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশের নেট রান রেট এতো নীচে নেমে গেছে। আয়ারল্যান্ডে অবস্থানও এখন আমাদের উপরে। তবে হিসেবেটি যদি এমন হয় তাহলে আমাদের দ্বিতীয় রাউন্ড খেলার সুযোগ থাকে।

সেটি হলো, ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডকে হারাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বাদেও ইংল্যান্ড বাকী দুটি খেলার (সাউথ আফ্রিকা বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ) যেকোন একটি হারবে। তাহলে আমাদের পয়েন্ট হবে ৬, ইংল্যান্ডের ৫। আমরা চলে যাবো দ্বিতীয় রাউন্ডে। এ ক্ষেত্রে আমাদের জন্য আশির্বাদ হবে ইংল্যান্ড-ভারতের ওই টাই ম্যাচ।

আসুন দেখে আসি ‘বি’ গ্রুপে দলগুলোর অবস্থান। সাউথ আফ্রিকা দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয়লাভ করে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছেন শীর্ষে। এই ম্যাচ জিতে ওয়েষ্ট উন্ডিজ উঠে গেছে গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে। ৩ ম্যাচে খেলে ২ জয় ও একটি পরাজয় নিয়ে তাদের পয়েন্টও ৪। ২ খেলায় একটিতে জয় আর একটি টাই করে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থান ভারতের।

আর তিন খেলায় ১ জয় ১ টাই ও ১ পরাজয়ে ৩ পয়েন্টে চতুর্থ অবস্থান উংল্যান্ডের। ২ ম্যাচ খেলে ১টি জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আয়ারল্যান্ড। ৩ খেলায় ১টি জয় ও ২টি পরাজয়ে সমানসংখ্যক ২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ট অবস্থানে বাংলাদেশ। আর নেদারল্যান্ড তিনটি ম্যাচ হেরে কোন পয়েন্ট পায়নি। তাদের অবস্থান সপ্তম।

বাংলাদেশের সামনে খেলা আছে তিনটি। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।