আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'ফাটকাবাজ' বলায় সংসদে তোপের মুখে অর্থমন্ত্রী

কিন্ত যে সাধেনি কভু জন্মভূমি হীত স্বজাতির সেবা যেবা করেনি কিঞ্চিত, জানাও সে নরাধম জানাও সত্বর অতীব ঘৃনীত সেই পাষন্ড বর্বর

পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের 'ফাটকাবাজ' অভিহিত করে সাংসদদের তোপের মুখে পড়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রোববার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ফরিদপুর-১ আসনের সাংসদ আব্দুর রহমানের পুঁজিবাজার সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পতনমুখী বাজারে নতুন এক লাখ বিনিয়োগকারী 'ফাটকাবাজির জন্য' এসেছেন বলে মন্তব্য করেন মুহিত। পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে মানিকগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ এ বি এম আনোয়ারুল হক এবং নোয়াখালী-৬ আসনের সতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমসহ কয়েকজন সাংসদ ওই বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানান। এসময় তখন আবুল মাল আবদুল মুহিত অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না। মন্তব্যে একটু সতর্ক হওয়া উচিত আনোয়ারুল হক বলেন, "অর্থমন্ত্রী তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের ফাটকাবাজ বলেছেন।

কিন্তু শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা আমাদের সম্মানিত নাগরিক। তাই তাদের সম্পর্কে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে একটু সর্তক হওয়া উচিত। " এ সময় অধিবেশন সভাপতিত্বকারী ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বলেন, "তখন আমি ছিলাম না আমি জানি না উনি কী বলেছেন। মাননীয় স্পিকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। " ডেপুটি স্পিকারের এ বক্তব্যের পর আনোয়ারুল হকসহ সরকারদলীয় কয়েকজন সাংসদ অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার জন্য খালি গলায় চিৎকার করতে থাকেন।

একই দাবিতে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্য দিতে দাঁড়ান শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তোফায়েল আহমেদ। জবাবে শওকত আলী বলেন, "এ বিষয়ে আমরা আর কোনো বিতর্কে যাব না। " এ প্রশ্নের উত্তর দেব না এর আগে প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশের অর্থনীতি চাঙা করা বিষয়ে স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমের প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান অর্থমন্ত্রী। তার প্রশ্ন ছিলো- দেশের অর্থনীতির চাকাকে চাঙা (গতিশীল) করতে অর্থমন্ত্রী কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন? জবাব দিতে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, "আমি এই প্রশ্নের উত্তর দেব না। এই সংসদ সদস্য সুযোগ পেলেই অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তোলেন।

এগুলো এক্সপাঞ্জ করা দরকার। "প্রশ্ন হচ্ছে ব্যাংকিং নিয়ে আর উনি প্রশ্ন করছেন অন্য প্রসঙ্গে। তার এ ধরনের কথা-বার্তা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আমার কাছে মনে হচ্ছে তার প্রশ্নের উত্তর না দেওয়াই ঠিক হবে। " স্পিকার আবদুল হামিদ ওই বক্তব্য এক্সপাঞ্জ না করে বলেন, "একজন সাংসদ যে কোনো প্রশ্ন করতে পারেন।

আপনার উত্তর জানা থাকলে উত্তর দেবেন। তা না হলে বিষয়টি নিয়ে নোটিস চাইতে পারেন। " এরপর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রীর 'ফাটকাবাজ' কথাটি এক্সপাঞ্জের দাবি জানান স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম। তিনি বলেন, "আমরা প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে উনি কিছু সুইপিং কমেন্ট করেছেন। উনি মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য।

উনি আমাকে ধমক মেরেছেন। এটা অনভিপ্রেত। উনি সম্মানী ব্যক্তি। কিন্তু আমরা তো নিজ নিজ ক্ষমতাবলে এখানে এসেছি। জনগণ আমাদের এখানে পাঠিয়েছে।

আমিও এ বি এম আনোয়ারুল হকের মতো অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য এক্সপাঞ্জের দাবি জানাচ্ছি। " এখানে দেখুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।