আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজামশাই- এর লুলীয় দৃষ্টি

রাজা
এইটা একটা লুলীয় প্রকাশনা ............... যুগে যুগে নারীরা তাদের সৌন্দর্য্যের পরিশীলিত প্রকাশ ঘটিয়েছে তাদের নিজস্বার্থে - আমারা লুল পুরুষ তা অবলোকন করে কিঞ্চিত আনন্দিত/ পুলকিত হই মাত্র । এতে কোন হীনস্বার্থ জড়িত নাই নারীর প্রতি আকর্ষন, এইটা লুলীয় ধর্ম এবং এইটা স্বাভাবিক। অবলোকনে কিঞ্চিত পুলকিত হওয়া যাইতে পারে তাতে কোন সমস্যা নাই। তবে প্রেমের পাঁচ পর্ব যথাক্রমে রাগ, অনুরাগ, পূর্বরাগ, বিরহ ও মিলন (মোক্তার-স্যার , নটরডেম কলেজ) এর সাথে এই আর্কষনের কোন সম্পর্ক নাই। এই আকর্ষন সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয় ইহাতে প্রেম তেমন কোন ইতরভেদ ঘটাইতে পারে না।

একজন আদর্শ লুল এই আকর্ষনকে উপভোগ করিয়া থাকে। মাইয়া মানুষরে যখন মানুষ হিসাবে দেখবা তখন কোন সমস্যা নাই। কিন্তু একটু অন্য ভাবে যখন দেখবা তখন তুমি লুল ................................... আর যদি পুরা অন্য ভাবে দেখবা তখন তুমি পশু। কাজেই লুল হইলো মানুষ এবং পশু মধ্যবর্তী একটা অবস্থা। এমন একটা অবস্থা ইচ্ছা করলেই পাল্টি মাইরা ভালো মানুষ সাজন যায় আর লুল হওনের এইটাই সার্থকতা।

উদাহরণ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (লুলশ্রেষ্ঠ), রাজামশাই ইত্যাদি। চুড়ি পরা হাত দেখলে - কেন জানি মনের মধ্যে মোচড় দিয়া উঠে - তোগো কি এই রকম হয় ? আমি দেখার সময় দেখি হাত ভরা চুড়ি আছে কিনা? অবশ্য এই যুগে এখন আর হাত ভরা চুড়িওয়ালী পাওয়া দুস্কর। আবার অনেকে এইটারে পরাধীনতার চিহ্ন মনে করে.... হাত খালি রাইখ্যা স্বাধীন থাকবার চায়। কপালের টিপ ( বিন্দি / বিন্দিয়া )- এইটা আমার কাছে চরম একটা আকর্ষনী বিষয়- কারও মুখের দিক চাইলে আমার চোখ তার কপালের টিপের উপর আটকায়া যায় এইটা আমার কাছে একটা মারাত্মক ধোকা হিসাবে কাজ করে। সুন্দরীর মুখের অনেক ক্রটি এর কারনে আমার চোখে পড়ে না।

আবার আমার ওস্তাদের টিপ দেওয়া দেখলেও কিন্ত খারাপ লাগে না কি বলিস? ঝুমকা - এই জিনিসটা আমার কছে বড়ই মনোরম মনে হয় - দেখলেই ধইরা দেখতে ইচ্ছা করে । কানে ধরার অপরাধে অপরাধী হওন টা ঠিক না বিধায় আমার নাগালের বাইরেই থাইক্যা যায় ঝুমকা পরিহিত ললনা দেখিতে মন চায়। ঝুমকা নিয়া অনেক গান টান শুনা যায়........ বেশীর ভাগ আমার পছন্দ। ঝুমকা গিরা রে এই গানের তুলনা মিলা ভার মেহেদী এই জিনিসটা আমারে খুব টানে সেই ছোটবেলা থাইক্যা একটা গাছের পাতা পিষে হাতে লাগাইলেই লাল রঙ দাগ পড়ে ব্যাপার টায় খুব মজা পাইতাম। বাংলায় নাম - মেহেদী ,অন্যান্য স্থানীয় নামঃ Henna, Mehendi, বৈজ্ঞানিক নামঃ Lawsonia inermis পরিবারঃ Lythraceae (Crape Myrtle family) মেহেদীর রাঙ্গা হাতে দেখলে মনের মধ্যে একটা রাঙ্গা ভাব জাইগ্যা উঠে।

একজোড়া চুড়ি ভরা হাতে মেহেদীর শৈল্পিক প্রলেপ, যে কোন পুরুষকে আর্কষন করবে এতে কোন সন্দেহ নাই। আর লুল হইলে আগে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে মেহেদী লাগানো চল থাকলেও - এখন সেই ভাবে দেখা যায় না। যা চোখে পড়ে তা হলো কিছু মানুষে মেহেদী রাঙ্গা পাকা চুল অথবা কিছু মৌলানা দাড়ি । মনে বড় দুঃখ পাই । টিকলী বা টিকা - এই জিনিসটা বরাবই আমারে পুলকিত করে।

আমার মনে হয় এর মধ্যে কোন যাদু আছে ... অনেকটা সম্মোহন করার পেন্ডুলামের মতো। আমি মাঝে মাঝে সম্মোহিতের মত তাকাইয়া থাকি .. "হার দিল যো প‌্যায়ার করেগা" গানের মধ্যে রাণীরে টিকলী পরিহিত দেইখ্যা টাশকি খাইয়া, কয়দিন মন উদাস আছিলো। নীচে রাণীর ছবিটা দেখ প্রকৃত লুল হইলে তোর মনও উদাস হইবো বলিয়া আমার ধারনা জয় লুল মনটা হু হু কইরা উঠের রে.... মনে হয় বুড়া হইয়া গেলাম। নূপুর - Anklet এক ধরনের গহনার নাম। আদি কালে মিশরীয় ও আরবীয় নারীগনের ব্যবহার করিবার ইতিহাস পাওয়া যায়।

আমাদের উপমহাদেশে বিবাহিত রমনীকূল ইহা ব্যবহার করিতেন। এই জিনিসটা আমারে খুব আন্দোলিত করিয়া থাকে । নববঁধুর পদযুগলে পড়ানো নূপুরে শব্দ শূণ্যভিটায় প্রান সঞ্চারিত করিয়া থাকে - যাহা প্রমানিত। কিন্তু কলিযুগের মাইয়ারা নববঁধূর গতিবিধি নজরবন্দী করিবার অজুহাতে দীর্ঘকাল ইহাকে পরিত্যাগ করিয়াছে। আধুনাকালে যৎকিঞ্চিত অবিবাহিত বালিকাদের মাঝে ইহা ব্যবহার পুনরায় পরিলক্ষিত হইতেছে বলিয়া আনন্দ বোধ করি।

নৃত্যকলার এক অত্যাবশকীয় উপাদান এই নুপুর। আফসুস!!! সুন্দর একজোড়া পদযুগলে নূপুর, একজন পুরুষে বুকে যে ঝংকার তুলিতে পারে, তাহা রমনীকূল যদি জানিতে পারিতো... বিঃ দ্রঃ - মিলারে ভালা পাই - তাহার পদযুগল সুন্দর - তাতে নুপুর আরও সুন্দর - আহা!! আহা!! একটা গল্প দিয়া শেষ করি কুন্তলা শব্দটি কুন্তল এর স্ত্রী রূপ - কুন্তল [ kuntala ] বি. কেশ. চুল (‘আলুলিত কুন্তলরাশি’: রবীন্দ্র)। [সং. কুন্ত + √ লা + অ]। কুন্তলা–বি. (স্ত্রী.) কুন্তল। এক মজার কাহীনি মনে পড়লো - এক প্রিয়ভাষিনী রমনী একদা আমাকে শিক্ষাদান করিলো যে কুন্তল মানে হইতেছে নারী কপালের কাছ হইতে একগুচ্ছু চুল যাহা তাহার চিবুকের নিকট অবিন্যস্ত ভাবে পড়িয়া থাকে।

স্বীকৃত লুল বলিয়া এর পর হইতে রমনী দেখিলেই কুন্তল খুজিয়া বেড়ানো শুরু হইলো । কিছু কিছু রমণীর কুন্তল এতটাই আকর্ষণী লাগিলো যে তাহাতে আমার টাকশি বা ভিমরী খাইবার যোগার হইলো । দীর্ঘ পর্যবেক্ষনের পর হাঠাৎ আবিস্কার করিলাম ইহা নিতান্ত অবিন্যস্তভাবে পড়িয়া থাকে না বরং সুপরিকল্পিত ভাবে এই কর্ম সম্পাদন করা হয়। পুরুষের চোখকে আকৃষ্ট করার এই কর্ম আমার খারাপ লাগে নাই । ইহা একটি লুলীয় প্রকাশনা জয় লুল
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.