আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাকসামকে জিলা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফুর্ত সাড়া


লাকসামবাসী আর অধিকার বঞ্চিত থাকতে চায় না। অধিকার আদায়ে যে কোন কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে তারা এখন একাট্টা। গত ১০ ফেব্রুয়ারী লাকসাম জিলা বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবিসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত সাড়ায় এমনটি-ই প্রতীয়মান হয়েছে। লাকসামকে জেলা বাস্তবায়নের যৌক্তিক দাবিকে স্বাগত জানিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিম, সাবেক সংসদ সদস্য ও লাকসাম উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম হিরু, লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজির আহমদ, লাকসাম পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব মফিজুর রহমানসহ লাকসামের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। লাকসামকে জিলা বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত এ প্রথম কর্মসূচীতে আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাওয়ায় ভবিষ্যতে এ আন্দোলন আরো ত্বরান্বিত হয়ে আজকের লাকসাম উপজেলা আগামীদিনে লাকসাম জেলায় রূপান্তরিত হবে- এমনটিই মনে করেন বিজ্ঞমহল| গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকালে স্থানীয় বাইপাস রোডে লাকসাম জিলা বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসুচিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিপুল সংখ্যক জনতা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে লাকসাম জিলা বাস্তবায়ন পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহবায়ক শিববীর আহমদ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ মুক্তিযোদ্ধা নজির আহমদ ভূঁইয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল বারী মজুমদার, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুর নবী, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান বাদল, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এড. রফিকুল ইসলাম হিরা, সাধারন সম্পাদক প্রফেসর আবুল খায়ের, জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবদল সহ-সভাপতি গোলাম ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার, লাকসাম জেনারেল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ মাহমুদ খসরু, ফেয়ার হেলথ হসপিটালের ভাইস চেয়ারম্যান মীর আবু বাকার, মিডল্যান্ড মডেল টাউনের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী হেলাল, লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মোল্লা, শিক্ষক নেতা কোরবান আলী, অধ্যক্ষ ইয়াছিন মজুমদার, লাকসাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলাল, দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন’র প্রতিনিধি সাইফ খাঁন, লাকসামের আলো’র সম্পাদক মহাববত আলী, তরুণকন্ঠের প্রকাশক রফিকুল ইসলাম শান্ত, মনোহরগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির মানিক, দৈনিক আজকের জীবন প্রতিনিধি জাফর আহমদ, মিডল্যান্ড মডেল টাউনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আল শারাহ্, জিসিএন এর ভাইস চেয়ারম্যান নুরম্নল আলম সুমন, আবদুল মালেক কানুনগো, পৌরসভা যুবদলের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সজল, ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আমান উল্যাহ আমান, ন.ফ কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, জাহেদ হোসেন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। আর কোন দাবি নাই, লাকসামকে জেলা চাই- এ শ্লোগানকে ধারণ করে মানববন্ধন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন- দেশের কয়েকটি প্রাচীনতম শহরের মধ্যে লাকসাম একটি অন্যতম শহর। উপমহাদেশের একমাত্র নওয়াব উপাধিখ্যাত মহিয়সী নারী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর জন্মভূমি লাকসাম। ভৌগলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা-সাংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে লাকসাম জেলা বাসত্মবায়নের ক্ষেত্রে যৌক্তিক দাবি রাখে। বৃটেনের মহারাণী ভিক্টোরিয়া কর্তৃক উপাধীপ্রাপ্ত নওয়াব ফয়জুনেণসা চৌধুরাণীর স্মৃতি বিজড়িত লাকসাম বাংলাদেশের একটি গুরতত্বপূর্ণ সহান দখল করে অাছে।

অালোর শহর বা “”কত লাকসাম কত বাত্তি” নামে খ্যাত এই লাকসাম এর প্রায় চার শত একর জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন যার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক প্রামত থেকে অন্য প্রামত ভ্রমন করা সম্ভব। এক সময়ের বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম থানা লাকসামকে বিভত্তু করে ইতিমধ্যেই চারটি উপজিলা গঠিত হয়েছে। এই চারটি উপজিলা হচ্ছে- লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণ। এই চারটি উপজিলার বর্তমান ভোটার সংখ্যা বাংলাদেশ সরকারের ভোটার তালিকা ২০০৯ অনুযায়ী প্রায় ৭ লাখ। এই চারটি উপজিলা নিয়ে লাকসাম জিলা গঠন করা সম্ভব।

এছাড়া উপরোত্তু ৪টি উপজিলার সহিত কুমিল্লা জিলা থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজিলা ও বরতড়া উপজিলা, চাঁদপুর জিলা থেকে শাহরাসিত উপজিলা এবং নোয়াখালী জিলা থেকে সোনাইমুড়ী উপজিলা অমতর্ভূত্তু করেও লাকসাম জিলা বাসতবায়ন সম্ভব। বাংলাদেশে ইতিপূর্বে অনেক জিলা গঠন করা হয়েছে যার ভোটার সংখ্যা বর্তমান লাকসাম জিলা রদপরেখার ভোটার সংখ্যার চাইতে অর্ধেক বা তারও কম। উদাহরণ স্বরদপ মেহেরপুর জিলা মাত্র ৩টি উপজিলা নিয়ে গঠিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রণীত ভোটার তালিকা ২০০৯ অনুযায়ী এই জিলার সর্বমোট ভোটার সংখ্যা মাত্র ৪ লাখ। ঝালকাঠি জিলা মাত্র ৪টি উপজিলা নিয়ে গঠিত হয়েছে এবং এই জিলার ভোটার সংখ্যা মাত্র ৩ লাখ। নড়াইল জিলা গঠন করা হয়েছে মাত্র ৩টি উপজিলা নিয়ে এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রণীত ভোটার তালিকা ২০০৯ অনুযায়ী এই জিলার সর্বমোট ভোটার সংখ্যা মাত্র ৪ লাখ।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত ভোটার তালিকা ২০০৯ অনুযায়ী এই রকম প্রায় ২৫টি জিলা পাওয়া যাবে যার ভোটার সংখ্যা লাকসাম জিলা রদপরেখা (লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণ) এর ভোটার সংখ্যার চাইতেও কম। বিভিনণ সময়ে গণপ্রজাতমএী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, প্রধানমমএী শেখ হাসিনাও লাকসাম জিলা বাসতবায়নের অাশ্বাস দিয়েছিলেন। লাকসাম জিলা বাসতবায়নে ইতিমধ্যেই যুত্তুরাষ্ট্রে লাকসাম জিলা বাসতবায়ন কমিটি গঠিত হয়েছে এবং এই কমিটির উদ্যোগে লাকসামকে জিলা ঘোষণার দাবীতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, প্রধানমমএী শেখ হাসিনা ও সহানীয় সরকার পল্লী উনণয়ন ও সমবায় মমএী সৈয়দ অাশরাফুল ইসলামের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচী পালন শেষে লাকসাম জিলা বাসত্মবায়ন পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার আহবায়ক শিববীর আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ.কে.এম মামুনুর রশিদ এর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। সমেয়র দর্পণ
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।