আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০১১ সাল !! তবুও ৫৬ টেবিলে ঘুষ !!

~আল্লাহু আকবার~

কি অবাক লাগছে শুনে ? নাকি শুনতে শুনতে হজম হয়ে গেছে ? তবুও কষ্টের সাথে বলছি। নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম এইতো সেদিন। আমাদের আপনাদের সকলের প্রিয় হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ার পোর্টে। তো এর ই কার্গো সেকশন (এয়ার কাস্টমস হাউসে) এ গিয়েছিলাম কিছু প্রয়োজনীয় মালামাল আনতে। যা আমার বড় ভাই জহুরুল আলম সিডনী অস্ট্রেলিয়া থেকে কার্গো সার্ভিস এর মাধ্যমে পাঠিয়েছিলো।

মালামাল গুলোর আনুমানিক মুল্য ৩০,০০০ টাকা অথচ মালামাল গুলো খালাস করতে লাগলো ২০,০০০ টাকা। শুনতে হাস্যকর হলেও প্রতিনিয়ত এটাই ঘটছে। আর একটা উদাহারন দেই,একটা ডিজিটাল ক্যামেরা খালাশ করতে লাগে ১২ হাজার টাকা অথচ ক্যামেরা টার মুল্য বাংলাদেশি টাকায় ৬০০০ টাকা। শখ করে প্রবাসীরা স্বজনদের জন্য কিছু পাঠাবে তার ও উপায় নেই। এক সৌদি প্রবাসী ভদ্র লোক স্বজনদের জন্য পাঠিয়েছিল কিছু কম্বল যা নিতান্তয় কম খরচে।

পরে উনি নিজেই স্ব-শরীর এ কম্বল গুলো নিতে এসেছিল এয়ার কার্গো সেকশনে। কিন্তু তার কাছেও দাবি করা হয় ২০,০০০ টাকা। তার চোখ টা দেখলাম ছল ছল করছে। সে সৌদিতে মাসে কম টাকা বেতনের চাকরি করে সে কিভাবে এই টাকা দিবে ?? আমরা যে ২০,০০০ টাকা ওদেরকে দিয়েছিলাম প্রথমে ভেবেছি, এটাই হয়তো সরকারী ট্যাক্স। পরে দেখলাম সরকারী কোষাগারে জমা পড়েছে মাত্র ১৭৫ টাকা।

আর বাকি টাকা টা পুরোটাই চলে গেছে সরকারী ঘুষ খোর চামচা আর এজেন্ট নামধারী দালালদের পকেটে। আপনারা হয়তো ভাবছেন টাকা দিয়েই আমরা মাল পেয়ে গেছি। অসম্ভব তা কি হতে পারে ?? হতে দেওয়া যায়? ? পাকা দুইদিন ওখানে ঠাই বসে থাকতে হয়েছে। যথারীতি ৫৬ টেবিলে ঘুষ দিতে হয়েছে ও সাক্ষর নিতে হয়েছে। ৫৬ টেবিল পাশাপাশি নয়।

এক একটা টেবিলের দূরত্ব ৩ কিলো, ২ কিলো, আধা কিলো। হাটতে হাটতে জান যায়। হায়রে আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ ? কোথায় গেলো কম্পিউটার ?? সবই চলছে হাতে লেখা পুরনো পদ্ধতিতে?? জাতির বেটি হাসিনা বুবু কি পারতো না এয়ার পোর্টের নাম চেঞ্জ না করে এসব সেকশনের উন্নতি করতে ?? কত টাকা খরচ হইছে নাম চেঞ্জ করতে তাতো আপনারা সবাই জানেন ! এ টাকা গুলো কি উনার বাপের ? জনগনের ঘামের টাকা। আর খালেদা বুবুর কথা কি বলবো? উনি ক্ষমতায় থাকলে মনেই হয়না ক্ষমতায় কেউ আছে !! সব ক্ষমতা চলে যাই উনার ছেলেদের হাতে। যাহোক,এগুলো বলে কি আর হবে? কষ্ট থেকে বলছি।

মাইন্ড খাইয়েন না। যেখানে একটা এয়ারপোর্টের ঘুষ,দুর্নীতি,অনিয়ম সামলাতে পারেনা সরকার। সেখানে কোন সাহসে আর একটা এয়ার পোর্ট বানাতে চাই হাচিনা বুবু তা বুঝলাম না। তাহলে কি ধরে নিবো পেট ভরছে না ? ঘুষের আখড়া গুলো কেন ডিজিটালাইজড করছে না সরকার ? হারামজাদা দের ঘুষ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে তাই ?? আর ঘুষ নেওয়ার স্টাইল টাও জঘন্য। সরাসরি চাই একটু ও লজ্জা নেই।

হারাম খেতে খেতে চামড়া মোটা হয়ে গেছে। তথাকথিত আছে ৪০ বছর স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। আসলে কি আমরা স্বাধীন ????? মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারী তে কিছু কষ্টের কথা বলেই ফেললাম। ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।