আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনে আছে সেই ফেলানী'র কথা ???

জানতে চাই, জানাতেও চাই

বিশ্বকাপের খেলা চলাকালীন সময়ে বি,এস,এফ এর বর্বরতা'র প্রতিবাদ করা হবে বলে জানুয়ারী মাসে আমরা অনেকেই শপথ নিয়েছিলাম। আজ সেই দিন! আমাদের প্রস্তুতি কি? ব্লগে একটি মাত্র লেখা চোখে পড়লো এ নিয়ে। কথা ছিল আরো বেশী লেখা হবে.....! অনেকেই মার্কার আর কাগজ নিয়ে যেতে চাইছেন কিন্তু মার্কার আর বড় কাগজ নিয়া ঢুকতে দিবে না। ব্যানার-পোস্টার নিয়া গেলে গ্রেপ্তার করতে পারে। অথবা মাঠে ঢুকার সময় যদি কোন কারনে পুলিশ যদি আমাদের উপর রেগে যায় তাহলে কোন রুমে-টুমে খেলাচলাকালীন সময় আটকে রাখতে পারে! সেক্ষেত্রে গ্যালারীতে পৌছানোর আগ পর্যন্ত সতর্ক হতে হবে।

কারন দেশের পক্ষে ন্যায্য প্রতিবাদ করার সময় পুলিশ যদি কিছু বলতে আসে তখন গ্যালারীশুদ্ধ মানুষের সমর্থন পাবেন এবং পুলিশ আমাদের সরাসরি কোন ক্ষতি করতে পারবে না। পুলিশ কাছাকাছি চলে আসলেই ক্যামেরায় ধারন করে ফেলুন। সবাইকে বলুন ভিডিও করার জন্য। তখন পুলিশ আমাদের উপর নির্যাতন করা বা করার ভয় দেখাবে না। কারন, তাহলে কোটি কোটি মানুষের কাছে দেশদ্রোহী পুলিশবাহিনী'র ছবি চলে যাবে!!! ভাই, ঘটনা সত্যি ঘটাইতে চাইলে প্রস্তুত হয়ে যেতে হবে।

একটা সহজ ও নিরাপদ উপায় হয় কি না দেখেন: BSF STOP KILLING INNOCENTS (উদাঃ) দাবীটি- ২৬টি সাদা টি-শার্টে একটা করে অক্ষর বড় করে লিখে ফেলুন। শীতের কাপরের ভেতর টি-শার্ট গায়ে দিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকে যান। অক্ষর মিলিয়ে এক সারিতে ২৬ জনের কাছে টি-শার্টগুলো দিন। খেলার মাঝে মাঝে সবাই একসাথে টি-শার্ট গুলো উচু করে ধরুন। বিষয়টি সহজ: একজন উদ্যোক্তা লাগবে যিনি ২৬টি সাদা টি-শার্ট এবং তার উপর লেখা নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করবে।

২৬ জনের নিজেদের গ্রুপ লাগবে না ৪-৫ জন হলেও চলবে। এমন কি একা কেউ যদি ২৬ টি শার্ট তৈরী করে মাঠে যায় তখন স্টেডিয়ামের বাইরেও সমমনা দেশপ্রেমীক প্রতিবাদী বাংলাদেশী ২৬ জন যোগাড় হয়েই যাবে। একজন যদি শুধু সবাইকে উৎসাহ যোগান দিতে পারেন!!!! বি,এস,এফ অক্ষরগুলো লিখতে লাল কালি ব্যাবহার করুন। প্রতিটা বাক্যের মাঝে একটি সাদা টি-শার্ট থাকলে ক্যামেরার ফোকাসে সুবিধা হবে। আইন বিরোধী এবং উগ্রপন্থি স্লোগান ব্যাবহার না করলে আইনের চোখে এবং হাজার হাজার মানুষের চোখের সামনে আমরা স্বাভাবিকভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারি।

এবং বি,এস,এফ যে মানুষ মারছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই! এবং আমরা চাই যে ভারত সহ আন্তর্জাতিক মহলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চলমান গণহত্যার কথা যেন মানুষ ও বিশ্ব বিবেক যেন জানতে পারে! সবার সামনে তুলে ধরলে এ বর্বরতা চলতে পারে না। এবং আমাদের ভাই-বোনদের সাথে হতে থাকা ধারাবাহিক বর্বর আক্রমন বন্ধ করতে এই পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। শুধু যে ভারত-বাংলাদেশের খেলার সময়ে প্রতিবাদ না করলে আর করা যাবে না, তা কিন্তু নয়! আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে ইস্যুটি উপস্থিত করাটাই মুখ্য। অন্যকোন উপায়েও করতে পারেন। তবে করার দায়িত্ব নিতে হবে।

দায়িত্ব নিয়ে ভাবলে উপায় বের হবেই! কিন্তু প্রশ্ন হল করার মত কেউ কি আদৌ আছে কি না ? নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে এই প্রতিবাদ সফল করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা আমারই দায়িত্ব কিন্তু আমি ঢাকা থেকে সাড়ে ৬ হাজার কিঃমিঃ দুরে আছি। দায়িত্ব পালনে অক্ষমতার কারনে আমি লজ্জিত। কিন্তু বিশ্বাস করি আমার উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি বাংলার লক্ষ-কোটি দেশপ্রেমিক তরুনের উপস্থিতির সামনে কিচ্ছু না! Click This Link


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।