আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ২(ক)

প্রশ্ন করেই যাব অবিরত

[ ১। কেউ যদি কোরানকে আল্লার বাণী বলে প্রমাণ করতে পারেন তবে আমি অবশ্যই তা মেনে নিতে রাজি আছি, আর হ্যা, প্রমাণিত একটি বিষয় কারো মেনে নেয়ার অপেক্ষায় বসে থাকে না। তাই মুসলিম ধর্ম-বাদীরা কোরানের অলৌকিকত্ব প্রমাণের সব চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আমি কাউকে ব্লক করি নি, যে কেউ আমার লেখায় মন্তব্য করতে পারবেন ও মন্তব্যগুলো সরাসরি প্রকাশিত হবে। কোনো প্রাসঙ্গিক মন্তব্য আমি অবশ্যই মুছে দেব না, আগের পর্বেও কোনো মন্তব্য মুছে দেয়া হয় নি।

২। যে কেউ আমার এ লেখার বিপরীতে ইচ্ছেমত নিজস্ব যুক্তি/অভিমত দিতে পারবেন। তবে দয়া করে কেউ গালিগালাজ পূর্ণ মন্তব্য করবেন না। আমি যে গালিগালাজকে ভয় করি মোটেও তা না, আমি মনে করি এর আসলে কোনো মানেই হয় না, এবং অহেতুক তা অসুস্থ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং তা পরাজয়ের লক্ষণ। কেউ যদি ঠিক এই মূহুর্তে নাও পারেন তবে তিনি পরবর্তীতে সময় নিয়েও এ পোস্টের জবাব দিতে পারেন।

এটা হারিয়ে যাচ্ছে এমন তো নয়। সুস্থ বিতর্কই পারে আমাদেরকে সত্যের কাছাকাছি পৌছাতে। ৩। যেহেতু এ লেখাটি একজন কোরানের অলৌকিকতায় অবিশ্বাসীর দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়েছে তাই আপনার যদি ধর্ম-বিরোধি লেখা সহ্য না হয় তবে অবশ্যই তা নিজ দায়িত্বে পড়বেন। পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ গ্রহণ যোগ্য হবে না।

৪। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি লেখাটায় এমন কোনো বাক্য ব্যবহার না করতে যা কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়। তারপরো কোনো বাক্য যদি অপ্রয়োজনীয়ভাবে/ অতিরক্ত রূঢ় মনে হয় তবে আমাকে জানাতে পারেন, চেষ্টা করব ঠিক করে দিতে। আর সমস্যার বিষয় হল আমি লেখাটিকে রূঢ় না করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছি। আমি বিশ্বাস করি যে অহেতুক কারো অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমার কোনো প্রকার ফায়দা হাসিল হবে না এবং বিনা কারণে এরকম করা মানসিক অসুস্থতা ছাড়া আর কিছুই নয়।

কিন্তু এই লেখাটা যেহেতু যুক্তি খণ্ডন করে লেখা তাই চাইলেও এরচেয়ে বেশি নিরীহ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ৫। কোনো ধর্ম-আল্লাহ-ঈশ্বর, আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ, ধর্মগ্রন্থ ইত্যাদি কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কারো যেমন অধিকার আছে একে পরম বিশ্বাস করার, ইচ্ছেমত ধর্মের গুণকীর্তন করার তেমনি আরেক জনেরো অধিকার আছে এর নিন্দা করার/খণ্ডন করার । ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মকে আক্রমণ করা ব্যক্তি আক্রমণ নয়।

ধর্মের সমালোচনা করার অধিকার না থাকলে মানুষ সঠিক ধর্ম বলে কিছু থাকলে এর সন্ধান পাবে কিভাবে? যেকোনো মতবাদ বা ধর্মের মুক্তভাবে সমালোচনা করার অধিকার যেকোনো সভ্য সমাজে স্বীকৃত। ৬। তারপরও লেখাটি পড়ে যদি কেউ কোনো প্রকার আঘাত পান তবে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। সবশেষে, এটি খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা। কোনো ধরণের ভুল খোঁজে পেলে জানাতে দ্বিধা করবেন না।

] কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ? - ১ "That which can be asserted without evidence, can be dismissed without evidence." — Christopher Hitchens কোরানের অলৌকিকতা প্রমাণে প্রদত্ত যুক্তিগুলো খণ্ডনঃ প্রথম পর্বেই বিষয়টি পরিষ্কার করেছি যে কোরানকে অলৌকিক বা আল্লার বাণী বলে প্রমাণের দায়িত্ব যারা তা দাবী করে তাদেরই আর তারা তা প্রমাণ করতে না পারলে বা তাদের দেয়া প্রমাণ ভুল হলেই তাদের দাবী অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ে। এবার দেখব কোরানের অলৌকিকতার দাবীদাররা কিভাবে কোরানকে অলৌকিক বলে প্রমাণ করতে চান। কোরানকে বিশ্বাসীরা নানাভাবে অলৌকিক বলে প্রমাণ করতে চান। তাদের দেয়া যুক্তিগুলো এখানে উপস্থাপন পূর্বক খণ্ডন করা হলো। ১।

কোরান সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ। আজ পর্যন্ত কেউ কোরানের মত কোনো গ্রন্থ রচনা করতে সক্ষম হয় নাই। সুতরাং এটা আল্লাহর রচিত। এ যুক্তিটি কোরান থেকে আহরিত। নিম্নোক্ত আয়াত তিনটি মনোযোগ সহকারে পড়ি- “তারা যদি (তাদের দাবিতে) সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে কোরানের মত কোনো গ্রন্থ তারা রচনা করুক”(সূরা তূরঃ ৩৪) “আপনি বলে দিন, “কোরানের অনুরূপ কোন কিছু রচনা করার জন্য যদি সকল মানুষ ও জিন একত্রিত হয় ও তারা পরস্পর সহযোগিতা করে, তবুও তারা এর অনুরূপ কোন কিছু রচনা করতে পারবে না”(সূরা বনি ইসরাঈলঃ৮৮) “আমি আমার বান্দার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তার অনূরুপ কোন সূরা আনয়ন কর এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর।

যদি তোমরা আনয়ন না কর এবং কখনই পারবে না, তবে ভয় কর সেই আগুনকে, মানুষ ও পাথর হবে যার ইন্ধন, কাফিরদের জন্য যা প্রস্তুত রয়েছে”(সূরা বাকারাঃ ২৩, ২৪) এবার মূল আলোচনায় আসি। কোরানের শ্রেষ্টত্বের এই দাবি কতটা হাস্যকর তা যেকোনো যুক্তিবাদিই উপলব্ধি করতে পারবেন। আসলে আমার গ্রন্থই শ্রেষ্ট, এর মত গ্রন্থ রচনা সম্ভব নয় এ ধরণের দাবির কোনো অর্থই হয় না। যখন কোরানেই এধরণের দাবি থাকে তখন তা একে কতটা নিম্নমানের দিকে নিয়ে যায় তা ভাববার বিষয়। কোরান শ্রেষ্ট গ্রন্থ- এর মত কোনো গ্রন্থ রচনা অসম্ভব এরকম দাবী কেউ করলে যে প্রশ্ন সর্বাগ্রে চলে আসে তাহলো কোন দিক থেকে কোরান শ্রেষ্ট? কিসের দিক থেকে কোরান অনন্য? আর কে কিভাবে কোরানের এই শ্রেষ্টত্ব নিরুপণ করেছেন ? বিষয়বস্তুর দিক থেকে কোরান আন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলোর মতই খেলো।

কিছু বিষয় আমরা বিবেচনা করি- >ছন্দময়তা- কোরানকে খু-উ-ব ছন্দময় গ্রন্থ বলতে শুনি অনেককে। এই ছন্দময়তার বিষয়টি কোরানের বেলায় একেবারেই খাটে না। সূরা নাসে আমরা দেখতে পাই প্রতিটি আয়াতের শেষে “স” রয়েছে, এটি উন্নতমানের কোনো ছন্দ বলা যায় না কারণ এই ধরণের ছন্দ একঘেয়েমির সৃষ্টি করে এবং তা একে নিছক নিম্নমানের পদ্য বা ছন্দবন্ধ ছড়ার মত করে তোলে। এছাড়া কোরানের বেশির ভাগ আয়াতে এই ছন্দ-বদ্ধতাটাও নেই। আর ছন্দ থাকা অলৌকিকতার প্রমাণ নয়- মানুষ অজস্র ছন্দময় কবিতা-ছড়া-গান রচনা করেছে।

আমাদের সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দের জাদুকর হিসাবে বিখ্যাত, তিনি কখনো তার এই ছন্দ বা ছন্দ প্রতিভা অলৌকিক ভাবে পেয়েছেন বলে দাবি করেন নাই। > সুরেলা- কোরান নাকি খুব সুরেলা গ্রন্থ। কোরান যেহেতু একটা গ্রন্থ এবং “সুর” বিষয়টি কৃত্রিম বা মানুষ আরোপিত তাই এটি কোরানের মৌলিক ধর্ম নয়। কোরান যখন সুর করে পড়া হয় তখন তা বিশ্বাসীদের আবেগে সুড়সুড়ি দেয় তাই তারা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন। কোরানের সুরে ইচ্ছে করলে আরবি গালিও পাঠ করা সম্ভব এবং বলাবাহুল্য আমি নিজেই পরীক্ষা করে দেখেছি যিনি কোরানের অলৌকিকতায় বিশ্বাসী অথচ জানেন না ইহা কোরানের অংশ নয় তিনি এতে কোরান পাঠ শোনার সময়ের মতই উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

আর কোনো কিছু সুরেলা হওয়াটা পাঠক বা গায়কের অবদান। এটা তো ঐশ্বরিক না বা আল্লা কোরানকে অডিও আকারে মানুষের কাছে পাঠিয়েছেন এমনও তো না। এছাড়া কেউ যদি হেড়ে গলায় কোরান পাঠ করে তবে তা যতই শুদ্ধ হোক না কেন বিরক্তির উদ্রেক করে। তাই “কোরান তেলওয়াত শুনলেই মনে হয় তা অলৌকিক গ্রন্থ” এরকম দাবিরও কোনো অর্থই হয় না। এছাড়া কোরান শুনলেই বা পড়লেই যদি কারো একে অলৌকিক বলে মনে হয় তবে তাও একে অলৌকিক বলে প্রমাণ করে না।

এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির কাছে ঠিক কোন কারণে একে অলৌকিক বলে মনে হচ্ছে তা-ই গবেষণার বিষয়। কেউ যদি আপনাকে ওমর খৈয়ামের কবিতার মত কবিতা লেখতে বলে আপনি তাকে কি বলবেন? কেউ যদি চর্যাপদকে অলৌকিক বলে দাবি করে তবে এর জবাবে কি কেউ এ ধরণের কোনো গ্রন্থ রচনা করবে বা করতে যাবে? আল্লার যুক্তিবোধের এই নমুনা দেখে যে কেউ ভড়কে যেতে পারে। উপরের এক আয়াতে আল্লা বলছেন মানুষ ও জ্বীন সবাই মিলেও কোরানের মত কিছু রচনা করতে পারবে না। এ ধরনের কথার অর্থ উদ্ধারও একজন বোধ সম্পন্ন মানুষের জন্য দূরহ বঠে। আচ্ছা, মানুষ আর জ্বীন জাতি কিভাবে একত্রিত হবে আর কে তাদের একত্রিত করবে? কোরান রচনার জন্য সকল মানুষই বা এক হবে কেন? সকল মানুষের তো একসাথে মতিভ্রম হতে পারে না।

আর কোরানে এমন কি আহামরি আছে যে ওটা নিয়ে এরকম উদ্ধত ও একগুঁয়ে দম্ভোক্তি করতে হবে? আর কোরানে সন্দেহকারীদের কি বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে দেখেন, “যদি তোমরা(সূরা রচনা করে তা) আনয়ন না কর এবং কখনই পারবে না, তবে ভয় কর সেই আগুনকে, মানুষ ও পাথর হবে যার ইন্ধন, কাফিরদের জন্য যা প্রস্তুত রয়েছে”(সূরা বাকারাঃ ২৩, ২৪)। এই হলো পরম করুণাময়ের করুণাময়তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সূরা রচনা করে আনার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবার আগেভাগেই থ্রেট দেয়া হচ্ছে কখনো তা পারবে না বলে আর ভয় দেখানো হচ্ছে কি রকম তা আয়াতটি পড়েই দেখুন!! সন্দেহ করার প্রতি মানুষকে এভাবে হুমকি কোনো সভ্য সত্ত্বার কাছ থেকে আসতে আরে না। সন্দেহ করা মানুষের অনেক বড় গুণ, মানুষ যদি সন্দেহ করতে না পারত বা না করত তবে সভ্যতা কখনো এ পর্যায়ে আসতে পারত না, মানুষ সন্দেহ করতে পারে বলেই সে সত্যের কাছাকাছি পৌছতে পারে। ডেকার্ত এমনকি নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে এই যুক্তি ব্যবহার করেছেন, আমি সন্দেহ করি, সূতরাং আমি আছি (Dubito ergo sum)।

এমনকি কেউ কোরানের মত কোনো গ্রন্থ রচনায় অক্ষম হলে তাও কোরানকে অলৌকিক প্রমাণ করে না। যদি কেউ কোরানের মত কোনো গ্রন্থ রচনা করতে না পারে তবে হয়ত বলা যাবে কোরান “অনন্য” , এর লেখকরা সর্ব শ্রেষ্ট লেখক ইত্যাদি- কিন্তু এটা অলৌকিকতার প্রমাণ তো হতে পারে না। ২। কোরান সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস। আর তা আল্লার বাণী বা অলৌকিক গ্রন্থ বলেই সম্ভব।

এ ধরণের দাবি শুধু হাস্যকর নয় নির্বুদ্ধিতার পরিচায়কও বটে। কোরান যদি সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস তবে মানুষ কেন যুগ-যুগ ধরে জ্ঞান অর্জনের নেশায় এত শ্রম দিচ্ছে এমনকি জীবন পর্যন্তও দিয়ে দিচ্ছে। তাহলে তো সব কিছু বাদ দিয়ে একখান কোরান খুলে বসলেই যে কেউ সর্ব-জ্ঞানী হয়ে উঠত। কোরান থাকা সত্ত্বেও কেন জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় অমুসলিম দেশের তুলনায় মুসলমান জাতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পিছিয়ে। পৃথিবীর সমস্ত মুসলিম দেশে যত বিজ্ঞানী রয়েছেন, অমুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলে একাই রয়েছে তার থেকে দ্বিগুণ সংখ্যক বিজ্ঞানী।

বিজ্ঞান কিছু আবিষ্কারের পর পরই আমাদের ধর্মগ্রন্থে ওটা আগে থেকেই ছিল এ ধরণের দাবি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও করে থাকেন তবে মুসলমানরা এ বিষয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে। খ্রিস্টানরা যতই বাইবেলের সায়েন্স অথবা হিন্দুরা বেদিক সায়েন্স নিয়ে লাফালাফি করুক না কেন মুসলমানদের কাছে সবাই এ বিষয়ে হার না মেনে উপায় নেই। বিজ্ঞান কোনো কিছু আবিষ্কারের পর পরই তা তারা কোরান থেকে অভিনব উপায়ে আবিষ্কার করেন কিন্তু তাদেরকে যদি আপনি শত অনুরোধ করেন যে বিজ্ঞান আজ যেসব বিষয় আবিষ্কার করতে পারছে না বা দূর ভবিষ্যতে যেসব বিষয় আবিষ্কার হবে তা কোরান থেকে আগেই খুঁজে বের করে দিতে তবে তা তারা পারবেন না। অর্থাৎ কোরানে বিজ্ঞানের সন্ধান মিলে বিজ্ঞান কোনো কিছু আবিষ্কারের পরই, আগে নয়!! যারা মনে করেন কোরান জ্ঞানের উৎস তাদের অনেককে আমি অনুরোধ করেছি কিছু উদাহরণ দেয়ার জন্য যে জ্ঞান তারা কোরান থেকে পেয়েছেন এবং যা অন্য কোনো উৎস থেকে জানা সম্ভব নয়, কিন্তু কেউ একটিও দেখাতে পারেন নি। এছাড়া ধর্মগ্রন্থগুলোতে আদৌ কোনো জ্ঞান রয়েছে কি না তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ কেননা যেকোনো জ্ঞানের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত ব্যাখ্যা ও দলিল যা ধর্মগ্রন্থগুলো সরবরাহে অক্ষম।

আরেকটি কথা, এমনকি কোনো শাস্ত্র যদি জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস হয়ে যায় তবে তাও একে অলৌকিক বলে প্রমাণ করে না। বরং তা একে “জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস” বলেই প্রমাণ করে । সমস্যার বিষয় হল অধিকাংশ মুসলিমই ইসলাম পূর্ব মানুষের অগ্রগতি সম্পর্কে খুব কম জানে বা একেবারেই জানে না আর কোরান পরবর্তী সকল আগ্রগতিতে কোনো না কোনো ভাবে কোরানের অবদান রয়েছে বলে মনে করে। তারা আয়নীয় দার্শনিকদের কথা জানে না, তারা সক্রেটিস-এরিস্টটল-প্লেটোর অবদানের খবর রাখে না, ফিরাউনীয় সভ্যতার নামও শুনে নি, হিব্রু সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি তাদের কাছে অজানা কিছু ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।