আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংলিশ মুভি বাংলা রিভিউ- “The Social Network”



জীবনটা এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। কিছুদিন আগে কারো ঘরে কম্পিউটার থাকলেই হা করে সবাই তাকিয়ে থাকতো। কম্পিউটার পেলে একটু Virtual Cop খেলতে পারলেই জীবন সার্থক। কিন্তু ২০০৪ সালের পরে যেন সবার জীবন যাপনের ধরণই পাল্টে দিল শুধু মাত্র একটি Website যার নাম facebook। অনেকেই হয়তো এখন বলতে পারে।

ধুর আর ভালো লাগে না facebook কিন্তু করার কিছুই নাই , নিঃশ্বাস যেমন নিতে হবে তেমন করে দিনে একবার অন্ততঃ facebook এ ঢোকা চাই। সেই facebook এর জন্ম এবং তার জনক Mark Zuckerberg নিয়ে তৈরি হলো একটি মুভি The Social Network। কি আর এমন মুভি হবে? ভিডিও গেমসগুলা নিয়ে মুভিগুলা যে চরম জঘন্য হয়, আর এটা তো একটি Website নিয়ে। তা ছাড়া কি আর দেখাবে?? Mark Zuckerberg ধুমায় কোডিং করতেসে তো করতেসে আর শেষ সিনে নিজেই লগইন করতেসে?? কিন্তু মুভিটি দেখে বেশ অবাক হলাম। মুভি করার মতো খুব একটা অসাধারণ কাহিনী না হলেও চিত্রায়ন এবং চিত্রনাট্যের সাহায্যে মুভিটিকে দারুণ করে তুলেছেন পরিচালক David Fincher এবং চিত্রনাট্যকার Aaron Sorokin।

মুভিটির সবচেয়ে বড় দিকটি হলো সমস্ত ঘটনাই সত্য। কোন বানানো কাহিনী নয়। কাহিনী একটু বলা যাক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যায়। রাত ৩ টার সময় একটি Website তৈরি হয় যার নাম Facemash।

যার মধ্যে আছে হার্ভার্ডের সমস্ত মেয়ের ছবি এবং থাকে একটি প্রশ্ন। কে সুন্দরী?? ২ ঘন্টার মধ্যে ২০ হাজার বার ঐ ওয়েবসাইটে হিট পরার কারণে বলা যায় ধুম-ধারাক্কা অবস্থা!! কোন চান্দু এই কাম করলো?? সে আর কেউ নয়। সে Mark Zuckerberg (Jesse Eisenberg) । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে এই অবৈধ কাজের জন্য কিছু শাস্তি পায় সে। সকলের ঘৃণার পাত্র হয় সে।

কিন্তু মনে মনে সকলেই ভাবে এই পোলা তো চররম!!! নজরে পরে সে Winklevoss ভ্রাতৃদ্বয়ের ( Armie Hammer) । Mark কে বলে আইসা পরো আমাগো লগে। সবাই মিলা বানাই HarvardConnection!! Mark আবার চাল্লু কম না। তখন কইলো হ্যাঁ কিন্তু ২০ দিন পরে বলে না। কিন্তু তলে তলে ১০ দিনে বানায় ফেলে theFacebook!! WInklevoss গরুদুইটা পুরা চিল্লাচিল্লি লাগায় দেয়।

এদিকে Mark তার বন্ধু Eduardo (Andrew Garfield) এর অর্থ সাহায্যে ধীরে উন্নতি করে TheFacebook এর। কিন্তু Eduardo একটা মহা ব্যাক্কল কিসিমের পাবলিক। তার বোকামির কারণেই ধীরে ধীরে Mark দুরে চলে যায় তার কাছ থেকে। Facebook এর ব্যবসায় সাহায্যে আসে Sean Parker ( Justin Timberlake) । এইটা আবার অতি চাল্লু মাল।

অতিচালাকের গলায় দড়ির মত নিজেই ফেঁসে যায় সে। কিন্তু Winklevoss এবং Eduardo পুনরায় আসে প্রতিশোধ নিতে এক আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে। মুভিটি করা হয়েছে Ben Mezrich রচিত উপন্যাস The Accidental Billionaire থেকে। Ben Mezrich ছিলেন Eduardo Saverine এর কনসাল্টেন্ট। বইটি রচনার সময় বলে তিনি Mark Zuckerberg থেকে কোন ধরণের তথ্য পাননি।

মুভিটির সবচেয়ে বড়দিক মুভিটি খুব দ্রুত গতি সম্পন্ন। একটুও বোরিং লাগেনি। অভিনয় সবার বেশ ভালোই হয়েছে। বিশেষ করে Jesse Eisenberg এর। Andrew Garfield কেও বেশ ভালো লেগেছে।

Justin Timberlake ও খারাপ করেনি। মুভিটি অনেকেই Teen মুভি বলে ভুল করতে পারেন কিন্তু এটি একটি ড্রামা। তবে সবকিছু ভালো হলেও চরম অসাধারণ এর পর্যায় পরে না। কিন্তু শেষ দৃশ্যটি দেখে আমি সত্যিই চমকে গিয়েছি। যেখানে Mark পুরনো এক ভালোবাসাকে facebook এ friend request পাঠিয়ে একটু পর পর Refresh বাটনে ক্লিক করে।

বেশ চমৎকার। সব মিলিয়ে বেশ ভালো মুভি। রেটিং – ৩.৫ /৫

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.