আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুয়াকাটার ভোর

এখন সবাই ঘুরে বেড়ায় , এটা ভালো...

চর গঙ্গামতি। ঝাউ পাতায় ভোরের শিশির বিন্দু , সে বিন্দু ছড়িয়েছে ছোট্ট খেজুর গাছের পাতায়। আমাদের সে সবে বিন্দু মাত্র ভ্রপে নাই। আমরা ক’জন তাকিয়ে আছি পূর্ব দিগন্তের অসীম সৌন্দর্য ভরা সমুদ্র জলরাশির দিকে। সে জল ভেদ করে এক সময় ধীরে ধীরে লাল থালার মত সূর্য আমাদের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে হাসল।

আমরা খুশিতে লাফিয়ে উঠলাম! দুইদিন আগে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এসেছি কেবল সমুদ্র সৈকত থেকে এমন সূর্যোদয় দেখবো বলে , আমাদের সে স্বপ্ন পুরন হল! আমাদের ডেরা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটারের দুরত্ব এই চর গঙ্গামতি এসেছি ফজরের আযানের সাথে সাথে। আগের দিন আমরা মটরসাইকেল ভাড়া করে রেখেছিলাম। মটরসাইকেল ড্রাইভারই আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে এসেছে। তানা হলে এমন শীতে আমাদের এখানে আসাই হতনা , দেখা হতনা সূর্যোদয়! দুই কুয়াকাটা হল এই উপমহাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। কিন্তু হলে কী হবে , পথের দুর্বোদ্ধতার জন্য যাই যাই করেও যাওয়া হচ্ছিলনা।

শেষে এই শীতে সাইফুলের আয়োজনে সম্মতি জানাতে হল। কিন্তু শর্ত হল লঞ্চে যেতে হবে। ২৭০ কিলোমিটার পথ আর প্রায় ১৬ ঘন্টার দীর্ঘ ভ্রমন বাসে না করে আরাম করে লঞ্চ ভ্রমনের জন্য সাইফুলকে এমন শর্ত। চতুর সাইফুল! আমি যদি বেঁকে বসি তাই সে টিকেট কেটে হাতে ধরিয়ে দিল। আমরাও পরদিন বৃহস্পতিবার পাঁচটায় সদরঘাট ল্ঞ্চঘাটে উপস্থিত হলাম।

সে লঞ্চ ছাড়লো সন্ধ্যা সাতটায় , ততনে ঢাকা শহর অন্ধকারে তলিয়েছে। শীত আরও তীব্ররূপ ধারন করেছে। আমি লেপের নিচে আশ্রয় নিলাম। এর মধ্যে চয়ন , আব্বাস সাইফুল আর রানারা আমার কেবিনে চলে এসেছে আড্ডার জন্য। আড্ডা চলল সাথে ডিম আর চানাচুর ভাঁজা।

সাইফুল তার মায়ের হাতের পরাটা আর গরুর মাংসের ভূনা করে এনেছে , সেটাও চলল পাশাপাশি। তারপর সিজারের কাছে জানতে চাইলাম আমরা কোথায় এসেছি ভাইয়া , সিজার বের হয়ে সারেং ভাইকে ধরে জেনে এসে বললো , ভাইয়া মুন্সিগঞ্জ। ব্যাস ওই পর্যন্তই। এরপর সাইফলের ধাক্কা-ধাক্কি বিগবি আমরা চলে এসেছি। আমি ঘুমের জড়তা নিয়ে বললাম কোথায় ? সে রসিকতা করে বললো পৌট্টাখালি! রসিকতা ছিল নামের উচ্চারনে।

আমরা সত্যি সত্যি তখন পটুয়াখালি লঞ্চঘাট পৌঁছে গেছি। লঞ্চ থেকে নেমে আগে নাস্তা সারলাম। তারপর কনকনে শীতে কাঁপতে কাঁপতে কেন্দ্রীয় বাস টারমিনাল। এখান থেকে প্রতি একঘন্টা পরপর বাস ছেঁড়ে যায় কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে। আমরা টিকেট কেটে বাসে চড়ে বসলাম।

সে বাস ছাড়লো সকাল নয়টায়। সবাই বাসে ঠিকমত উঠলো কিনা দেখে আমি আবার চোখ বুজলাম। তার আগে মুসলিমাকে ফোন দিলাম , সেও তখন বরিশাল থেকে বাসে উঠেছে। গলাচিপা অথবা আমতলি পর্যন্ত আমি সম্ভবত ঘুমিয়েই ছিলাম। কিন্তু আমতলি আসার পর অবস্থা বেগতিক হল।

এতদিন যা শুনে এসেছি ঠিক তাই। আমরা ভাঙ্গা রাস্তায় পথ চলছি। অন্য সব ভাঙ্গা রাস্তার সাথে এর কোন মিল নেই। বিশাল বিশাল সব গর্ত , বাস হেলে দুলে চলছে কচ্ছপ গতিতে। সে বাস আবার যাত্রী বোঝাই।

মাঝেমাঝে এমনও মনে হচ্ছিল , এই বুঝি বাসটি উল্টালো! এমন ভয় , উৎকন্ঠার মাঝেও সৌন্দর্যের পরশ। রাস্তার পাশের মরা খালে নীল শাপলার ছড়াছড়ি। চোখ জুড়িয়ে যাওয়া বিস্তির্ন ধানতে। এসব দেখে দেখে আর ধাক্কা ও মানুষের গুতায় সাতাশ কিলোমিটার পথ সাড়ে তিনঘন্টায় পারি দিয়ে আমরা কুয়াকাটা পৌঁছি। এর আগে আমাদেরকে সম্ভবত চারটা ফেরী পার হতে হয়।

এসব ধকলের মাঝে মনে ভালো লাগার পরশ বুলায় আন্ধার মানিক। আমরা আন্ধার মানিকের ঝলক ক্যামেরা বন্দী করি। তারপরের কথাতো একটু আগেই বলেছি - কুয়াকাটা পোঁছলাম! আর মুসলিমা তখনও খানাখন্দ ভরা আমতলিতে পরে থাকা কুয়াকাটার যাত্রী! তিন কুয়াকাটায় বাঙ্গালী ও রাখাইন¯¤প্রদায়ের বসবাস। আরকান বা বার্মা রাজ্য থেকে রাখাইন স¤প্রদায়ের আগমন সেই আঠারশ শতকে। পটুয়াখালির রাখাইন উপজাতি শীর্ষক গ্রন্থ থেকে জানা যায় , রা শব্দ থেকে রাখাইন শব্দের উৎপত্তি।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর রাখাইন আদিবাসি বাংলাদেশে বসবাসের আগে আরাকান রাজ্যে বসবাস করতেন। খ্রী:পূ:৩৩২৫ থেকে ১৭৮৪খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত আরাকান স্বাধীন রাজ্য ছিল। আঠারশ শতকে আরাকান রাজা মহাথামাদা বর্মী রাজ বোঁধপায়ার কাছে পরাজিত হলে বর্মীরা আরাকান দখল করে। বর্মী অত্যাচার থেকে বাচাঁর জন্য ১৫০টি রাখাইন পরিবার ৫০টি নৌকা যোগে আরাকান ত্যাগ করে পশ্চিমে যাত্রা শুরু করে। এভাবেই তারা গলাচিপা উপজেলার রাঙ্গাবালী দ্বীপে পৌঁছায় এবং প্রায় ৪৮ বছর পর কুয়াকাটা উপকূল আবিস্কার করে এবং এখানে বসবাস শুরু করে।

তখন এর নাম হয় ক্যাংছাই। যার অর্থ দাঁড়ায় ভাগ্যকূল। তাছাড়া প্রচলিত আছে যে , এখানে সমুদ্র উপকূলে মিষ্টি পানির সন্ধান পাওয়া গেলেও দূর্ভোগ ছিল ভীষন। এখানে কূয়া কাটা হত ঠিকই , কিন্তু বালি দিয়ে তৈরী বাঁধ ভেঙ্গে যেত। তাই রাখাইনরা নিজেদের দূষতো ভাগ্য বঞ্চিত হিসাবে।

রাখাইন ভাষায় যার অর্থ দাঁড়ায় ক্যাওয়েছাই। এভাবেই কূয়া কাটতে কাটতে এই উপকূল অঞ্চলের নাম হয়ে ওঠে ক্যাছাইও , যার বাংলা অর্থ কূয়াকাটা। শেষে এক সময় এলাকার নাম কূয়াকাটা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। আমরা কূয়াকাটায় শিবলী হ্যাচারী এন্ড ফার্মে আমাদের ডেরা গাড়ি। চার আমাদের ডেরা থেকে সমুদ্র একেবারে কাছে।

রা¯তায় দাঁড়ালে চোখে পরে নারকেল গাছ সারি সারি। মুল সৈকত থেকে একটু দুরে বিধায় বেশ নির্জন আমাদের বালুকাবেলা। এখানে সমুদ্র বেশ উপভোগ্য। মাছ ধরার নৌকা অনেক , জাল টানার দৃশ্য চোখে পড়ল। সব মিলিয়ে যেন ক্যানভাসে আঁকা ঝকঝকে ছবি।

এসব দেখতে দেখতে মুসলিমাকে ফোন করি। সে অনেক আগেই নিমতলি পেরিয়েছে , গাড়ির ঝাকুনিতে দিশাহারা। আমরা আমাদের জন্য নির্দ্ধাারিত রুমে ব্যাগ রেখে চয়নকে নিয়ে বের হই , বাকী সবাই চলে যায় দুপুরের খাওয়া খাবার খেতে। কুয়াকাটা বাস ষ্ট্যান্ডে প্রায় এক ঘন্টা অপোর পর মুসলিমাকে নিয়ে আসা বাসের সন্ধান পাই। তারপর কম্পিউটার সেন্টার নামে খ্যাত শিবলি হ্যাচারীতে আমাদের ডেরায় ফিরে খাওয়া-দাওয়া করে আবার বের হই , এবার পুরো দল।

এখানে চলাচলের প্রধান বাহন ভ্যান গাড়ি আর মটর সাইকেল। রিকসাও আছে , তবে সবাই মটর সাইকেলের উপরই নির্ভরশীল। আমরা সমুদ্র সৈকত অভিমুখে হেঁটে চলি। নীল আকাশে সাদা মেঘ। আর নারকেল গাছের সবুজ হাতছানি , সত্যি মনোরম।

আমরা সৈকত ধরে হেট চলি! শীতকাল বলে পর্যটকদের ভীর আছে , তবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মত নয়। সৈকত পারে সারি সারি কাঠের বিছানা আর ছাতা চোখে পড়লো। আমরা হেঁটে হেঁেট সমুদ্র সৈকত থেকে বাজারে এসে ভ্যান গাড়িতে চড়ে চলে আসি ঝাউ বন। ঝাউ বনের সে সময়টা আমার কাছে কেমন বিষন্ন লাগে। রোদের রঙ রাঙা হয়ে এসেছে।

সূর্যের বিদায় আসন্ন। কী এক নির্জনতায় ডুবে গেছে চারদিক। অজানা কোন ব্যাথায় বুকটা হুহু করে উঠে। আমি একাই সৈকত ধরে হেঁটে চলি। পেছন পেছন রানা ছুটে আসে।

সে রাতে শিবলি হ্যাচারিতে আমাদের খাবারের বন্দোবস্ত ভালোই ছিল। এখানকার বাবুর্চি জলিলও অসাধারন মানুষ। তাক বলতেই সে আমাদের জন্য বিশাল এক কোরাল মাছের ব্যাবস্থা করে দেয়। আমরা কোরাল মাছ আগুনে ঝলসে খেয়ে ঘুমাতে যাই। কান্ত শরীর , দুচোখে ঘুমে জড়িয়ে আসতে বেশী সময় লাগেনা! পাঁচ পরদিন খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গে।

এই দিনটি আমাদের ঘুরে বেড়ানোর। সকারের নাস্তা সেরে সামনের শুটকি পল্লী ঘুরে দেখি। তারপর একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করি ফাতরার বন যাবার জন্য। এখানে আমি আমার রোদ চশমাটিকে সমুদ্রে আতœাহুতি দিতে সহায়তা করি! আসলে হাত ফসকে চশমাটি সমুদ্রের জলে পড়ে যায়। তারপর বিষন্ন মন নিয়ে এগিয়ে চলি ফাতরার বন।

গায়ে বাতাসের দোল , আর সামনে থৈ থৈ জল। এভাবেই সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউ এর দোলায় এগিয়ে চললো আমাদের নৌকা। প্রায় আধা ঘন্টা এভাবেই চলার পর আমাদের সামনে পরে এক চোখে জুড়ানো দৃশ্য। একলাইনে সাতটি মাছ ধরার নৌকা দুর সমুদ্র এগিয়ে চলেছে। সম্ভবত এটা তাদের মাছ ধরার প্রস্তুতি।

এমন দৃশ্য সত্যি বিরল আমাদের জন্য। সে দৃশ্য আড়াল হবার আগেই ফাতরার বন আমাদের নজরে পরে। এর মধ্যে ক্যামেরা হাতে ছবি তোলার ধুম পরেছে। সিজার , রানা , সাইফুল , চয়ন বা লাবনী কেউই বাদ গেলনা। এসব ছাপিয়ে এক সময় আমরা সুন্দর বনের অংশ ফাতরার বনে পৌঁছি।

শুনেছি এখান থেকেই শুরু সুন্দর বনের সীমানা। বনে প্রবেশ মুখে বন বিভাগের সাইন বোর্ড। তাতে লেখা টেংড়াগিড়ি সংরতি বন ( ফাতরার বন )। তার পাশে ছোট্ট একটি দোকান। কাঁকড়া ভাঁজতে দেখে আমার সঙ্গীরা ঝাঁপিয়ে পড়লো।

অল্প কিছু সময়ের মধ্যে কাঁকড়া শেষ , এর মধ্যে গনণা শুরু হয়ে গেছে কে বেশী খেয়েছে বা কে কে পায়নি! এভাবেই আমরা সুন্দরী গাছ পেরিয়ে ঝাউ বনের ভেতর দিয়ে ফাতরার বনে প্রবেশ করি। বন কতৃপ এখানে একটি পুকুর কেটেছেন , সাঁন বাঁধানো সে পুকুর সত্যি খুব চমৎকার। এখানে সমুদ্র সৈকতটি অসাধারন। আমরা এখানে কী এক মায়ার জগতে হারাই। তারপর শীতের রোদ আর নোনা হাওয়া গায়ে মেখে সমুদ্র স্নানে মাতি! ফাতরার বন থেকে ফেরার আগে আমরা সমুদ্র সৈকতে কাঁকড়া কুড়াই।

আমাদের ফটোসেশনটাও খারাপ ছিলনা। তবে গাজীর জন্য কষ্ট , তার ক্যামেরা ছিল কিন্তু ব্যাটারিতে চার্জ ছিলনা! তারপর আমরা যখন কুয়াকাটা ফিরে আসছি , তখন পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের অপরূপ বর্নছটা ছড়িয়ে পড়েছে ফাতরার বনের নীল আকাশে! ছয় আমরা ফাতরা বন থেকে ফিরে রাখাইন পাড়া ঘুরে দেখি। পাশেই বিশাল বৌদ্ধ মন্দির। অনেকের মতে এটি দেশের সবচাইতে বড় বৌদ্ধ মন্দির। বৌদ্ধ মন্দির দেখা শেষে ফিরে আসি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

ঝিনুক শামুকের মার্কেট ঘুরে বেড়াই এবং শুটকী কিনে ফিরে আসি আমাদের ডেরায়। সে রাতে আমরা মহুয়া এনে খাই। রাখাইনদের বাড়ি বাড়ি এই পানীয়টি খুব পাওয়া যায়। জলিল আমাদের জন্য মহুয়ার ব্যবস্থা করে দেন। আর ঝলসে দেন দুটো বিশাল মোরগ।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে রাতে থাকা যায়না , আমরা কুয়াকাটার সৈকতে সে রাত গল্প করে কাটাই। দিনের সৈকতের চাইতে রাতের সৈকত বেশী সজীব। এখানে সমুদ্রের ভয়ংকর রূপ রাতেই বোঝা যায় তার গর্জনে-তর্জনে। আমরা সেদিন সে গর্জন কানে নিয়ে রুমে ফিরে আসি ভোরের শিশিরের সাথে সূর্যোদয় দেখার আশায়! শেষ কথা চড় গঙ্গামতির ঝাউবনে সূর্যোদয় দেখার দৃশ্য আমাদের জীবনভর মনে থাকবে যেমন মনে থাকবে পুরো সৈকত জুরে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া দেখা! রাস্তার ঝামেলার জন্য অনেকে কুয়াকাটা যেতে ভয় পান। কিন্তু একবার যাওয়া হলে আজীবন কুয়াকাটায় ডুবে থাকা যাবে।

সে গল্পে গল্পে জীবন পার! কুয়াকাটার পথ সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালি হয়ে বাসে কুয়াকাটা , সহজ পথ। গাবতলি বা গলিস্তান থেকে বিআরটিসির বাসেও যাওয়া যায়। বাসের চাইতে লঞ্চ আরামদায়ক। যেভাবেই যান আমতলি থেকে খানাখন্দ আপনাকে আঁকড়ে ধরবেই। কুয়াকাটায় অসংখ্য হোটেল বা অতিথি ভবন আছে।

আছে পর্যটন মোটেল। চাইলে শিবলী হ্যাঁচারীতে থাকতে পারেন। যেখানেই থাকুন না কেন , আগে থেকে বুকিং দিয়ে যাবেন। খাবার হোটেল তেমন ভালো না হলেও আপনাকে এখানে চড়া মূল্যে খাওয়া দাওয়া সারতে হবে। আর ভুলবেন না লেবু বাগান যেতে , আর শুটকি পল্লী থেকে শুটকি কিনে আনতে!


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৮ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।