আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিগগির টেলিটক নেটওয়ার্কের আওতায় আসছে সুন্দরবন!

টেলিকম নিউজ আর্কাইভ !! : ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যসেবা খাতকে অনলাইন নির্ভর করতে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে টেলিটকের নেটওয়ার্ক।

শিগগির টেলিটকের নেটওয়ার্ক বসছে সুন্দরবনেও। এতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেনগ্রোভ বনাঞ্চল এলাকার নিরাপত্তা জোরদার হবে। অগ্রযাত্রার নানাদিক নিয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ঢাকা টাইমসের নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুল্লাহ ফাহাদ। ঢাকা টাইমস: টেলিটকের আজকের অবস্থানের পেছনের ইতিহাস সম্পর্কে যদি বলতেন... মুজিবুর রহমান: টেলিটক প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কয়েকটি লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করার জন্য। একটা ছিল বিদেশি মোবাইল অপারেটরগুলো যে রেট প্রোভাইড করছিল তা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ছিল।

তৎকালীণ আওয়ামী লীগ সরকার ঠিক করল এই খাতকে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে। তখন একটামাত্র কোম্পানি ছিল সিটিসেল। তাদের সংযোগসহ সেটের দাম ছিল প্রায় এক লাখ টাকা। কলচার্জ ১০/১৫ টাকা। ইনকামিং আউট গোয়িং উভয় চার্জ নিত।

তখন সরকার এ খাতটাকে আরো কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে ছড়িয়ে দিল। নতুন কয়েকটি কোম্পানিকে ব্যবসার জন্য অনুমতি দিল। পাশাপাশি সরকার চাইল সবচেয়ে কম খরচে সবার মধ্যে মোবাইল সেবা পৌঁছে দিতে। রাজস্ব আয়ের কথাও এ সময় চিন্তা করল। এখাত থেকে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি জন্য টেলিটক প্রতিষ্ঠা করল।

এছাড়া যেসব এলাকায় অন্যান্য মোবাইল অপারেটরগুলো যায়নি। অর্থাৎ তাদের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেনি টেলিটক চাইল দেশের ওইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের মধ্যে মোবাইল সেবা পৌঁছে দিতে। আপনি দেখবেন পার্বত্য অঞ্চলে টেলিটকের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। অথচ অন্যান্য মোবাইল অপারেটরগুলোর নেটওয়ার্ক ওইসব এলাকায় নেই। তারা যেসব জায়গা ব্যবসা করতে পারবে সেখানেই নেটওয়ার্ক দিয়েছে।

অন্য জায়গায় তারা যেতে চায় না।     ঢাকা টাইমস: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিটকের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?   মুজিবুর রহমান: আমরা এখন সুন্দরবন ও এর আশাপাশের অঞ্চলে যাওয়ার চিন্তা করছি। আগামী দুই-তিনমাসের মধ্যে সেখানে নেটওয়ার্ক বসাব। এতে ওই এলাকায় জলদস্যুদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে। মানুষ প্রয়োজনে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।

এছাড়া ওই অঞ্চলে মোবাইলের ভাল সেবা না থাকায় পর্যটকরা অনেক সময় নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করেন। টেলিটক নেটওয়ার্ক স্থাপন করলে পর্যটকদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। তখন সুন্দরবনে পর্যটকও বাড়বে বলে আমি মনে করি।   ঢাকা টাইমস: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় আপনাদের ভূমিকা কি?   মুজিবুর রহমান: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে দুটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে।

একটি হচ্ছে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। অন্যটি হচ্ছে জ্ঞান নির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠা। এই দুটি খাতের উন্নয়নে টেলিটক কাজ করে যাচ্ছে। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সবকিছু অনলাইন নির্ভর করে তুলতে হবে। এর জন্য প্রধান শর্ত হচ্ছে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি (সংযোগ)।

আমাদের এতদিন যে সংযোগ ছিল তাতে আপনি লক্ষ্য করেছেন, কীভাবে বাফারিং হত। অসহ্যকর ব্যাপার ছিল। একটা মেইল করতে গেলে অনেক সময় লাগত। সে জন্য টেলিটক চিন্তা করল এই কানেক্টিভিটি যদি থ্রিজি না করা যায় তবে সরকারের লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে না। তখন সরকার পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিজি চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।

থ্রিজি চালুর পর শিক্ষক-ছাত্র সবাই এটাকে আগ্রহ নিয়ে গ্রহণ করেছে। আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। কারণ, আপনি যেখানেই থাকেন সেখানে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন। ই-মেইল চেক করতে পারেন। এ জন্য আপনার বড় ল্যাপটপের প্রয়োজন নেই।

আপনার যদি একটা স্মার্টফোন থাকে তাহলেই আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন।   ধরুন, মেয়ে উত্তরাতে থাকে। বাবা থাকে পুরান ঢাকায়। থ্রিজি সেবার ফলে বাবা চাইলের তার মোবাইল ফোনে মেয়ের ছবি দেখতে পারছেন। তার সঙ্গে কথা বলতে পারছেন।

এতে বাবার মনে হবে মেয়েটি তার পাশেই আছে। এটা এক ধরনের ব্যক্তিগত প্রশান্তি। এখন অনেকে বলছেন স্মার্টফোনের দামের কথা। প্রথম দিকে আমাদের ব্যবসায়ীরা কমদামে এগুলো আমদানি করতে পারেনি। কিন্তু এখন বাজারে ১০/১২ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্ট ফোন থি-জ্রি ফাঙ্কশনসহ পাওয়া যাচ্ছে।

ঢাকা টাইমস: জ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে আপনাদের ভূমিকা কি হতে পারে? মুজিবুর রহমান: এজন্যও ইন্টারনেটের বিকল্প নেই। আজকাল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব খানেই কম বেশি ইন্টারনেট নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিছু টিউটোরিয়াল দেয়া হয়। তা অনলাইন ভিত্তিক। গরিব মানুষের সন্তানরা কী করবেন? তাদের তো অত টাকা দিয়ে কম্পিউটার কেনার বা ইন্টারনেট সংযোগ নেয়ার সুযোগ নেই।

শহর অঞ্চলে সাইবার ক্যাফ আছে। সেখানেও অনেক টাকা লাগে। কিন্তু থ্রিজি সেবার চালু করায় এগুলো সহজ হয়ে গেছে। গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও এখন সহজেই অনলাইনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারছে। মোবাইলে আগে গুগল আসতো না।

অনেক সময় নিত। এখন আপনি সহজেই গুগল সার্চ দিতে পারছেন। তার মানে সারা পৃথিবী এখন আপনার  হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে টেলিটকের কারণে। এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশনগুলোও তাদের সরাসরি সম্প্রচারের জন্য থ্রিজির দিকে ঝুঁকছেন।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঢাকার মধ্যে থ্রিজির শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকায় এখন এ সেবা ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আমরা বলেছিলাম, ফেব্রুয়ারির মধ্যে চট্টগ্রামও থ্রিজির আওতায় নিয়ে আসব। সেখান থেকে প্রতিনিয়তই ফোনে ই-মেইলে অনুরোধ আসছে।

তারা শিগগির এ সেবা চাইছেন। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামের একটি বিশাল এলাকা আমরা থ্রিজি কভারেজের মধ্যে নিয়ে এসেছি। এখনও আমরা চট্টগ্রামে থ্রিজি সিম বিক্রি শুরু করিনি। তাই অনেকে ঢাকা থেকে সিম কিনে চট্টগ্রাম নিয়ে চলে য থ্রিজি ধীরে ধীরে ব্প্ হয উঠছে।

এছাড়া বর্তমানে একটি অফার চলছে। একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি। এ অফার দেয়ার পর ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।     ঢাকা টাইমস: রাজস্ব আয়ে টেলিটকের অবস্থান কোন পর্যায়ে রয়েছে? মুজিবুর রহমান: টেলিটক যাত্রা শুরুর সময় একটি চমক নিয়ে এসেছিল। তখনকার সময় মোবাইলে ইনকামিং ও আউটগোয়িং উভয় ক্ষেত্রেই চার্জ দিতে হত।

কিন্তু টেলিটক সেখানে ইনকামিং ফ্রি করে দিয়েছিল। সে সময় আউটগোয়িং কলের সর্বনিম্ন রেট ছিল সাত টাকা। টেলিটক প্রথম সর্বনিম্ন কলরেট দিল সাড়ে তিনটাকা। যদিও তখন আমাদের পূঁজিও বেশি ছিল না। অল্পকিছু বিটিএস নিয়ে শুরু করেছিলাম।

কিন্তু প৭বর্তীতে টাকা অভাবে চাহিদার তুলনায় নেটওয়ার্ক বসানো যায়নি। যার জন্য টেলিটক তার সুনাম ধরে রাখতে পারেনি।   তবে রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের আগ্রহ বেশি ছিল। পরবর্তীতে মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় আমরা নিজেরা নিজেরা আয় করে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। সরকারি কোনো অনুদান নেইনি।

একটা পর্যায়ে ওই সময় আমরা দুই লাখ ক্যাপাসিটি থেকে ২৯ লাখে উন্নীত করেছিলাম। বাংলাদেশে দ্বিতীয় কোনো প্রতিষ্ঠান পাবেন না যারা নিজের টাকা দিয়ে এত উন্নয়ন করতে পারে।   মোবাইলের কলরেট কমিয়ে আনার পেছনে টেলিটকের অবদান বেশি। টেলিটক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কমরেটে সেবা দিয়ে অন্যদের কলরেট কমাতে বাধ্য করেছে। এখন আমাদের উচিত টেলিটক ব্যবহার বেশি করা।

এখানে দেশত্মবোধের একটা ব্যাপার আছে। ঢাকা টাইমস: শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে টেলিটকের কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে কিছু বলুন? মুজিবুর রহমান: শিক্ষার্থীরা এখন ঘরে বসে মোবাইলে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারছে। মোবাইলের এসএমএস’র মাধ্যমে এবং অনলাইনে উভয়ভাবে কম সময়ের মধ্যে ফলাফল জানতে পারছে। এছাড়া টেলিটকের সার্ভারে সব সময়ের জন্য শিক্ষার্থীর ফলাফলের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকছে। যার যখন প্রয়োজন তা জানতে পারছে।

তিনি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সময় পরীক্ষার দুদিন পরে গ্রামে ফলাফল পেতাম। আমার এসএসসি পরীক্ষার সময় আমি ফরিদপুরে ছিলাম। আমার মনে আছে, পরীক্ষার ফল আমি প্রকাশের একদিন পর পেয়েছিলাম। কারণ, ঢাকা থেকে ফলাফল গ্রামে যেতে একদিন লেগে যেত। পত্রিকাগুলো যেত একদিন পর পর ।

  আর এখন একটার বিনিময়ে এসএমএস করে ঘরে বসে ফল পাচ্ছেন। অন্যান্য সেবামূলক খাতের মতো স্বাস্থ্য খাতেও টেলিটক তার অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। প্রসূতি মায়েরা টিবিএস প্রি-পেইড ফোন ব্যবহার করে এসএমএসের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন মেয়াদি টিকা নেয়ার নির্দেশনা পান। ঢাকা টাইমস: সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে লোক পাঠানোর জন্য নিবন্ধনসহ যাবতীয় অনলাইন ভিত্তিক কাজ টেলিটক করেছে। এ ব্যাপারে কিছু বলুন।

মুজিবুর রহমান: মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে শুরু কওে অনলাইন প্রক্রিয়ার সবকিছু টেলিটক করেছে। টেলিটকের সার্ভারে সব নিবন্ধনকারীর তথ্য সংরক্ষিত আছে। আশার কথা হচ্ছে, এ নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ কথা তুলতে পারেনি। কারণ এটা হয়েছে পুরোপুরি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। এখানে মধ্যসত্ত্বভোগীদের কোন হাত ছিল না।

যা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। যা বর্তমান সরকারের বড় একটি অর্জন বলে আমি মনে করি। ঢাকা টাইমস: টেলিটক সম্প্রতি আর কী কী কার্যক্রম হাতে নিতে যাচ্ছে? মুজিবুর রহমান: পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সঙ্গে শিগগির টেলিটকের একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। যার আওতায় গ্রাহকরা টেলিটক সিমের মাধ্যমেই তাদের বিদ্যুৎ বিল দিতে গ্রাম থেকে শহরে আসতে হত। এ চুক্তি হলে গেলে জনগণের ভোগান্তি কমবে।

এতে আরইবির সুবিধা হচ্ছে তারা সময়মতো টাকা পেয়ে যাবে। অন্যদিকে তাদের কোনো ডকুমেন্ট সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না। আমরাও গ্রাহককে একটা ডকুমেন্ট দিয়ে দেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সেবার উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।     সুন্দরবনের জন্য এসএমএসে ভোটিং সিস্টেমটি টেলিটকই করেছিল।

আমার ভাল অবস্থানেই ছিলাম। কিন্তু মাঝখানে কয়েকটি পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করায় শেষ পর্যন্ত ক্যাম্পেইনের গতি কমে গিয়েছিল। তা না হলে আমরা ভাল কোনো অর্জন বয়ে আনতে পারতাম। ঢাকা টাইমস: দেশের মোবাইল অপারেটদের জন্য ভবিষ্যতে কতটুকু সম্ভাবনা অপেক্ষ করছে বলে আপনি মনে করেন? মুজিবুর রহমান: বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটগুলোর ভবিষ্যৎ সম্ভাবণাময়। একটা সময় বলা হত আমাদের ব্রেইন ড্রেইন  (মেধা পাচার) হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু এখন ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। দেশে প্রযুক্তির বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অনেকে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসছেন। এটা সম্ভব হয়েছে মোবাইল টেকনোলজির উত্তরোত্তর উন্নতির কারণে। ঢাকা টাইমস: তরুণ প্রজন্মকে টেলিটক ব্যবহারে উদ্বুদ্ভের বিষয়ে আপনি কি বলবেন? মুজিবুর রহমান: টেলিটক পুরোপুরি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। এখানে দেশের সর্বোচ্চ মেধাসম্পন্নরাই কাজ করছেন।

তাদের গবেষণায় টেলিটক দিন দিন সেবার মান উন্নত করতে। এতে দেশের মেধা দেশের কাজে লাগছে। এর মাধ্যমে যে আয় হচ্ছে তাও দেশেই থাকতেছে। এখানে বিদেশি কারো কোনো হস্তক্ষেপ নেই। তাই আমার আহ্বান থাকবে এই প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তাই তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতি ভালবাসার অংশ হিসেবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটকের ব্যবহার বাড়াতে হবে ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.