আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাগনভূঞায় বিরল প্রজাতির কাছিম উদ্ধার

mamun.press@gmail.com

ফেনীর দাগনভূঞা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিরল প্রজাতির একটি কাছিম। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, এ কাছিমটি বিলুপ্তপ্রায় বাটাগোর বাসকো প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। শনিবার সকাল ১০টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের শরাফতআলী কাজী বাড়ির পুকুর থেকে কাছিমটি উদ্ধার করা হয়। ঢাকা থেকে আসা বন ও পশু বিশেষজ্ঞ ড. এন এস এ রাশিদ কাছিমটি উদ্ধার করে গাজীপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পশু সংরণ কেন্দ্রে নিয়ে যান। ড. এন এস এ রাশিদ জানান, মিঠাপানিতে ২২ প্রজাতির কাছিম রয়েছে।

এর মধ্যে উপমহাদেশসহ দণি-পূর্ব এশিয়ায় বাটাগোর বাসকো প্রজাতির কাছিম বিলুপ্তপ্রায়। ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশে এ কাছিম পাওয়া যেতো। এখন শুধু বাংলাদেশে এ প্রজাতির কয়েকটি কাছিম রয়েছে। তবে ১৯৯০ সালের পর থেকে বাটাগোর বাসকো স্ত্রী প্রজাতির কাছিম বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে বাটাগোর বাসকো প্রজাতির ৮টি পুরুষ কাছিম রয়েছে।

দাগনভূঞায় উদ্ধার হওয়াটিসহ সারা দেশে স্ত্রী প্রজাতির এ কাছিমের সংখ্যা মাত্র ৩টি। আমাদের আরও ৫টি স্ত্রী কাছিমের প্রয়োজন। ’ ড. এন এস এ রাশিদ বলেন, ‘আমরা ৬ মাস আগে খবর পাই, এখানে একটি কাছিম রয়েছে। দীর্ঘদিন বিভিন্নভাবে যোগাযোগের পর নিশ্চিত হয়ে শনিবার সকালে এ কাছিমটি নিতে আসি। ’ তিনি বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রার জন্য বিলুপ্তপ্রায় এসব প্রাণীর প্রয়োজন রয়েছে।

সরকার প্রাণী রার ব্যাপারে কঠোর আইন করলেও অনেক েেত্র তা মানা হচ্ছে না। ’ এন এস এ রাশিদ জানান, বর্তমানে গাজীপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের প্রাণী সংরণ কেন্দ্রে টিএসএ নামের একটি এনজিওর সহযোগিতায় সককার এ জাতীয় কাছিমের বংশ বিস্তারের চেষ্টা করছে। স্থানীয়ভাবে বাটাগোর বাসকো স্ত্রী প্রজাতির কাছিম শালগম বা বড় কাইট্টা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় আলমপুর গ্রামের কাজী বাড়ির বাসিন্দা কাজী করিমুল হক ও আবদুল মালেক বলেন, ‘প্রায় একশ বছর আগে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এ কাছিমটি পান। পরে সেটিকে বাড়ির পুকুরে এনে ছেড়ে দেন।

’ তারা বলেন, ‘আমরা কাছিমটিকে খাদ্য হিসেবে গাছের পাতা, কুচুর পাতা দিতাম এবং এটিকে আমরা যতœসহকারে লালন-পালন করেছি। ’

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।