আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবচেতনের সন্ধানে-১



১ " আমরা অনেকেই আমাদের দুর্ভাগ্যের জন্য স্রষ্টাকে দোষারোপ করে থাকি। তার প্রতি আমাদের অভিযোগ, তিনি কেন আমাকে অন্যদের মত মেধাবী করে তৈরী করলেন না, কেন শারীরিক সৌন্দর্য্যে আমি অন্যদের সমকক্ষ নই, কেন আমার জন্ম অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারে, কেন অন্যের মত শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম করার ক্ষমতা আমাকে দিলেন না। কিন্তু বিধাতা আমাদের সবাইকেই সমান ভালোবেসে তৈরী করেছেন। কারো প্রতি তার বিশেষ পক্ষপাতিত্ব নেই। আমাদের ভুল ধারণার কারণ আমাদের ভুল দৃষ্টিভঙ্গি।

বিচারক হিসেবে আমরা ঠিক কতটা অনুপযুক্ত তার প্রমাণ মেলে আমাদের এই অন্যায় অভিযোগ গুলোতে। যেসকল বিষয়ে আমাদের বঞ্চিত করার জন্য আমরা স্রষ্টাকে অবিচারের দায়ে অভিযুক্ত করছি, কখনো কি ভেবে দেখেছি প্রকৃত মুল্য বিচারে সেগুলো কতটা গুরুত্ব বহন করে? আমরা নিজেরাই জানি না কি এক অসীম ক্ষমতাধর ও মূল্যবান সম্পদ নিয়ে আমরা জন্মগ্রহণ করেছি। এই সম্পদের কাছে জন্মগত প্রতিভা, শারীরিক সৌন্দর্য্য, পৈত্রিক সম্পদ, শারীরিক সক্ষমতার মূল্য নিতান্তই নগন্য। আর সেই সম্পদের নাম আমাদের মস্তিষ্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে আমাদের মস্তিষ্ক অত্যাধুনিক সুপার কম্পিউটারের চেয়েও সাড়ে তিন মিলিয়ন, অর্থাৎ পয়ত্রিশ লাখ গুণ বেশি শক্তিশালী।

আর সেই সুপার কম্পিউটারটির বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। অর্থাৎ আমরা মানুষেরা ধরের ওপর প্রায় একশত পচাত্তর লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে বসে আছি, যা বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী ধনকুবের বিল গেটসের সম্পদের প্রায় পঁচিশ গুণ। অর্থাৎ আমরা একেকজন সাধারণ মানুষ প্রায় পঁচিশজন বিল গেটসের সমান সম্পদশালী। এক কথায় বলা যায়, প্রায় অনন্ত ক্ষমতার অধিকারী আমাদের মস্তিষ্ক এক অমূল্য সম্পদ। কিন্তু মস্তিস্কের এই অসীম ক্ষমতার, অসীম সম্পদের ঠিক কতটুকু আমরা ব্যাবহার করতে পারছি? পারছি না।

কারণ আমাদের কখনো শেখান হয়নি কি করে মস্তিষ্কের সদ-ব্যবহার করতে হয়। মস্তিষ্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে রূপ, সেটাকেই আমরা বলি মন। মানুষের মন নিয়ে কবি-সাহিত্যিক ও মনবিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন, এখনো করে চলেছেন। কিন্তু মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন কয়জন? এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য আমাদের প্রাচীন মনি-ঋষি, পীর-পয়গম্বর ও নবী-রাসুলেরা। মানুষের মনের শক্তিকে ব্যবহার করে যে মানব কল্যাণে অনবদ্য অবদান রাখা যায়, সেটা তারা অতি প্রাচীন কালেই প্রমাণ করে রেখেছেন, আধুনিক বিজ্ঞানেরও সাধ্য নেই তাদের এই কৃতিত্বকে অস্বীকার করে।

মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উপায় জানা ছিল বলেই তারা হতে পেরেছেন মানব জাতির পথপ্রদর্শক। আর এই নিয়ন্ত্রণ তারা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন সাধণার মাধ্যমে, ধ্যানের মাধ্যমে। ধ্যানের শক্তিতে বলিয়ান হয়েই তারা পোষ মানিয়েছেন মানুষের সবচেয়ে শক্তিশালী কিন্তু স্বেচ্ছাচারী সম্পদ অবচেতন মনকে। জগতকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে তারা বারবার চলে গিয়েছেন ধ্যানের স্তরে। সেখান থেকে অবলোকন করেছেন এমন এক বিশ্বকে, সাধারণ চেতনার স্তরে যা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মনকে পোষ মানানোর নতুন কন উপায় আবিষ্কার করতে না পারলেও আবিষ্কার করেছে সব ধরনের জ্ঞানকে (প্রাচীন কিংবা আধুনিক) নতুন করে আবিষ্কার, সংরক্ষণ ও সর্বসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার প্রযুক্তি। আর তাই প্রাচীন মনীষীদের মত চেতনার অবচেতন স্তরে পৌছানো ও সফলকাম হওয়া আজ খুবই সহজসাধ্য। ধ্যানের জগতের প্রাচীন ও আধুনিক জ্ঞানের এক অভুতপূর্ব সংকলন কোয়ার্ক মেথড। কোয়ার্ক মেথডের একটি মাত্র কোর্স করে মাত্র পাঁচ দিনে আপনিও পারবেন আপনার অবচেতনের সন্ধান পেতে। সাধণার জোড়ে আপনিও পারবেন অবচেতনকে পোষ মানাতে।

আধুনিক জীবনযাপনের বিজ্ঞান এই কোয়ার্ক মেথড। কোয়ার্ক মেথডের একটি কোর্স করুন, জীবনকে বদলে দিন। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন………" এমনিতে যে কোন লিফলেট না পড়ে বা কয়েক লাইন পড়েই ফেলে দেয়ার অভ্যাস আবিরের। কিন্তু এই লিফলেটটি ব্যতিক্রম হয়ে রইলো। ফেলে দেয়ার আগে প্রায় পুরোটাই এক নিঃস্বাসে পড়ে ফেললো সে।

[চলবে..]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।