আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নবীগঞ্জে এক হাজার লোকের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা ॥ ২৫ জন গ্রেফতার

টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত ও শতাধিক ব্যালট নিখোঁজের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নবীগঞ্জ শহর। ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ডিজিটাল কারচুপি ও পুনঃনির্বাচনের দাবিতে বুধবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠি চার্জ এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক ৩টি মামলা করেছে পুলিশ। পুলিশের কাজে বাঁধা ও থানায় হামলা এবং পিকআপ ভ্যান ভাংচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। মামলায় বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট আব্দুস শহীদ গোলাপকে প্রধান আসামী করে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা হাজারো লোককে আসামী করা হয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে ওসি আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকটি গ্রামে পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে রাজাবাদ, রাজনগর, আনমনু, সালামতপুর, নহরপুর ও তিমিরপুর গ্রামের অধিকাংশ পুরুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার সালামতপুরস্থ হাজারী কমিউনিটি সেন্টারের সম্মুখের রাস্তায় পুলিশ জনতা সংঘর্ষ ঘটে। এরপর সন্ধ্যায় শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাতে রাজাবাদ পয়েন্টে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে।

এরপর থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০ রাউন্ড গুলি করে। পুলিশের মারমুখী প্রতিরোধে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মী। শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। র‌্যাব শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিচ্ছে।

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান ও পুলিশ সুপার জিলল¬ুর রহমানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নির্বাচন কমিশন ও বিএনপি সূত্র জানায়, ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও একটি ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনায় দীর্ঘ সময় ক্ষেপন, আনসার কর্তৃক জাল ভোট প্রদান, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগের তদন্ত করা হবে। এছাড়াও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রীট করবেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট আব্দুস শহীদ গোলাপ। নির্বাচন কমিশনের নিকট গন্ধা, চরগাঁও, তিমিরপুর ও শিবপাশা সেন্টারের ভোট বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

উল্লে¬খ্য, পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে কাউন্সিলর পদে ৬টিতেই বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয়ী হন। ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে মেয়র ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে নবীগঞ্জ শহর। এদিকে, পৌর নির্বাচনের ৯টি সেন্টারের বেসরকারি ফলাফলের প্রাপ্ত খবরে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি মাত্র ১১২ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আব্দুস শহীদ গোলাপকে পরাজিত করেন। পৌর এলাকার তিমিরপুর সেন্টারে ব্যালট বাক্স নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। ১০০টি ব্যালট না পাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে ওই সেন্টারে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এবং মেয়র প্রার্থীর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, গত বুধবার বিকেলে ও রাতে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৭ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।

এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।