আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ্যাডোবি ফটোশপ এবং তার হিস্ট্রিরি.....

You either die a hero or you live long enough to see yourself become the villain.

এখন হয়তো এমন কোন কম্পিউটার ব্যবহারকারী পাওয়া যাবে না যে অ্যাডোবি ফটোশপের নাম জানেনা। অ্যাডোবি ফটোশপ ফটো এডিটিংকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এখন অনেকেই ফটো এডিটিং বলতে ফটোশপকেই বুঝে। ফটোশপ দিয়ে এখন কি না হচ্ছে। সাদাকালো ছবি থেকে রঙীন, ছবির দাগ মোছা, ছবির কালার ঠিক করা এগুলো তো মামুলি ব্যাপার।

অনেক বড় বড় শিল্পীরা এখন ছবি আকতে কিংবা ফটো ম্যানিপুলেট করতে ফটোশপ ব্যবহার করে থাকেন। আসুন ফটোশপের শুরু কবে কিংবা কাদের হাত দিয়ে এর শুরু তা নিয়ে একটু গবেষণা করা যাক। অ্যাডোবি ফটোশপ: অ্যাডোবি ফটোশপ হল অ্যাডোবি সিস্টেম ইনকর্পোরেটেড কর্তৃক নির্মিত একটি ফটো এডিটিং সফটওয়্যার। এটি দিয়ে ফটো এডিটিং-এর প্রায় সবকিছুই করা যায়। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র এই অ্যাডোবি ফটোশপ।

বইয়ের কভার থেকে শুরু করে পোস্টার, বিলবোর্ড, ওয়েবসাইট এখন সবজায়গায় অ্যাডোবি ফটোশপের স্পর্শ পাওয়া যায়। এমনকি এখন অনেক বিখ্যাত শিল্পী ক্যানভাস হিসেবে অ্যাডোবি ফটোশপকেই ব্যবহার করে থাকেন। ফটোশপের মত ছবি এডিটিং করা যায় এমন কিছু সফটওয়্যার হচ্ছে- কোরেল ড্র, জিম্প, পিকাসা, ইউলিড ফটোইম্প‌্যাক্ট ইত্যাদি। শুরুর কথা: ১৯৮৭ সালে থমাস নোল(Thomas Knoll) মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে পি.এইচ.ডি করার সময় তার ম্যাকিনটোসে একটি প্রোগ্রাম লিখেন যেটি গ্রেস্কেল ছবিকে একারঙা ছবি আকারে দেখাতে পারত। তিনি এটার নাম দেন ডিসপ্লে(Display)।

তার ভাই জন নোল(John Knoll) প্রোগ্রামটি দেখে এটাকে একটি পূর্ণাঙ্গ ইমেজ এডিটিং প্রোগ্রামে রূপান্তরিত করার জন্য থমাসকে বলেন। থমাস তার পড়ালেখা থেকে ছয়মাসের ছুটি নিয়ে ভাইয়ের সাথে কাজ করে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যারে রূপান্তরিত করেন এবং নাম দেন ইমেজপ্রো(ImagePro)। কিন্তু পরবর্তীতে থমাস এটাকে ফটোশপ নাম দিয়ে বার্নিস্ক্যানের(Barneyscan) সাথে চুক্তি করেন এবং বার্নস্ক্যানের প্রস্তুতকৃত স্ক্যানারের সাথে সফটওয়্যারটি ফ্রী বিতরণ শুরু করেন। ১৯৮৮ সালে জন নোল সিলিকন ভ্যালিতে যান। সেখানে তিনি এ্যাপলকে এবং অ্যাডোবির আর্ট ডিরেক্টর রাসেল ব্রাউন(Rusell Brown)কে তাদের সফটওয়্যারটি দেখান এবং অ্যাডোবি ফটোশপের লাইসেন্স কিনে নেয়।

এরপর ১৯৯০ সালে অ্যাডোবি ফটোশপ তাদের প্রথম ভার্সন অর্থাৎ, অ্যাডোবি ফটোশপ ১.০ বের করে। তবে সেটি ছিল শুধুই ম্যাকিনটোস পিসির জন্য। অ্যাডোবি ফটোশপের পরবর্তী ভার্সন: এরপর অ্যাডোবি ফটোশপের এখন পর্যন্ত ১২টি ভার্সন বের হয়েছে। আগস্ট ২০০২ পর্যন্ত অ্যাডোবি ফটোশপের ৭টি ভার্সন বের হয় এবং এদের নাম ভার্সন সংখ্যা দিয়েই প্রকাশ করা হয়। ফটোশপ ২.০ পর্যন্ত এটি শুধু ম্যাকিনটোস প্লাটফর্মই সাপোর্ট করত।

এরপর ফটোশপ ২.৫ ম্যাকওএস-এর পাশাপাশি উইন্ডোজ ভার্সনও বের করা হয়। পরবর্তীতে অ্যাডোবি ফটোশপের ৮ম ভার্সনটি বের করে অ্যাডোবি ফটোশপ সিএস(Photoshop CS) নামে। সিএস(CS)-এর পূর্ণ রূপ ক্রিয়েটিভ স্যুট(Creative Suite), যাতে শুধু ফটোশপ নয় আরও কিছু সফটওয়্যার কমমূল্যে একসাথে বিক্রী করা শুরু করে অ্যাডোবি। অ্যাডোবি সবচেয়ে নতুন এবং বেশী ফিচারসমৃদ্ধ ভার্সন হচ্ছে অ্যাডোবি ফটোশপ সিএস৫(Adobe Photoshop CS5), যেটি বাজারে এসেছে ২০১০সালের এপ্রিলে। ফটোশপের কাজ: আগেই বলেছি ফটোশপ দিয়ে এখন অনেক কিছুই করা যায়।

এবং নতুন ভার্সনে আরও নতুন ফিচার ফটোশপকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কথা নয় কিছু ছবি দেখেই জেনে নিই ফটোশপর কিছু ব্যাপার-স্যাপার: ১। অ্যাডোবি ফটোশপ ও কার ইন্টারফেস: অ্যাডোবি ফটোশপ ১.০ অ্যাডোবি ফটোশপ ৭.০ অ্যাডোবি ফটোশপ সিএস অ্যাডোবি সিএস৫ ২। ফটোশপে করা কিছু কাজ: ফটো ম্যানিপুলেশন টাইপোগ্রাফী(ফটুকটা কিন্তুক আমার করা ) ডিজিটাল পেইন্টিং(প‌্যানডোরা'স বক্স) পোস্টার ডিজাইন(ন্যাশনাল জিওগ্রাফী-র লাইফ প্রোগ্রামের পোস্টার) ওয়েবসাইট ডিজাইন ভেক্সেল আর্ট মুভি পোস্টার আজকের মত এইখানে থামি। অনেক ফডুক দিয়ে ফালাইছি, লোড হইতে থাকুক।

চেষ্টা করব পরবর্তীতে কিছু ওয়েবসাইটের লিংক দিতে যেখানে ফটোশপের অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.