আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের ৫শ’ পরিবার এখন সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল

সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন না করার কারেনে আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫শ’ পরিবার এখন পর্যন্ত সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত পয়সা নদীর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত বাগধা ইউনিযনের আমবৌলা ও পশ্চিম বাগধা গ্রামে দীর্ঘদিনেও পল¬ী বিদ্যুতের কোন সংযোগ বা লাইন না পৌঁছায় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা সৌর বিদ্যুৎ। পল¬ী বিদ্যুতের যেটুকু সংযোগ রয়েছে তাতেও রয়েছে অব্যাহত বিদ্যুৎ সংকট। ঘন ঘন লোডশেডিং এড়াতে পল¬ী বিদ্যুৎ আগৈলঝাড়া জোনাল অফিসেও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।

দেশ স্বাধীন হবার পরে দেশে অনেক সরকারই এসেছে এবং এ আসনের অনেকেই মন্ত্রী, এমপি হয়েছেন। কিন্তু উপজেলার সীমান্তবর্তী পশ্চিম বাগধা গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে কেউ কখনও ভাবেননি। পশ্চিম বাগধা গ্রামে বিদ্যুৎ প্রদানের জন্য অনেক মন্ত্রী, এমপির কাছে এবং স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে বারবার ধরনা দিয়েও ব্যর্থ হতে হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল¬াহ বাগধা গ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য অফিসিয়ালি সব কাজ সম্পাদন করলেও সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিনেও এই বাগধা গ্রামে বিদ্যুৎ না আসায় ৬ বছর আগে সর্বপ্রথম এই গ্রামে সৌর বিদ্যুৎ আনেন ডা. আলফ্রেড অশোক বিশ্বাস।

তার দেখাদেখি পর্যায়ক্রমে ওই গ্রামের ৫শ’ পরিবার এখন সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ বাড়িতে গ্রামীণ শক্তি ও ব্রীজ নামক এনজিও প্রদত্ত সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারি কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ যেমনÑ ফ্রিজ, কালার টিভি, সিলিং ফ্যান, আয়রন ইত্যাদি সৌর বিদ্যুতে ব্যবহার করা সম্ভব না হলেও সাধারণ যন্ত্রাংশ যেমনÑ লাইট, ছোট আকারের ফ্যান, অডিও, সাদা-কালো টিভি, মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ব্যবহার করেই বিদ্যুতের চাহিদা মেটাচ্ছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানান, গ্রামীণ শক্তির ৪০ ওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ ২৮ হাজার ও ২০ ওয়াট ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রিজ সংস্থার সৌর বিদ্যুৎও একই দামে বিক্রি করছে।

ওই গ্রামের ৫শ’ বাসিন্দা এখন পুরোপুরিই সৌর বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল।
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।