আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টর্নেডোর শুরু আর শেষটা প্রধানমন্ত্রী জানেন

রাজনীতিতে টর্নেডো চলছে এবং সেটা বেশি হচ্ছে গ্রামে। প্রধানমন্ত্রী জানেন সে টর্নেডোর শুরু আর শেষটা কোথায়। এ জন্যই তিনি বার বার বলছেন, ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। যদি কেউ সেটা (রাজনীতিতে ধর্মীয় ইস্যু) আনার চেষ্টা করেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি কাউন্টার টর্নেডো নিয়ে আসবেন তা আমি জানি না। তবে নৌকা ডোবার অবস্থা এখনো দেখছি না।

নৌকা ডুবতে থাকলে যাত্রীরা আগেই লাফিয়ে নেমে যান। সেই লাফালাফি এখনো শুরু হয়নি। রবিবার এটিএন নিউজ'র টক-শো 'নিউজ আওয়ার এঙ্ট্রা'- এ সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এসব কথা বলেন। মুন্নী সাহার উপস্থাপনায় তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, নৌকা ডুবছে। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।

ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে নৌকায় চড়ে অভ্যস্থ। খুব বড় নৌকা না হলে সেটা কখনও তলিয়ে যায় না। উনি পঞ্চগড়ের মানুষ। ওইখানে বড় নদী নাই। উনি কীভাবে জানবেন? আর নৌকায় যদি ফুটো থাকে তাহলে 'বাবায় নৌকা চালায়, পোলায় পানি সেচে'।

সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া কুড়িল ফ্লাইওভার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সায়েদাবাদ ও কুড়িলে মহাখালী ফ্লাইওভারের মতো ছোট ফ্লাইওভার করার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী তখন এটাকে আরও বড় করার কথা বলেছিলেন। বিশ্বব্যাংক রাজি হয়নি। এবার তার সময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। এগুলো সব ভাগ্য।

দুটোই উনার হাতে হয়েছে। আগে যখন তার সঙ্গে কাজ করেছি তখন আমারও বিভিন্ন সময়ে মনে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বোধহয় এতটা ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হয়নি। এখন মনে হয় উনার বোধহয় বৃহৎ কোনো পরিকল্পনা আছে। হাতিরঝিল থেকে যেভাবে ফ্লাইওভারের মতো আসছে হয়ত বা সোনারগাঁয়ের সামনেও কিছু একটা হবে। বাংলামোটর থেকে এফডিসি গেট পর্যন্ত একটা কাজ চলছে।

এটা নিশ্চিত যানজট সম্পর্কে তার একটা রূপরেখা আছে। কিন্তু, সব তো একবারে শুরু করা যায় না। আমার মতো যাদের তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে তারা জানেন তিনি (শেখ হাসিনা) সুদূরপ্রসারী চিন্তা নিয়েইস কোনো পদক্ষেপ নেন। তার মধ্যে কিছুটা শিশুসুলভ বিষয়ও আছে। যে কারণে এত সমস্যা চারিদিকে, কিন্তু তিনি আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন।

নিজস্ব অর্থায়নের প্রকল্প হিসেবে যারা শুধু সমালোচনা করতে চান তারা বলবেন এখানে দুর্নীতি হয়েছে। অন্য সরকারকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলবে এ পরিকল্পনা আমাদেরও ছিল। কিন্তু, বাস্তবতা হল শেখ হাসিনা সরকারের সময়েই এটা হয়েছে।

তবে অসম উন্নয়নের সমালোচনা করে সাবেক এ যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সবসময় কাজে লাগে না। ভালো জিনিস কার না ভালো লাগে? কিন্তু, আপনি যখন ঢাকার সোনারগাঁ মোড়, গুলিস্তানে ঝরনা স্থাপন করছেন তখন আমার মঠবাড়িয়ার মানুষ কাদার মধ্য দিয়ে হাঁটে।

এটা মানুষ ভালোভাবে নেয় না। উন্নয়নে একটা সমতাতো থাকতে হবে। সেতুর কাজের মান ও অনিয়ম নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উড়াল সেতুটি সিভিলিয়ান কন্ট্রাক্টর করলেও তত্ত্বাবধানে ছিল সামরিক বাহিনীর। এতে কাজ ভালো হয়। এরশাদ সাহেব বলতেন, সামরিক বাহিনী কোনো কাজের দায়িত্ব পেলে প্রথমেই তারা সেখানে ক্যাম্প করে।

সার্বক্ষণিক প্রকৌশলীরা তত্ত্বাবধান করেন যেটা সিভিলিয়ানের ক্ষেত্রে হয় না। হাতিরঝিলটাও আর্মি সুপারভিশন করছে।

ফলে সিভিলিয়ানরা ভেরি কেয়ারফুল।

 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.