আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোয়ান্টাম মেথড জীবন যাপনের বিজ্ঞান। এ বিজ্ঞান জীবনকে বদলে দেয়ার, জীবনে ভালো রাখার।

আমি যার কাছ থেকে এসেছি তার কাছেই ফিরে যাবো।

কোয়ান্টাম মেথড কোয়ান্টাম মেথড জীবনকে বদলে দেয়ার, জীবনে ভালো থাকার বিজ্ঞান। শুরু হয় জীবনদৃষ্টি বদলের মধ্য দিয়ে। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি মস্তিষ্কের নিউরোনে নতুন ডেনড্রাইট সৃষ্টি করে, সূচিত হয় নিউরোনে নতুন সংযোগায়ন প্রক্রিয়া। ফলে মস্তিষ্কের কর্মকাঠামোয় সৃষ্টি হয় ইতিবাচক কর্মচাঞ্চল্য।

আর এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তির আচরণ ও দৈনন্দিন প্রতিটি কাজে। অশান্তি পরিণত হয় প্রশান্তিতে। রোগ সুস্থতায় আর ব্যর্থতা সাফল্যে। তিনি লাভ করেন সুস্থ দেহ, প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখীজীবন। শৃঙ্খলমুক্তির পথ আপনি হতে পারেন যুগস্রষ্টা বিজ্ঞানী, কালজয়ী চিকিৎসক, শতাব্দীর অভিযাত্রী, অমর কথাশিল্পী, জনপ্রিয় অভিনেতা, খ্যাতিমান খেলোয়াড়, সফল শিল্পপতি, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, দক্ষ প্রশাসক, মহান নেতা বা বিপ্লবী, আত্মজয়ী বীর বা বরেণ্য ধর্মবেত্তা।

কিন্তু ভ্রান্ত বিশ্বাস ও ধারণার বন্দি হওয়ায় আপনি পরিণত হচ্ছেন কর্মবিমুখ রোগগ্রস্ত হতাশ ব্যর্থ হীনম্মন্য কাপুরুষে। আপনার ব্যর্থতার কারণ মেধা বা সামর্থ্যের অভাব নয়। আপনার ব্যর্থতার কারণ হচ্ছে মনোজাগতিক শৃঙ্খল। সার্কাসের হাতির জীবন এই মনোজাগতিক শৃঙ্খলের জ্বলন্ত উদাহরণ। জঙ্গল থেকে হস্তি শিশুকে ধরে এনে লোহার ৬ ফুট শিকল দিয়ে শক্ত খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয়।

দুরন্ত হস্তি শিশু শিকল থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শিশু হাতির শক্তি শিকল ভাঙার জন্যে যথেষ্ট নয়। তাই যতবারই সে শিকল ভাঙার চেষ্টা করে, ততবারই পায়ে শুধু ব্যথা পায়, পা রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। আস্তে আস্তে এই ৬ ফুট বৃত্তকেই সে তার নিয়তি মনে করে। বাইরের দিকে এগুতে গিয়ে পায়ে টান পড়লেই সে বৃত্তের আরো ভেতরে চলে আসে।

হস্তি শিশু বিশাল দেহী হাতিতে পরিণত হওয়ার পরও এই ৬ ফুট বৃত্তকেই তার নিয়তি মনে করে। যখন তার দেহের প্রচণ্ড শক্তি এক ঝটকায় শিকল ভেঙে মুক্তির আনন্দে অবগাহন করতে পারে, তখনও পায়ে একটু টান পড়ার সাথে সাথে সে বৃত্তের আরো ভেতরে প্রবেশ করে। এমনকি সার্কাসে আগুন লাগলে হাতি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় কিন্তু মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে না। প্রচণ্ড শক্তি ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মনোজাগতিক শৃঙ্খল তাকে পরিণত করে অসহায় প্রাণীতে। অসীম শক্তি ও মেধা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা সত্ত্বেও পারিপার্শ্বিক প্রভাব, নেতিবাচক চিন্তার মনোজাগতিক শৃঙ্খল, ভ্রান্ত বিশ্বাসের বন্দি হয়ে আপনি হয়তো একইভাবে নিজেকে ভাগ্যের অসহায় ক্রীড়নক মনে করছেন।

কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে- ব্যর্থতাকে সাফল্যে, রোগকে সুস্থতায়, দুঃখকে শক্তিতে, হতাশাকে প্রশান্তিতে, বিষাদকে আনন্দে আর অভাবকে প্রাচুর্যে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা আপনার মধ্যেই রয়েছে। কোয়ান্টাম মেথড ভ্রান্ত বিশ্বাসের শৃঙ্খল ভেঙে এই আত্মশক্তিকে জাগ্রত করারই সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া। আরো জানুন-কোয়ান্টাম মেথড

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.