আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুর হামাগুড়ি দিয়ে চুলার গনগনে আগুনে পড়া যেমন মা’য়ের পছন্দ নয় তেমনি স্বাধীনভাবে তথা বেপর্দা হয়ে মেয়েদের চলাফেরা করা উচিত নয়



‘শ্লীলতাহানি’-এর প্রকোপ মহামারি আকারে বাড়ছে। খুবই আশ্চর্যের বিষয় যে, শ্লীলতাহানিগুলো বেশির ভাগই ঘটছে দেশের সবচেয়ে নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে, ঘটছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে বাঁধনের শ্লীলতাহানি মিডিয়ায় যে তুমুল ঝড় তুলেছিলো তারপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ধরনের অপকর্ম চিরতরে বিলুপ্ত হওয়াটাই সচেতন মানুষের আকাঙ্খা ছিলো, কিন' যতো দিন যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীদের সম্ভ্রম লুটের মহোৎসব বেড়েই চলেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তথাকথিত প্রগতিবাদীরা নারীদেরকে তাদের স্বাধীনতার কথা বলে টেনে এনেছে পুরুষদের মিছিলে। অথচ একবার ভেবে দেখা উচিত, নারীরা যদি কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশ অনুযায়ী অভিভাবকদের নজরদারিতে থাকে, তবে কোনো পুরুষের পক্ষেই সহজে নারীদের শিকার করা সম্ভব নয়।

তাই নারী শিকারী পুরুষেরা তথা প্রগতিবাদী শয়তানের দোসররা নারীদেরকে অন্যায়ভাবে, অনৈতিকভাবে ভোগের জন্যই মূলত রাস্তায় নামিয়ে আনে। নারী স্বাধীনতার নামে নারীদের শুধুমাত্র ব্যবসায়ে পণ্যের খদ্দের ধরার টোপ হিসেবেই ব্যবহার করে। যার প্রমাণ, ইদানীং যতো বিজ্ঞাপন দেখা যায় তাতে পণ্যের গুণ-গানের চেয়ে নারীদের বিশেষ কোনো অঙ্গের প্রদর্শনীই বেশি গুরুত্ব পায়। সবচেয়ে দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এসব কিছুই নারীরা দেখে ও বুঝে যে, ‘নারীদেরকে সুন্দর সুন্দর কথার আড়ালে পুরুষরা বিভিন্নভাবে তাদেরকে ব্যবহার করছে। ’ তবু্ও কেনো তারা জেনেশুনে বিষপান করতেই পছন্দ করেন সেটা বোধগম্য নয়।

অতএব, শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের এই দেশের সমস্ত মা ও বোনদের উচিত, কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর নির্দেশমানা ও সে অনুযায়ী চলা এবং স্বাধীনতা আর সমান অধিকারের নামে মূর্খের গো ধরে বসে না থেকে সুন্দর একটা সমাজ গঠনে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এ নারীদের যে ভূমিকা সেটা পালন করা। উল্লেখ্য যে, শিশুদের আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, তবুও তাদেরকে এমন স্বাধীনতা দেয়া পছন্দ করি না যার ফলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে গনগনে চুলোর আগুনে গিয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি এমন স্বাধীনতাও আমাদের মেয়েদের দেয়া উচিত নয়, যাতে তারা মানুষরূপী হায়েনাদের শিকারে পরিণত হয়। আর যদি চলাফেরা করতেই হয় তবে সেটা শরীয়ত অনুযায়ীই চলা উচিত। আর হাক্বীক্বীভাবে শরীয়তের অনুসরণ করতে হলে পৃথিবীর সমস্ত মা-বোনদের উচিত, সাইয়্যিদাতুন নিসা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নেক ছোহবতে আসা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে কবুল করুন। (আমীন) অনলাইনে ভিজিট করুন'

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.